পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জক্ষয়কুমার মৈত্রেয় সস্তান । নীলকরদিগের দৌরাত্ম্যে রুক্মিণী গ্রাম হইতে পিতামহী পুত্র-কন্যা লইয়া তাহার পিত্ৰালয় কুমারখালি গ্রামে পলায়ন করেন । সেই হইতে আমরা কুমারখালিতে আসি কুমারখালির হরিনাথ মজুমদার ও আমার পিতা মথুরানাথ বাল্য-মুঙ্গদ এবং কুমারখালির অধিকাংশ উন্নতির মূল। নীল-বিদ্রোহের সময়ে এই দুই জনের নিকট হইতে ‘হিন্দু পেটুরিয়ট’-সম্পাদক ৬হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং প্রভাকর - সম্পাদক ৬ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত—মফস্বলের অনেক সংবাদ পাইতেন । এই সময় মথুরানাথ কুমারখালি ইংরাজী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করিতেন। তখন হরিনাথ, মথুরানাথ এবং তাহদের সমবয়স্ক কুমারখালির যুবকগণ অক্ষয়কুমার দত্তের রচনা পাঠ করিতেন । এবং তাহাকে তাদর্শ করিয়া বঙ্গসাহিত্যের উন্নতির চেষ্টা করিতেন । তজন্ত তাহার একটি বঙ্গবিদ্যালয় এবং একটি বালিকা-বিদ্যালয় কুমারখালিতে স্থাপিত করেন । হরিনাথের ‘বিজয়বসন্ত' গ্রন্থ প্রকাশিত হইবার পর, "গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামক সাপ্তাহিক পত্রের সূচনা হয় । এই সকল বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে মথুরানাথের প্রথম সন্তান আমি । আমি ই চাদের সকলের স্নেহের পাত্র হই। “এক্ট বালক বাঙ্গালা সাহিত্যের যাহাতে উন্নতি করে, এইরূপ শিক্ষাই ইহাকে দিতে হইবে,” এই উদ্দেশ্বে অক্ষয়কুমার দত্তের নাম স্মরণে আমার নাম ও অক্ষয়কুমার রাখা হয় । হরিনাথই আমার এই নামকরণ করেন এবং তিনিই অামার সাহিত্য-পথের গুরু । আমার জন্মের পর পিতা ওকালতী পরীক্ষা দিবার জন্ত রাজসাহী গমন করেন । সে বৎসর পরীক্ষা গৃহীত হয় না । পিতা রাজসাহীতে গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্ম প্রাপ্ত হইয়া রাজসাহীবাসী হন। গত অদ্বোদয়ের পূৰ্ব্ব জদ্ধোদয় যোগের সময় আমি রাজসাহাতে নীত হই। বাল্যকালে দশ বৎসর বয়স পর্য্যস্ত আমি কখন কুমারখালিতে