পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের মাসিক কাৰ্য্যবিবরণী । ७॥८/० शैलूख् शैक्लिनाथ प्रख, qन् 1, दि व् । শ্ৰীযুক্ত অমৃতকৃষ্ণ মল্লিৰু বি, এল । ১. রমেশচন্দ্ৰ বসু। . , রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী, এম এ, বি এল। , অশ্বিনীকুমার ঘোষ । ( সম্পাদক ) 55 | || , হেমেন্দ্ৰপ্ৰসাদ ঘোষ, বি এ । ১ অক্ষয়কুমার বড়াল । ( সহকারী সম্পাদক ) , নলিনীভূষণ গুহ । মহামহোপাধ্যান্য পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদশাস্ত্রী, এম এ মহাশয় সভাপতির আসন গ্ৰহণ করেন । সত্যেন্দ্র বাবু তাহার বিশদ প্ৰবন্ধপাঠ করিলে, শ্ৰীযুক্ত ক্ষীরোদচন্দ্র রায় চৌধুরী, এম এ মহাশয় বলেন,-প্ৰবন্ধটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে, ঐতিহাসিক অংশ ও দার্শনিক অংশ। উভয় অংশ সম্বন্ধেই বলিবার অনেক কথা আছে, যথা-বুদ্ধ সাধনাৰ্থ কাশী কি হিন্দুর রাজধানী বলিয়া কাশীতে গমন করিািরয়াছিলেন ইত্যাদি। ঐতিহাসিক অংশে একটি মাত্ৰ কথা বলিব, সন্ন্যাসী বুদ্ধ অশীতিবর্ষ বয়ঃক্রম-কালে চণ্ডাল-গৃহে শূকর মাংস-ভক্ষণফলে রোগে প্ৰাণত্যাগ করেন, এই একটা কথা প্ৰচলিত আছে, আজ প্ৰবন্ধেও তাহার উল্লেখ দেখিলাম। কথাটা কেমন শুনায় ! শূকর মাংস শব্দের আরও অর্থ আছে ; এক অর্থ বংশের কেঁাড়া আর এক অর্থ শিলীন্ধ। একরূপ শিলীন্ধ, বিষাক্ত। যাহারা বিশেষ মনোযোগসহকারে বৌদ্ধ-গ্ৰন্থাদি পাঠ করিয়াছেন, তাহারা বলেন চণ্ড ভ্ৰমক্রমে বিষাক্ত শিলীন্ধ, দিয়াছিল। দার্শনিক অংশ সম্বন্ধে সৰ্ব্বপ্রধান বক্তব্য এই যে, বৌদ্ধ মত কি ভারতবর্ষ হইতে বিতাড়িত হইয়াছে ? বৌদ্ধগণকে কি ভারতবর্ষ হইতে তাড়াইয়া দেওয়া হইয়াছিল ? শ্ৰীযুক্ত ধৰ্ম্মপাল বলেন, মুসলমানেরা মন্দির ভাঙ্গিত ও বৌদ্ধদিগকে কোতল করিত। সত্যেন্দ্র বাবু আজি দেখাইয়াছেন, সুধম্বাও তাহাদিগকে বিনষ্ট করিবার জন্য আদেশ প্রচার করিয়াছিলেন। শাস্ত্রী মহাশয় বলেন, বৌদ্ধধৰ্ম্ম তান্ত্রিক ধৰ্ম্মরূপে বর্তমান ; বোধিসত্ব ও সাকার উপাসনার সংযোগে তন্ত্র ধৰ্ম্মের উৎপত্তি। ডাক্তার রাজেন্দ্ৰলাল মিত্র যখন উড়িষ্যার বিবরণ বৰ্ণনা করেন, তখন জগন্নাথের প্রাণ-প্ৰতিষ্ঠার ব্যাপারের অনুসন্ধান করিয়া অবগত হন, যখন নবকলেবর হয়, তখন পুরাতন কলেবর হইতে একটি পিণ্ড লইয়া নবী কলেবরে প্রদত্ত হয় ; তখনই তিনি উপাস্য, তৎপূর্বে নহেন। সে কেবল স্বৰ্ণ কৌটার পঞ্জরাস্থি। তবেই বুঝুন, বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিতাড়িত কি এখনও জগন্নাথরূপে বিরাজিত ও উপাসিত ! সত্যেন্দ্র বাবু বুঝিতে পারেন নাই । আত্মা না মানিলে জন্মান্তরবাদ কিরূপে সম্ভবে ? এ সম্বন্ধে একটা গল্প আছে, একজন লোক বাজার যাইবার সময় গোপকে দুই সেরা দুগ্ধের মূল্য দিয়া দুগ্ধ রাখিতে বলিয়া যায়। সে যখন ফিরিয়া আসিল, তখন দুগ্ধ দধিতে পরিণত হইয়া গিয়াছে, এখন সে সেই দধি লাইবে কি না ? দুগ্ধ যেরূপ রূপান্তরিত হইল, আত্মা না থাকিলেও জীবের সেইরূপ রূপান্তর হইবে না কেন ? এক চিন্তামাত্র আমাদের জীবন, তাহার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রূপান্তব। যে সূত্রে স্ফটিক রাশি একত্র গ্রথিত থাকে. মানবের পক্ষে কৰ্ম্মই সেই সূত্ৰ ।