পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*{ >○obア बां७ळ झु९ & उद्दिकड् । RNO& BDDYSDBBYS KBDB MBDD S DBBD0D DDDB BDBD D DBBYSLuDBBSKDDDDS প্ৰজাহায়ের । হারা-হিন্দী প্ৰত্যয় । আবৃত্তি বুঝাইতে সংখ্যাবাচক শব্দের উত্তর হারা প্ৰত্যয় হয় ; যথা---এক হারা, দোহারা, তেহারা, চৌহারা, মাসহায়া (মুশারা)। কেহ কেহ "দশহরা” শব্দকে এই হার। প্ৰত্যয় নিম্পন্ন শব্দ মনে করিয়া “দশহারা” বলেন তাহা নহে, উহা দশহরা শবদ । তদ্ধিত ও কৃৎ। সম্বন্ধে আমার আর বলিবার কথা বিশেষ কিছু নাই । এই স্থলে কয়েকটি বাঙ্গল উপসর্গের কথা বলিয়া প্ৰবন্ধ শেষ করিলাম । উপসর্গের মধ্যে সংস্কৃত ‘প্ৰপারাপাসম” প্ৰভৃতি কুড়িটি খাটি সংস্কৃত ভাষার উপসর্গ ছাড়িয়া দিলে বাঙ্গলায় বড় বেশী পাওয়া যায় না । যাহা পা ওয়া যায়, তাহারও সকল গুলিই যে বিশুদ্ধ বাঙ্গলা ভাষার শব্দ তাঙ্ক নহে ; তবে প্ৰচলিত বাঙ্গালায় তাহদের অবাধ্য-প্ৰয়োগ আছে বলিয়া এবং সেগুলি সংস্কৃত ভিন্ন অন্য ভাষা হইতে গৃহীত হইলেও সেগুলিকে বাঙ্গালা বলিয়াই গ্ৰহণ করা গেল । এবং করিবার কারণ সেগুলি মূলতঃ যে যে ভাষার সম্পত্তি, অনেক স্থলে তাহদের সেই সেই ভাষাগত উচ্চারণ বা বানান করিবার প্রণালী বাঙ্গালায় অবিকৃত ভাবে রক্ষিত হয় নাই । অ-আকষ্টবদ্ধ, অকাজ, অবেলা, অমান্নি ( অস্বীকার ) । অকষ্টবদ্ধ শব্দে “অ’” স্বার্থে প্ৰযুক্ত ; আমার বোধ হয় কথাটা আকষ্টবদ্ধ হইলেই চলে। অপরােত্র “অ’” নঞর্থবাচক । আ-খাটী বাঙ্গালী উপসৰ্গ ৷ প্ৰধানতঃ ইহাদ্বারা নঞর্থ প্ৰকাশ পায় যথা,-আভিাঙ্গা, আধোয়া, আকাচা, আমাজা । এই সকল উদাহরণ হইতে দেখা যাইতেছে যে, এই উপসর্গ ক্রিয়াবাচক বাঙ্গালী বিশেষ্য পদের পূর্বে বসিলে বিশেষ্যের নঞর্থ অর্থাৎ বিপরীতাৰ্থ প্ৰকাশ করে এবং শব্দ সংগঠনে কোন পরিবর্তন ঘটায় না । “আনাড়”-এই শব্দে “নাড়া।” এই ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যপদের পুৰ্ব্বে এই “আ” উপসর্গ বসিয়া অস্ত্যস্বরকে হ্রস্ব করিয়াছে । “আনাছ-কানাছ” কথার মধ্যে যে “আনাছ” শব্দ আছে, উহ! আ + নাছ ( সদর বা প্ৰকাশ্য স্থান ) এই দুই শব্দ যোগে উৎপন্ন। এখানে “অ্যা” উপসর্গ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যের পূৰ্ব্বে না বসিলেও নঞর্থ প্ৰকাশ করিতেছে। “আঘাট|”—আ + ঘাট এই দুই শব্দের যোগে উৎপন্ন। এখানেও উপসর্গটি নঞর্থ বাচক, কিন্তু পদগঠনে অন্ত্যস্বরের বৃদ্ধি হইয়াছে দেখা যাইতেছে । এইরূপ-আগাছা । “আকালি”-শব্দের “আ” কে কেহ কেহ এই নঞর্থ উপসর্গ বলিতে চাহেন । আমার বিবেচনায় তাহা নহে। “আকাল” শব্দের অর্থ হইতে কালের বা সময়ের ভাব পরিস্ফটি হইলেও, উহা আমার বিবেচনায় আ+ কাল এই দুই শব্দ যোগে উৎপন্ন নহে ; অথবা সংস্কৃত *অকাল” শব্দের সহিত উহার অর্থগত বা প্ৰকৃতিগত কোন সাদৃশুই নাই । আমার মতে