পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Mr. SoYY ঐতিহাসিক সমস্যা । ' $ Sዓ উপনিষদ, ধৰ্ম্মশাস্ত্র, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতির মত উদ্ধৃত করিয়া বৈদিক সনাঙ্গের আদর্শ প্রদর্শন করিয়াছেন। বৌদ্ধ ও তান্ত্রিক ধৰ্ম্ম হইতে প্ৰতিনিবৃত্ত হইয়া জনসাধারণ যাহাতে বৈদিক আচার ব্যবহারের অনুসরণ করেন, ভবভূতির দৃপ্তকাব্যগুলিতে সেই গুঢ় ठgलथ अख्तिJड द्रश्gिछ । ভবভূতির দৃশ্য কাব্য পাঠ করিলে ও তাঁহার আশ্ৰয়দাতা মহারাজ যশোবর্ষার চরিত্র আলোচনা করিলে সহজেই মনে হইবে যে, কনোজ-রাজসভা হইতেই উত্তর-ভারতে বেদমাৰ্গ-প্ৰবৰ্ত্তনের চেষ্টা চলিতেছিল। মহারাজ যশোৰক্ষ্মা দুষ্টের দমন ও পুনরায় বৈদিক ধৰ্ম্মস্থাপনাৰ্থ বিশেষ যত্নবান হইয়াছিলেন, সেই জন্যই তিনি কবিবর বাকপতির গৌড়বিধকাব্যে হরির অন্যতর অবতার “কমলায়ুধ” নামে পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছেন। বলিতে কি, কনোজাধিপ কমলায়ুধ উত্তর ভারতীয় হিন্দুসমাজে যে সনাতন বৈদিক ভােব উজ্জীবিত করিতেছিলেন, গৌড়বাসীকে তাহার অমৃতময় ফলভোগ করাইবার জন্যই মহারাজ আদিশূর কনোজ-রাজসভা হইতে সাগ্নিক ব্ৰাহ্মণ आनाक्षेत्रांब्र জন্য বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন। অধিক সম্ভব, ৬৫৪ শকে আদিশূর অভিষিক্ত হন। তখন হইতেই কনোজের দিকে তঁহার লক্ষ্য ছিল। তাই বারেন্দ্র ও রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণদিগের কোন কোন কুলগ্রন্থে ৬৫৪ শক বা ৭৩২ খৃষ্টাব্দে গৌড়ে ব্ৰাহ্মণাগমনের কথা লিখিত হইয়াছে। কিন্তু তখনও আদিশূর। গৌড়ের একাধীশ্বর হইতে পারেন নাই, তখনও গৌড়ে সম্পূর্ণ হিন্দু আধিপত্য প্ৰতিষ্ঠিত হয় নাই ;-তখনও বৌদ্ধ প্ৰভাব,--বৌদ্ধাচার ও তান্ত্রিকতায় গৌড়ভূমি সমাচ্ছন্ন, তাই সহজেই আচারভ্ৰষ্ট হইবার আশঙ্কায় কান্যকুব্জবাসী নিষ্ঠাবান সাগ্নিক ব্ৰাহ্মণগণ প্ৰথমে গৌড়ে আসিতে সম্মত হন নাই। শুভক্ষণে যশোবন্মবিজেতা ভারতবিজয়ী ললিতাদিত্যের পৌত্ৰ কায়স্থবীর জয়াদিত্য পৌণ্ডবৰ্দ্ধনে আগমন করিলেন, শুভক্ষণে কাশ্মীর ও গৌড় সম্বন্ধসূত্রে আবদ্ধ হইলেন। কাশ্মীরপতি জয়াদিত্য পঞ্চগৌড়ের নৃপালবৰ্গকে পরাজিত করিয়া তাহার শ্বশুর, “লাদিশূর” উপাধিধারী রাজা জয়ন্তকে সকলের অধীশ্বর করিয়াছিলেন এবং তঁহারই প্রভাবে কনোজপতি পরাজিত ও আদিশূরের আমন্ত্রণে গৌড়দেশে বৈদিক ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য সাগ্নিক ব্ৰাহ্মণ পাঠাইতে বাধ্য হইয়াছিলেন। উক্ত কনোজপতি কমলায়ুধ-যশোবন্মা পূর্বে গৌড়জয় করিয়া এদেশে মহাবীর বলিয়াই প্ৰসিদ্ধ ছিলেন, সেই জন্য এ দেশীয় কুলগ্রন্থসমূহে তিনি “বীরসিংহ” নামে আখ্যাত হইয়াছেন ।

  • , এই কমলায়ুধু হইতেই কনোজে ‘আয়ুধ’ উপাধিধারী রাজবংশের প্রতিষ্ঠা। যতদিন কমলায়ুধ

যশোবন্ম জীবিত ছিলেন, ততদিন, কান্তকুজে পৃথুর রাজ্য চলিয়াছিল -বিপদে সম্পদে হিন্দুকুলতিলক কিনোজপতি একদিনের জন্য ও স্বীয় উদ্দেশ্য বিস্মৃত হন নাই । কত বৈদেশিক আক্রমণে তিনি উত্ত্যক্ত হইয়াছেন, কতবার কাশ্মীরসৈন্য কান্তকুজের যথাসৰ্ব্বস্ব গ্ৰাস করিতে উদ্যত হইয়াছে, তথাপি তিনি কনোজের সিংহাসনে বসিয়া হিন্দুধৰ্ম্ম উদ্ধারের জন্য যে যত্ন ও অধ্যবসায়

  • দেখাইয়া গিয়াছেন, তাহারই প্ৰভাবে আজও কান্যকুব্জ বঙ্গবাসীর চক্ষে সাগ্নিক বিপ্রের লীলা

ভূমি ও বুদ্ধিজীবী কায়স্থগণের আদি জন্মভূমি বলিয়া মহাপুণ্যক্ষেত্রেরূপে সমাদৃত হইয়া থাকে।