অষ্টম ভাগ ] [ দ্বিতীয় সংখ্যা । সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা। (7-128 সাহিত্য-সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত সুরেশচন্দ্ৰ সমাজপতি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বহস্তে-লিখিত এই শব্দ-সংগ্ৰহ প্ৰকাশার্থ প্ৰদান করিয়া সাহিত্য-পরিষদকে অনুগৃহীত করিয়াছেন। শেষের । একটা কি দুইটা পাতা না থাকায় তালিকার অন্তর্গত হকারান্ত শব্দসংখ্যা অসম্পূর্ণ রহিয়াছে is 7 বিদ্যাসাগর মহাশয় বাঙ্গালা রচনায় সংস্কৃত শব্দের १छ्ल প্ৰয়োগ প্ৰচলিত করিয়া বাঙ্গালা ভাষাকে সংস্কৃতভাবাপন্ন করিয়াছিলেন, এইরূপ একটা অনুযোগ প্ৰচলিত আছে । তৎসঙ্কলিত তালিকা হাঁটুতে প্ৰতিপন্ন হইবে, খাটি বাঙ্গালার প্রতি র্তাহার অশ্রদ্ধা ছিল না। : বরঞ্চ বৈজ্ঞানিকোচিত ধৈৰ্য্য সহকারে তিনি খাঁটি বাঙ্গালী শব্দ সঙ্কলনের পরিশ্রম স্বীকারে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। শুনা যায়, একখানি বৈজ্ঞানিক-প্ৰণালী-সম্মত বাঙ্গালা অভিধান थ१शन ऊँiश्iद्ध ठ0णथ] छिल । বাঙ্গালা ভাষায় ব্যাকরণ অথবা বাঙ্গালার ভাষাতত্ত্ব প্রণয়নের পূৰ্ব্বে যথোচিত পরিশ্রম করিয়া। তদুপযোগী উপাদান সঙ্কলন করিতে হইবে। দুঃখের বিষয় এই পরিশ্রম স্বীকারে কেহই প্ৰস্তুত নহেন। বাঙ্গালা ভাষার উৎপত্তি ও প্রকৃতি নির্ণয়ের আবশ্যকতা অনেকেই উপলব্ধি করিয়াছেন । আমাদের দেশে তত্ত্বান্বেষীর বড় অভাব নাই। কিন্তু তত্ত্বান্বেষণে যে পরিশ্রম আবশ্যক, তাহার অঙ্গীকারে প্রস্তুত লোকের সম্যক অভাব । বিদ্যাসাগর মহাশয় কৰ্ম্মবীর ছিলেন । বৰ্ত্তমান সংগ্ৰহ তাহার অনন্যসাধারণা কৰ্ম্মপরতার অন্যতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বলিয়া গৃহীত হইবে। বর্তমান বর্ষের পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী মহোদয় বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীর অনুগত বাঙ্গালা ব্যাকরণ প্রণয়নের আবশ্যকতা অতি সুন্দরীরূপে
পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।