পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ 8थ न२९T ܓ݁ܶ0ܘܓ কলিকাতায় শুকনো বলে এবং অর্থান্তর ঘটাইলে “শুকনো” (শুকোনো” লিখন ও কথনে ব্যবহৃত হয় । ৮ । “ই” প্ৰত্যয় সম্বন্ধে রবীন্দ্র বাবু সমস্ত শব্দকে এক শ্রেণীতে ফেলিয়াছেন। তঁহার মতে লিঙ্গভেদে বা অর্থভেদে কোন প্ৰতীয়েই “ইর” হ্রস্ব ছাড়া দীর্ঘরূপ নাই। এ সম্বন্ধে অনেক তর্ক-বিতর্ক উঠিতে পারে। শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ শাস্ত্রী ভারতীতে তাহার কয়েকটি তুলিয়াছেন। তঁহার সকল যুক্তি আমার অনুমোদিত নহে। আমি আমার যুক্তি তর্ক এখানে जुलित না । তবে মনে হয় যে প্ৰত্যয়াদি যখন অর্থবোধক চিহ্ন মাত্র, তখন তাহা যত স্পষ্ট হয় ততই ভাল । যদি চিহ্নের হ্রস্বত্বে দীর্ঘত্বে শব্দের লিঙ্গাদিজ্ঞানে সাহায্য করে, কারুক না । তাহাতে বাদী হইবার প্রয়োজন কি ? আরও একটা দেখিবার বিষয় আছে,- এই “ই” প্ৰত্যায় নিষ্পন্ন কতকগুলি বৈদেশিক ভাষার শব্দ বাঙ্গালার অঙ্গীভূত হইয়া গিয়াছে, সেগুলির আকার আমাদের ভাষায় প্ৰবেশকালে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া না থাকিলে, ইচ্ছা করিয়া বিকৃত করিবার আবশ্যকতা বোধ হয় কিছুই নাই, বরং আকারটা ঠিক রাখিয়া দিলে জিনিসটাকে ঠিক চেনা যাইবে এবং ঋণটাও স্বীকার করা যাইবে। এই কারণে “দাগী” শব্দের “ঈ”কে আমি রবীন্দ্ৰ বাবুর মতে হ্রস্ব করিতে প্ৰস্তুত নাহি বা শ্ৰীশরচ্চন্দ্ৰ শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে সংস্কৃত “অস্ত্যর্থ ঈ” প্ৰত্যয় বলিতেও প্ৰস্তুত নাহি । উহা হিন্দী শব্দ, হিন্দী ভাষায় ঐ “ঈ” সম্বন্ধে যাহা বলে, বাঙ্গালাতেও তাঁহাই বলা হউক ! এই হিসাবে কলুনী, তেলিনী, মালিনী প্ৰভৃতি স্ত্রীবাচক শব্দের, নবাবী, আমীরী, হিসাবী, জমীদারী, পাচহাজারী, উকীলী, ওকালতী, পিকদানী, নাসদানী প্ৰভৃতি শব্দের এবং কেরাণীগিরী, বাবুগরী, মুটেগিরী প্ৰভৃতি শব্দের বানান ঠিক করিয়া প্ৰত্যয়ের রূপ নির্দেশ করা আবশ্যক । আমার মতে এখানে মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের কথিত রবীন্দ্ৰ বাবুর অতিসাবধানতা বিশেষ কাৰ্য্যকারী হয় নাই । ৯ । ই + আ নামে রবীন্দ্র বাবু যে প্ৰত্যয়টি নির্দেশ করিয়াছেন, কলিকাতার উচ্চারণে তাহা আদৌ বৰ্ত্তমান নাই । রবীন্দ্র বাবুও সেই জন্য এই প্ৰতায়ের প্রত্যেক উদাহরণ পাশ্বে বন্ধনীর মধ্যে কলিকাতার উচ্চারণটি লিখিয়া দিয়াছেন, তবে কলিকাতার উচ্চারণ অনুসারে এই শব্দগুলি লিখনের ভাষায় লিখিত হয় না বলিয়া তাহাকে এই প্ৰত্যয়টি নির্দেশ করিতে হইয়াছে। পূৰ্ব্ববঙ্গের প্রদেশবিশেষে এই সকল শব্দের শেষের আকার যফলার উচ্চারণের ন্যায় ঈষৎ বক্ৰ। প্ৰাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যে এরূপ স্থলে পদান্তে “ঞ” এর প্রয়োগ দেখা যায়, আমার বিশ্বাস সেই শব্দগুলির উচ্চারণ স্বরের বিকৃতি ঘটিয়া ঐ “্য ” “ইয়া” রূপ ধারণ করিয়াছে যথা, のエー(エーのリー奪5cmー煮5mー কেঁদলিয়া, জঙ্গুলে-জঙ্গুল্যা-জঙ্গলিয়া, জেলে-জেল্যা-জেলিয়া ইত্যাদি। এই স্থলে রবীন্দ্ৰ বাবু না বলিলেও প্ৰসঙ্গতঃ একটা কথা বলিয়া যাই ; এখনকার বাঙ্গলা ভাষার লিখিতরূপের মধ্যে বলিয়া, শুনিয়া, ধরিয়া, ছাড়িয়া, কহিয়া, যাইয়া, রাখিয়া, ইত্যাদি যাবতীয় অসমাপিকা ক্রিয়া আছে, সে গুলিরও প্ৰাচীন সাহিত্যে বাল্যা, শুন্যা, ধর্যা, ছোড়্যা, কয়্যা, যায় বা যেয়্যা, ;