পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

90'e সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা । [ ২য় সংখ্যা \ইচ্ছাক, ইহাতে আপনায় মত কি ? রাণা উভয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহিলে উহার মতিভুঙ্গরির নিকট যাইয়া রাণাকে অভিবাদন করিলেন। কিন্তু উহারা বলিলেন যে, রাজা ঈশ্বরীসিংহ রাণী মহাশয়কে দেখিবার জন্য তঁহাকে নিজপ্ৰসাদে নিমন্ত্রণ করিয়াছেন, সেই-- খানেই সমস্ত কথা স্থির হইবে। রাণী জগৎ সিংহ বলিলেন, এ কি কথা, ঈশ্বরীসিংহের লিখিত ইচ্ছা এই যে আপনারা এইখানেই যথা কৰ্ত্তব্য নিম্পত্তি করিবেন, অথচ আপনারা মুখে বলিতেছেন অন্য কথা। বিদ্যাধর উত্তর করিলেন, রাজাদিগের আদেশ এককালে সমগ্ৰ বুঝিতে পারা যায় না ; তিনি মুখে আমাদিগের নিকট এই অভিপ্রায়ই প্ৰকাশ করিয়াছেন যে রাণাজী পঞ্চাশজন অশ্বারোহী সহিত জয়পুরপ্রাসাদে আগমন কয়িলে সমস্ত স্থির হইৰে । রাণা বিদ্যাধরের বাক্যকৌশলে মুগ্ধ হইয় তাহাতেই স্বীকৃত হইলেন। জয়পুরের সাঙ্গানীয় দয়জ হইতে প্ৰাসাদ পৰ্য্যন্ত বিলক্ষণরূপে সুসজ্জিত ছিল । সৈন্যদের উপর আদেশ ছিল যে রাণাসাহেব সহরে প্রবেশ করিবামাত্ৰ ভঁাহার পঞ্চাশজন অশ্বারোহীর দশজনকে “আটকাও” কয়া হয়, আর কিয়দৱ অগ্রসর হইলে আর দশজনকে । এইরূপে প্রাসাদে পৌছবার সময় vএকমাত্র রাণা নিজেই থাকেন, আর কেহ সঙ্গী না থাকে এরূপ করা চাই । সহরের মধ্যে রাণা প্ৰবেশ করিলে এই অপ্ৰিয় আচরণ র্তাহাকে দেখিতে হইল ; কিন্তু তখন আর তিনি কিছু করিতে পারেন না। যখন তিনি মৃত ঈশ্বরীসিংহের নিকট সমানীত হইলেন, তখন বেশভূষার ভিতর হইতে র্তাহাকে মৃত বলিয়া বুঝিতে পারিলেন না। বিদ্যাধর রাণাকে সম্বোধন করিষ্কা কহিলেন, রাজার অভিপ্ৰায় এই যে রাণাসাহেবের প্রাণবধ করা হয়। রাণা তখন বিলক্ষণ ফাদে পড়িলেন, এরূপ বিশ্বাসঘাতকতা তিনি আশা করেন নাই, অথচ সেখানে ক্ৰোধ প্ৰকাশ । করিতে পারেন না, কারণ তিনি সম্পূর্ণরূপে শক্রবেষ্টিত। অতএব তিনি ঈশ্বরীসিংহের পক্ষে অনুকুল সন্ধির প্রস্তাব করিয়া আপনার মুক্তির জন্য চেষ্টা পাইতে লাগিলেন। বিদ্যাধর কহিলেন যে, আমাদের মহারাজ নিজ অনুজ ও রাণাসাহেবের পিতৃস্ব-সৃপুত্র মাধবসিংহকে অৰ্দ্ধেক রাজ্য কেন সমস্ত রাজ্য সমর্পণ করিতে প্ৰস্তুত আছেন, কিন্তু আপনি এইখান হইতে হুকুম দিন যে আপনার সমস্ত সৈন্য ও মলহাররাওয়ের সমস্ত সৈন্য নগরের সান্নিধ্য পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যায়। রাণা তাহাই করিলেন। উদয়পুরী ফৌজ সমস্ত চলিয়া গেল ; কিন্তু ধনপিপাসু। মারাঠা সর্দার যাইলেন না । তিনি নগরের পশ্চিমদিকের চাদপোল দরজা দিয়া নগর আক্রমণের চেষ্টা পাইলেন। কিন্তু হরিহর চক্ৰবৰ্ত্তী পূর্বেই এক কাজ করিয়া রাখিয়াছিলেন, তিনি দুইটা পণীপত্ৰ ( খুব লম্বা, শক্ত ও তীক্ষুধার খড় বিশেষ ) এক তোলে৷ হাঁড়ির ভিতর প্রোথিত করিয়া চাদপোল দরজায় মন্ত্রাদিষ্ট করিয়া স্থাপিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। হোলকারের সৈন্য আসিলে ঐ পণী একটা সহস্রটা হইয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল। সৈন্যেরা ক্ষতবিক্ষত হইয়া পলায়ন করিল ৷ এই অদ্ভুত প্ৰবাদ গল্পের মূলে কতকটা ঐতিহাসিকসত্য নিহিত আছে তাহা নিশ্চয় করা দুঃসাধ্য। ঋস্থায় রাজ্য ফাড়িয়া লইতে আসিয়াছেন, তঁহারই প্রাসাদে রাণাসাহেবের যাইতে সন্মতিদান ও শুষ্ঠািখ্য উপস্থায় নিশ্চলত দেখিয়া ও জীবিত মনে করা অবিশ্বাস্ত। পাণীপত্র কখঙ্গও যুদ্ধ