পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্ম সমাজ স্থাপন ও সহমরণ-প্রথার উচ্ছেদ 拿* আসিবেন, তাহারই জঙ্ক জাতি, ধৰ্ম্ম, সম্প্রদায়, সামাজিক পদ নির্বিশেষে মন্দিরের দ্বার উন্মুক্ত থাকিবে । কোন প্রকার চিত্র, প্রতিমূৰ্ত্তি বা খোদিত মূৰ্ত্তি এই মন্দিরে ব্যবহৃত হইবে না। প্রাণিহিংস হইবে না, পানভোজন হইবে না, জীবই হউক বা জড়ই হউক, কোন সম্প্রদায়ের উপাস্তকে লাঙ্গবিদ্রুপের ভাবে উল্লেখ করা হইবে না। ধtহাতে পরমেশ্বরের ধ্যান-ধারণার প্রসার হয়, প্রেম নীতি ভক্তি দয়া সাধুতার উন্নতি হয়, এবং সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ভুক্ত লোকের মধ্যে ঐক্যবন্ধন দৃঢ়ীভূত হয়, এখানে সেই প্রকার উপদেশ, বক্তৃতা, প্রার্থনা ও সঙ্গীত হুইবে ; অন্য কোনরূপ হইতে পারিবে না । রামমোহন যখন ব্রহ্মসভার প্রতিষ্ঠা করেন, তখন এদেশে সহমরণপ্রথা লইয়া তুমুল আন্দোলন চলিতেছিল । রামমোহন সহমরণ-প্রথার বিরোধী ছিলেন ও যাহাতে এই নশ্বংস প্রথা বুঠিত হয়, তাহার জন্য খুব চেষ্টা করিতেছিলেন । মোগল-সমাট আকবর প্রথমে এই গ্রথা রহিত করিবার চেষ্টা করেন । ইংরেজ-শাসন স্থাপন হওয়া অবধি মিশনারীরাও এই প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতেছিলেন । ইংরেজ-শাসকদের মধ্যে লর্ড ওয়েলেসলী প্রথমে এই প্রথা সংঘমিত করিবার চেষ্টা করেন । তাহার পর হইতে গবর্যেণ্ট এই বিষয়ে নানা নিয়ম করিতেছিলেন, কিন্তু একেবারে বন্ধ করিয়া দিবেন কি-না, স্থির করিতে পারিতেছিলেন না । রামমোহন কলিকাতা আসার অল্প দিন পথ হইতেই সতীদাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরম্ভ করেন । তিনি হিন্দুশাস্ত্র হইতে প্রমাণ করেন যে, বিধবাদিগকে স্বামীর সহিত সহমরণে যাইতে হইবে, এমন কোম নির্দেশ নাই । ১৮২৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ৪ঠা ডিসেম্বর লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক এই প্রথা আইনবিরুদ্ধ বলিয়া ঘোষণা করিলেন । রক্ষণশীল হিন্দুরা সতীদাহ বদ্ধ হইলে হিন্দুধৰ্ম্ম লোপ পাইবে, এই কথা বলিতে লাগিলেন ৪ তাছাদের