পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Je 3 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । ( 8 of 71 e ফলে সাহিত্যের ভাষা কোন পথ আশ্রয় করিয়া চলিবে, তাহা কাৰ্য্যতঃ মীমাংসিত হইয়া গিয়াছে ; এবিষয় লইয়া এখন বাদবিতণ্ডা কেবল পণ্ডশ্রমমাত্র । তবে জীবের স্ফৰ্ত্তি অন্য কাজ না পাইলে ক্রীড়াচ্ছলে ও আপনাকে ব্যয় করিতে চায় ; তাই আমাদের সুধীগণের পাণ্ডিত্য যখন কোন সদুদ্দেশ্যে প্ৰযুক্ত হইবার অবকাশ না পায়, তখন এই উদ্দেশ্যহীন ক্রীড়াবিতণ্ডার আশ্রয় লইয়া আপনার চাঞ্চল্য ও ক্রীড়া-নৈপুণ্য প্ৰকাশ করে মাত্ৰ । বর্তমান কালে সাহিত্যের ভাষায় সংস্কৃত শব্দ কিরূপে ও কি পরিমাণে ব্যবহার করিতে হইবে, এবিষয়ে কাৰ্য্যতঃ যে বিশেষ মতভেদ আছে, তাহা বোধ হয় না ; কেন না। উভয় পক্ষই প্ৰয়োগকালে এক রকমের ভাষার ব্যবহার করিয়া থাকেন । যে সামান্য প্ৰভেদ থাকে, তাহা ব্যক্তিগত । তবে যে র্তাহারা মধ্যে মধ্যে উভয় পক্ষে সজ্জিত হইয়া যুদ্ধার্থ দণ্ডায়মান হন, তাহা প্ৰকৃত যুদ্ধ নহে, যুদ্ধের অভিনয় মাত্ৰ । সম্প্রতি সংস্কৃত কলেজের অন্য তাঁর ধীমান ছাত্র ও বর্তমান অধ্যক্ষ তাহার। পূৰ্ব্বগামীদের * অপকাৰ্য্যের প্রায়শ্চিত্তবিধানের জন্যই যেন সাহিত্যের ভাষায় সংস্কৃত-শব্দ প্ৰয়োগের প্ৰতি কটাক্ষ করিয়াছেন । তাহার এইরূপ চেষ্টা বোধ করি নিতান্ত অসঙ্গত নহে ৷ মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্ৰী মহাশয় তাহার ব্যাকরণসম্বন্ধীয় প্ৰবন্ধে বলিয়াছেন, খাটি বাঙ্গালী “তেল” শব্দ ব্যবহার কারলে যখন সকলেই বুঝে, এবং লৌকিক প্রয়োগে যখন সৰ্ব্বদা “তোেল।” শব্দেরই ব্যবহার আছে, তখন সাহিত্যের ভাষায় “তৈল” ব্যবহার করিয়া লেখকের ও মুদ্রাকারের ও প্রািফরাডারের পরিশ্রম আকারণে বাড়ান হয় কেন ? আমরাও বলি ঠিক কথা ; আ কারণে ভাষাকে দুৰ্গম ও দুৰ্ব্বোধা করিয়া লাভ কি ? অথবা আকারণে পরিশ্রম খাড়াইবারই বা সার্থকতা কি ? “তেল” শব্দ অশ্লীল 2 নহে, অশ্রাব্য ও নহে ; ভদ্র সমাজে উহার ব্যবহারে কেহ কুষ্ঠিত द। ठाख्चिड श्श ना ; यूर टद्ध १ डाभa সাহিত্যের ভাষাতেও “তেল”ই ব্যবহার করিব । তবে যদি কেহ স্থল বিশেষে লালিত্যের বা সৌষ্ঠবের অনুরোধে “তৈল” শব্দেরই ব্যবহার করেন, তাহাতেই যে শাস্ত্ৰী মহাশয়ের আপত্তি ঘটিবে, বোধ হয় না । কেননা সাহিত্যের মুখ্য উদ্দেশ্য লোকশিক্ষা হইলেও আর একটা উদ্দেশ্য আছে ; উহাকে সৌন্দৰ্য্যসৃষ্টি বলিতে পারা যায় { সাহিত্যের এ ব টা অংশ আছে, তা হা সৰ্ব্বসাধারণের জন্য নহে ; উহা গুণীর জন্য ও অভিঞ্জের জন্য ও কলাবতে বা জন্য ৭০ সমাজদারের জন্ত । সেক্সপীয়রের কাব্য সর্ব সাধারণের জন্য লিখিত হয় নাই ; সৰ্ব্বসাধারণ ডাঙ্গার রসাস্বা দনে অধিকারী নহে। নিউটনের প্ৰিন্সিপিয়া তৎকালের পণ্ডিতসমাজের জন্য লাটিনে লিখিত হইয়াছিল। বড় বড় বৈজ্ঞানিক গ্ৰন্থ পারিভাষিক শব্দ-বহুল ভাষায় ৷ লখিত হয় ; উহ। সাধারণের সম্পূর্ণ অবোধ্য। কালিদাস র্তাহার কাব্যগ্ৰন্থ তৎকালে অ প্ৰচলিত সংস্কৃত ভাষায় লিখিয়াছিলেন ; তাহার উদ্দেশ্য ছিল, সমাজদারের জন্য সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি কুমারসম্ভবের “ইয়ং মহেন্দ্ৰপ্ৰভূতানাধিপ্ৰিয়শ্চতুৰ্দিগীশ (নবমত্য মাননী ৷” ইত্যাতি (শ্লাক