পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... SSS সাহিত্য পরিষৎ-পত্রিকা F | { ২য় সংখ্যা “কবিৰ্বাকৃপতিরাজশ্ৰীভবভূত্যাদিসেবিতঃ। জিতো যযৌ যশোবন্ম তদ গুণন্তুতিবন্দিতাম।” 8৷১৪৪৷৷ অর্থাৎ কবি বাকপতিরাজ ও ভবভূতি প্ৰভৃতি দ্বারা সেবিত বিজিত রাজা যশোবাশ্মী। ( বিজয়ী কাশ্মীরপতি) ললিতাদিত্যের গুণ ও স্তুতিগানা করিবার জন্যই যেন বন্দিত স্থানে গমন করিলেন । এতদূর স্পষ্টই জানা যাইতেছে যে কনোজাধিপতি যশোবন্ম ললিতাদিত্যের নিকট যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া ঠাঁহার প্রিয় কবি বাকৃপতি ও ভবভূতি সহ কাশ্মীরে যাইতে বাধ্য হইয়াছিলেন । কহলণের মতানুসারে ললিতাদিত্য ৬৯৫ হইতে ৭৩২ খৃষ্টাব্দী পৰ্য্যস্ত রাজত্ব করেন । ঐ সময়ের মধ্যে কোন সময়ে কনোজরাজের পরাজয় ঘটে। এদিকে রাষ্ট্ৰীয় ও বারেন্দ্ৰ কুলশাস্ত্ৰ श्रृङ७ ।। আমরা জানিতে পারিয়াছি যে, ৬৫৪ শকে ( ৭ ৩২ খৃষ্টাব্দে ) গৌড়রাজসভায় সাগ্নিক ব্ৰাহ্মণ! আনয়নের উদ্যোগ চলিতেছিল । রাজকবি বাকৃপতি তাহার উৎসাহদাতা। কনোজরাজ যশোবন্মদেবের কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিবার উদ্দেশ্যেই “গউড়ািবছো|” বা ‘গৌড়বধ’ নামক প্ৰাকৃত কাব্য রচনা করেন । এই গৌড়বিধ হইতেই আমরা জানিতে পারি যে, কনোজপতি মহারাজ যশোবন্মা। একজন পরাক্রান্ত দিগ্বিজয়ী নরপতি ছিলেন। গৌড়ৰধকাব্যে ক্যান্যকুজপতি যশোবৰ্ম্মের গৌড়বিজয়যাত্ৰা পাঠ করিলে আমাদের মহাকবি কালিদাসের রঘুবংশে অজরাজের দিগ্নি জয়যাত্রা মনে পড়ে। তঁহার বিপুল বাহিনীর পদভরে শোণিনিদের উপত্যকাভূমি প্ৰকম্পিত, তাহার বীরত্বপ্রভাবে মগধাধিপতি পরাজিত, গৌড়ীয় সামন্ত-নৃপালবৰ্গ পশ্চাদপদ ও গৌড়ীয় সেনার শোণিতে রণক্ষেত্র রক্তপ্লাবিত, এবং । গৌড়রাজ ধৃত ও নিহত হইয়াছিলেন। কনোজপতি মলয়পৰ্ব্ববতসন্নিহিত দাক্ষিণাত্যপতিকে বিজিত শু সমুদ্রতীর ভেদ করিয়া পারসিক জাতিকে পরাস্ত করিয়াছিলেন । এইরূপে জয়দৃপ্ত মহারাজ যশোবাশ্ম নৰ্ম্মদাতীরে আসিয়া কাৰ্ত্তবীৰ্য্যের কীৰ্ত্তিদর্শন ও তীর্থবাস করিয়া মরুদেশ দিয়া শ্ৰীকণ্ঠে ( থানেশ্বরে ) আগমন করেন, এখানে জনমেজয়ের সর্পসত্র ও কুরুক্ষেত্রে কর্ণের রণভূমি দর্শন করিয়া বাস্তবিক সেই মহাবীরের, হৃদয় বীররসে আপ্লত হইয়াছিল। তিনি অযোধ্যানগরীতে একদিনে একটা সুরপ্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া অপূৰ্ব্ব কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন। এমন কি কবি বাকপতি উজ্জ্বল ভাষায় লিখিয়া গিয়াছেন যে, গৌড়-বিজয়ের পর, তিনি যে সকল রূপমাধুৰ্য্যময়ী মাগধ-রাজকুলললনাকে বন্দিরূপে আনিয়াছিলেন, ক্রীতদাসীর স্তায় সেই সকল রাজকুলবধু কনোঙ্গরাজ-দরবারে সর্বসমক্ষে যশোবাশ্মীরাজের রাজ শ্ৰীমণ্ডিত্ত করা বপুতে চামক ব্যাজনা করিয়াছিল । পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি, মহাকবি, ভবভূতি যশোবন্মরাজের সভাকবি ছিলেন। তাহার বীরচরিত '8 खैबुद्रष्ष्ड् বৈদিক মাৰ্গ-প্রবর্তনের চিত্র অতি সুস্পষ্ট চিত্রিত হইয়াছে। লবকুশের জাতকৰ্ম্ম, চুড়াকরণ, উপনয়ন ও বেদাধ্যয়ন ; রামচন্দ্রের দীক্ষাগ্ৰহণ, গোদানমঙ্গল ও বিবাহাদি সংস্কার ; তাণ্ডায়নাদির ব্ৰহ্মচৰ্য্য, অতিথিসৎকার ও তঁহার বিধিব্যবস্থা প্ৰভৃতি পাঠ করিলে পদে পদেহ যেন সেই প্রাচীন বৈদিক সমাজের চিত্ৰ মনে আসিয়া পড়ে। ভবভূতি বেদ,