পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২৭৬

Sob- সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৪র্থ সংখ্যা শিক্ষিতসমাজে ও ভদ্রসমাজে কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় যত সংস্কৃত শব্দ ব্যবহৃত হয়, অশিক্ষিত BBBDDS DSS uDBDLYS S DDDD DBBBBDL KB DDD SS DBDBDBS SKD S BBBD DBDBDS DDS BBBDS BDDD SDBD S SDDB D SS BDBDD BB MLSSS DBB DDS DDDTBTBB KD DBDBD হয়, অপণ্ডিতপ্রধান প্রদেশে তত হয় না। স্থানভেদে ও কালভেদে ও সমাজের স্তরভেদে ও বক্তার সাময়িক অবস্থাভেদে এরূপ ইতারবিশেষ অবশ্যম্ভাবী । এইরূপ হইবারই কথা । এদেশেও এইরূপ, অন্য দেশেও এই রূপ। ইহা সার্বভৌমিক, সনাতন নিয়ম | নিশ্চয় বলিতে পারি না, তবে ঘোর সংশয়ের বিষয়, যে শিষ্ট সমাজে শিষ্ট সুধীগণ যখন শিষ্ট ভাষায় শিষ্ট বিষয়ের আলোচনা করেন, তখনও বোধ করি তাহদের কথাবাৰ্ত্তায় খাটি ংস্কৃত অপেক্ষা খাঁটি বাঙ্গলাই অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং অশিক্ষিত সমাজে অশিষ্ট লোকে যখন জ্ঞানতঃ অসাধু ভাষা ব্যবহার করে, তখন যে খাটি বাঙ্গলারই নিরঙ্কুশ প্ৰভূত্ব থাকে, তাহা বলাই বাহুল্য । সুতরাং কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় খাটি বাঙ্গলারই প্ৰাধান্য অস্বীকার করিবার উপায় নাই । যাহারা এজন্য দুঃখিত, তাহারা হয়ত আশা করেন-প্ৰাচীন বঙ্গভূমির এই পুরাতন সমাজের ভবিষ্যজীবনে ঈদৃশ শুভদিন আগমন করিবেক, যখন নিরক্ষর কৃষকবালক অবাধ্য ধেনু'বৎসকে তিরস্কারকল্পে সাধু ভাষার প্রয়োগ করিবেক, হট্টমধ্যে পণ্যবীথি কপাশ্বে উপবিষ্টা মৎস্যজীবিনী কলহ,ব্যপদেশে অসাধ্বী ভাষা ব্যবহারে কুষ্ঠিত হইবেক, এবং কোষগ্রন্থসকল প্ৰাকৃত গৌড়ীয় শব্দের দুৰ্ব্বহাভারবহনের শ্রমস্বীকারে অব্যাহতি প্ৰাপ্ত হইবেক । কিন্তু যতদিন সেই সুদূরপরাহত শুভদিন উপগত না হইতেছে, ততদিন আমাদিগকে মানিমুখে স্বীকার করিতেই হইবে, যে অস্মদীয় কথোপকথনের ভাষায় গৌড়ীয় শব্দের প্রাধান্য শোচনীয় রূপে বিদ্যমান। এই কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় ব্যবহৃত খাটি বাঙ্গলা শব্দের সংখ্যা কত ? কেহই বলিতে পারেন না ? সংখ্যানিরূপণের চেষ্টাই এপৰ্য্যন্ত হয় নাই । সংখ্যানিরূপণ আতি বৃহৎ ব্যাপার ; কেন না। অসংখ্যোয় প্ৰাদেশিক শব্দ, যাহা দেশের সর্বত্ৰ প্ৰচলিত নাই, যাহা সঙ্কীর্ণ প্ৰদেশ মধ্যে আবদ্ধ, তাহাও এই শ্রেণীর মধ্যে আসিবে । আবার অসংখ্যের পারিভাষিক শব্দ, যাহা চাষার ব্যবসায়ে, তাতির ব্যবসায়ে, মুন্দির ও ময়রার ব্যবসায়ে, আদালতে, জমিদারি সেরেস্তায় প্ৰচলিত, তাহা শ্রেণিবিশেষের ও সম্প্রদায়বিশেষের মধ্যেই আছে, সাধারণের নিকট সেই সকল শব্দ রাশি পরিচিতও নহে ও দুৰ্ব্বোধ্যও নহে। কিন্তু সেই শব্দ:রাশিও এই শ্রেণীর বাঙ্গলা শব্দের মধ্যেই আসিবে। এই বিশাল শব্দসমূহের সীমানিৰ্দেশ অল্প জনের বা অল্প দিনের কাজ নহে। বহুকালের বা বহুজনের সমবেত চেষ্টায় এই কাৰ্য্য কতক পরিমাণে সাধিত হইতে পারে । কিন্তু এই কাৰ্য্য সুসম্পন্ন না কওয়া পৰ্য্যন্ত আমাদের বাঙ্গলা ভাষার ধাতু কি, মজ্জা কি, শোণিত কি, অস্থি কি, তাহার নিরূপণ হইবে না। এই শব্দ রাশির মধ্যে কতিপয় শব্দ বিদেশ হইতে বিজাতীয় লোকের সংস্রবে। বাঙ্গলার প্ৰবেশ লাভ করিয়াছে । তাহদের সংখ্যা নিতান্ত অল্প না হইলেও সাহিত্যের মধ্যে তলনায়