পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मन ०७. : 1 ঐতিহাসিক সমস্যা । ܕܬܐ ܐ গল্প বলিয়া স্বীকার করিলেও পূর্ববর্ণিত জৈনগ্রন্থসমূহ হইতে কনোজপতি আমরাজ ও গৌড়পতি ধৰ্ম্ম উভয়ে যে সমসাময়িক ছিলেন, তাহার বিলক্ষণ প্ৰমাণ পাওয়া যাইতেছে । যে কবি বাকৃপতি বৈদিক মার্গ প্ৰবৰ্ত্তক যশোবন্মার সভা উজ্জ্বল করিয়াছিলেন, তাহাকেই আবার আমরা গৌড়পতি ধৰ্ম্মের সভায় উপস্থিত দেখি । বঙ্গের বারেন্দ্র ও রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণগণের কুলগ্রন্থ হহঁতে আমরা জানিতে পারিয়াছি ধে গৌড়ধিপ আদিশূরের পরই পালবংশের অভু্যদয় ঘটে । রাষ্ট্ৰীয় কুলাচাৰ্য ইরিমিশ্রেীর কারিকায় *স্পষ্টই লিখিত হইয়াছে যে, রাজা আদিশূরের বংশীয়েরা বেশী দিন গৌড়রাজ্য ভোগ করিতে পারেন নাই। অনতিপরেই বৌদ্ধধৰ্ম্মানুরাগী দেবপালের আধিপত্য বিস্তৃত হইয়াছিল । * ইতিহাস আলোচনা করিলেও দেখা যায় যে, ধৰ্ম্মপালাই গৌড়ের পালবংশীয় প্রথম নৃপতি । ইনিই জৈনগ্রন্থ সমূহে গৌড়াধিপ। "ধৰ্ম্ম” নামে প্রখ্যাত হইয়াছেন। এখন আমরা জানিতে পারিতেছি যে, কনোজপতি কমলায়ুধ যশোবন্ম ও গৌড়পতি আদিশূর উপাধিধারী জয়ন্তের সময় যেমন কান্তকুঞ্জ ও গৌড়দেশে বৈদিক ধৰ্ম্মের পুনর্যুদয় শটিয়াছিল, আবার পরবন্তী কনোজপতি আমরাজের সময় সেইরূপ কাঠাকুজে জৈনধৰ্ম্মতুদিয়া এবং গৌড়পতি ধৰ্ম্মপালের সময় গৌড়ভুমে বৌদ্ধ প্রভাব বিস্তৃত হইতেছিল। খালিমপুর হইতে প্রাপ্ত ধৰ্ম্মপালের তাম্রশাসনে ও বর্ণিত হইয়াছে— “তোজৈম অংস্তৈঃ সমুদ্ৰৈঃ কুরুন্যদুঘবনাবস্তিগন্ধারকীরৈতৃ পৈব্যালোলমেলি প্ৰণতি পরিণতৈঃ সাধুসংগীীৰ্য্যমাণঃ। হৃষ্যং পঞ্চালকূদ্ধোদ্বত কনকময় স্বাতিযেকোন্দকুম্ভোদত্তঃ শ্ৰীক ন্যকুব্জসললিত চলিতভ্রািলতা লক্ষ্ম যেন ৷” ভোঞ্জ, মৎস্য, মদ্র, কুরু, যদু, যবন, অষষ্ঠী, গান্ধার, কীর ( কাশ্মীর ) প্ৰভৃতি দেশীয় ভূপতিগণ অবনত মস্তকে প্ৰণতিপূর্বক যাহার সাধুবাদ কীৰ্ত্তন করেন, তিনি ( সেই গৌড়পতি ধৰ্ম্মপাল) নে কান্ত কুক্সে অভিষিক্ত হুইলার জন্য সহৰ্ষে পাঞ্চালকূদ্ধোন্ধত, সুমনোহর ভ্রািলত চিহ্নিত অভিষেক বারিপূর্ণ কনকময় কুন্তু প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন,' তাহ কনোজপতিকেই প্ৰদান করিলেম । उँवूङ তাম্রশাসমোক্তি হইতে জানিতেছি যে, রাজা ধৰ্ম্মপাল কনোজপতিকে স্বরাজ্যে . অভিষিক্ত করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মপালের ত্ৰাতৃ প্রপৌত্র নারায়ণপালের তাম্রশাসনের 可〔5, ধৰ্ম্মপাল ইন্দ্র রাজকে পরাজয় করিয়া চক্রায়ুধকে সিংহাসন প্ৰদান করিয়াছিলেন । উত্ত ইন্দ্ররাজ কে ? এই ইন্দ্র রাজের কাল ও পরিচয় সম্বন্ধে মতভেদ লক্ষিত হয়। " পুণার ডি, আয়, তাণ্ডারকর অল্পদিন হইল, রাষ্ট্রকূটপতি ৪র্থ গোবিন্দের তাম্রশাসন আলোৰ চনা উপলক্ষে দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন যে, রাষ্ট্রকূটপতি ৩য় ইন্দ্ৰই উক্ত ইন্দ্ররাজ । তিনি ' ধৰ্ম্মপাল ও ৪র্থ গোবিন্দের তাম্রশাসনের উপর নির্ভর করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে فقہ استسڈ ہمتعلقہ معینتیس ক বিশ্বকোষ ৪র্থ ভাগ “কুলীন” শব্দ দ্রষ্টব্য।