পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৬০

"ঐতিহাসিক চিত্র’ সম্পাদন } (t ইতিহাস-সংকলনের উপকরণের ও অভাব নাই । স্বদেশীয় গ্রন্থাদির ইতিহাসাংশের নিৰ্ব্বাচন করিয়া লইতে পারিলে, বিদেশীয় লেখক বর্গের ভারতৰিবরণীর সমুচিত সমালোচনা করিয়া তাহা হইতে সত্যোদ্ধার করিতে পারলে, এখনও আমাদের ইতিহাস সংকলিত হইতে পারে । তাহা বহুজনসাপেক্ষ বহুব্যয়সাধ্য কঠিন ব্যাপার । কিন্তু যাহার ললাট কলঙ্ক অপসারিত করিয়া সভ্যসমাজে মানব পদবীতে দণ্ডায়মান হইবার জন্ত ব্যাকুল, তাহাদের ব্যাকুলত যদি আন্তরিক হয়, তবে এই কঠিন ব্যাপার একেবারে অসম্ভব ব্যাপার বলিয়া স্বীকার করিতে পারি না । বৈদিক এবং পৌরাণিক যুগের কথা ছাড়িয়া দিয়া, বৌদ্ধযুগ হইতে ইতিহাস সংকলনের চেষ্টা করিলে তাহাও সামান্ত হইবে না । তাহাও দ্বিসহস্ৰাধিক বৎসরের কথা । এত দিনের কথাই বা কত দেশের ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যার ? খ্ৰীষ্টপুৰ্ব্ব চতুর্থ শতাব্দী হইতে খ্ৰীষ্টাব্দের সপ্তম শতাব্দী পর্য্যন্ত সহস্রাধিক বৎসর নানা দিগেদশের পণ্ডিতমণ্ডলী ভারতবর্ষে উপনীত হইয়াছিলেন । পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গের সংকলিত ভারতবিবরণীর অধিকাংশই বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, কিন্তু মেগাস্তিনীস, এরিয়ান এবং টলেমীর গ্রন্থাদির কিয়দংশ এখনও প্রাপ্ত হওয়া যায় ! মহাচীন সমাজ্যের বৌদ্ধ শ্রমণগণের সংকলিত ভারতবিবরণী এখনও বিলুপ্ত হয় নাই । ই ছাদের মধ্যে কেবল ফাহিয়ান এবং হিয়ঙ্গথসঙ্গের নামই সাধারণে সুপরিচিত ; কিন্তু তদ্ভিন্ন আরও কত পণ্ডিত এই কার্য্যে লিপ্ত হইয়াছিলেন, তদ্বিবরণ অপ্রাপ্ত নহে । ইহাদের একখানি গ্ৰন্থ ও বঙ্গভাষায় অনুবাদিত হয় নাই ! বাণিজ্যোপলক্ষে পূৰ্ব্বোপসাগরে যবদ্বীপ, বালিদ্বীপ প্রভৃতি অনার্য্যনিবাসে যে সকল আর্য্যোপনিবেশ সংস্থাপিত হইয়াছিল, তত্ত্বংস্থানে