পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের মাসিক কাৰ্য্যবিবরণী। Ol / ه প্ৰযুজ্য। ওদন্তপুর অধিকার কালে মুসলমানের মুণ্ডিত-মস্তকগণকে সংহার করিয়াছিলেন। ব্যক্তিয়ার পুথি পাইয়া পড়াইবার লোক পান নাই। কাশী, সাৰ্ণাথ, বুদ্ধ গয়া, কুশীনগর প্রভৃতি খুড়িয়া ভস্ম পাওয়া যায়। বোধ হয় মুসলমানগণই পোড়াইয়াছিলেন। ন্যায়ের মূলে বৌদ্ধদিগের সঙ্গে কলহ দেখা যায়। নেপালে উদয়নাচাৰ্য্যের “বৌদ্ধাধিকার” গ্রন্থের প্রতিবাদ আছে। মুসলমানাধিকারের তিন চারিশত বৎসরের মধ্যে আর বৌদ্ধ গ্রন্থাদি নাই। মালদহে ১৪৬৭ খৃষ্টাব্দে কায়স্থের লেখা পুথি পাওয়া গিয়াছে। নেপালে বৌদ্ধ তন্ত্র পাওয়া গিয়াছে, সে সকল ১৪৯৮,৯৯ ও ১২০০ খৃষ্টাব্দে বিহারে লেখা । চৈতন্যের সময়েও বঙ্গােদশে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের চিহ্ন লুপ্ত হয় নাই। চুড়ামণি বলেন, তাহার আবির্ভাবে বৌদ্ধগণও পুলকিত হইয়াছিল। তখন তিব্বত হইতে বৌদ্ধগণ আসিতেন। র্তাহারা বলেন, নানাস্থানে ষোড়শ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত বৌদ্ধধৰ্ম্ম ছিল। তাহার পর আর বড় চিহ্ন পাওয়া যায় না। ময়না গ্রামে “ধৰ্ম্মমঙ্গলের” ধৰ্ম্ম ঠাকুরের লীলা-ভূমি। ধৰ্ম্ম বৌদ্ধ ত্ৰিমূৰ্ত্তির মধ্যমূৰ্ত্তি। সেখানে নীচ জাতীয়ের গৃহে কচ্ছপ মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে। সেখানে নাকি একটা পুষ্করিণী হইতে একখানি প্ৰস্তর, ধৰ্ম্ম ও শঙ্খ উঠে। প্রস্তর-বুদ্ধিমূৰ্ত্তি, ধৰ্ম্ম—স্তুপ, শঙ্খ-সঙ্ঘ। একস্থানে ময়রা ও অন্য স্থানে হাড়ী পূজারী দেখা গিয়াছে। সেখানে নিত্য পূজা হয়। মন্দিরের পশ্চাতে শূকরাবলিও হয়। সেখানে দেবতা শিবে পরিণত হইয়াছেন। প্রস্তরে বৌদ্ধমূৰ্ত্তি ও চিহ্ন দেখা যায় ; সেই চিহ্ন ক্রিমে জগন্নাথে পরিণত হইয়াছে। তাহার পর নেপাল অনুসন্ধান করা হয়। নেপালের বর্তমান রাজারা হিন্দু; পূর্ববৰ্ত্তী রাজারাও হিন্দু ছিলেন, তবে তাহার, বৌদ্ধধৰ্ম্মে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। সেখানে গত ২০০ বৎসরের মধ্যে বৌদ্ধ রাজা নাই। তৎপূর্বেও কয়পুরুষ মাত্র বৌদ্ধ রাজা ছিলেন। সেখানে বেদী ও বিহার আছে। কলিকাতার ৪৫ নং জানবাজার ষ্ট্রীটে যে মূৰ্ত্তি আছে, তা মে গণেশের ও পঞ্চানন্দের মূৰ্ত্তি, পরে ষষ্ঠ ও শীতলার মূৰ্ত্তি, এক কোণে জ্বর। দেtson-বৌদ্ধ বলিয়া বুঝিতে বিলম্ব হয় না। এখন কথা, বৌদ্ধ-ব্যাপারে বলি দেয় কেন ? পূজারীরা বলে বলি পঞ্চানন্দ, জ্বর প্রভৃতির উদ্দেশে। বলির সময় একটি দ্বার বন্ধ থাকে, সে ধৰ্ম্মের। কাজেই দেখা যাইতেছে, বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিলুপ্ত হয় নাই। হিন্দুরাও এক সময় বৌদ্ধদিগের উপর অত্যাচার করিয়াছিলেন। “ধৰ্ম্মপূজাপদ্ধতির” ব্যবস্থা হিন্দুর মত। শেষ একটি ছড়া আছে; নাম নিরঞ্জনের উষ্ণা, ( নিরঞ্জন - শ্বেত ; উষ্ণ – ক্ৰোধ) । সদ্ধাশ্মীদিগের উপর ব্ৰাহ্মণগণ বড় অত্যাচার করেন। চাদ চাহেন, দাহ করেন ইত্যাদি। র্তাহারা ধৰ্ম্মের শরণ লইলে ধৰ্ম্ম প্যাগম্বর হয়েন ও সাদী, দিগকে মহম্মদাদি সাজান, দুৰ্গা Eve হয়েন। তঁহারা ব্ৰাহ্মণদিগকে প্ৰহার করেন। বঙ্গদেশ দখল করিতে মুমলমানের ২০০ বৎসর লাগিয়াছিল। শঙ্করাচাৰ্য্য বা মুসলমানগণ বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিলোপ করিতে পারেন নাই। তাহার বীজ লুপ্ত হয় নাই। তাহা বিকৃত হইয়া এখনgifta rett Caricature Buddhism Corf বিরাজিত । বুদ্ধ গয়ায় বরাবরই নেপাল তটতে লোক আসিয়া থাকে। ললিতপত্তনে ৰুদ্ধগয়ার মন্দিরের অনুরূপ মন্দির আছে।