, রঘুনাথ শিরোমণি । 11 ܕܬܣܬ ܘqܕ রঘুনাথকে পাইলেন। রঘুনাথ অল্পবয়স্ক শ্ৰীচৈতন্যকে প্রথমতঃ বড় গ্ৰাহ করিতেন না ; কিন্তু একটু পরেই তঁহার এ ভ্ৰম ঘুচিয়া গিয়াছিল এবং তিনি শ্ৰীচৈতন্তের অসাধারণ প্ৰতিভায় স্তম্ভিত হইয়াছিলেন । . . . f এক দিন। সার্বভৌম রঘুনাথকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেন। রঘুনাথ সে প্রশ্নের উত্তর কোন ক্ৰমেই স্থির করিতে পারিতেছিলেন না। তিনি মির্জনে এক বৃক্ষমূলে বসিয়া ঐ প্রশ্নের উত্তর চিন্তা করিতে করিতে একবারে ধ্যানমগ্ন হইয় পড়েন। সুৰ্য্যদেব যে অনেক দূরে চলিয়া গিয়াছেন, শাখাস্থিত পক্ষীরা য়ে তাহার অঙ্গে নিষ্ঠ ত্যাগ করিয়াচ্ছে, এ সকল তিনি DBBDB DSSiiDDSuDBDD KBBD DD DBDYS BBDD DDD BuuOLLB BB BBBB হইলেন এবং তঁহাকে তােদৰস্থ দেখিয়া, ভঁহার গাত্রে করিস্থিত জলের ছিটা দিলেন। জলের শীতলতায় রঘুনাথের চিন্তাশ্ৰোত পরিবর্তিত হইল, তিনি শ্ৰীচৈতন্যকে দেখিয়া হাসিলেন। নিমাই বলিলেন- "তপস্বীীর ন্যায় বসিয়া অত কি ভাবিতেছ?” “সে কথায় তোমার কাজ কি ? তুমি কি তাহা বুঝিতে পরিবে ?”-রঘুনাথ উত্তর দিলেন। শ্ৰীচৈতন্য দেব কিন্তু প্রশ্নটি শুনিতে বিশেষ জেদ করাতে রঘুনাথ অগত্যা তাহা বলিলেন। তখন শ্ৰীচৈতন্য শ্রবণমাত্রে তাহার। উপযুক্ত উত্তর দিয়া বলিলেন,-“এরই জন্য তোমার এত চিন্তা ?” রঘুনাথ বিস্মিতভাবে বলিলেন-“নিমাই ! তুমি কি দেবতা ?” ইহার পর আর একটী ঘটনায় রঘুনাথ চৈতন্যের প্রভাব বুঝিতে পারেন। রঘুনাথ ন্যায়ের এক টিল্পনী লিখিতে আরম্ভ করেন ; শ্ৰীচৈতন্যদেবও ঐ সময় ন্যায়ের এক টীকা লিখিতেছিলেন ; রঘুনাথ কোন ক্রমে জানিতে পারিয়া, ঐ গ্ৰন্থখানা তাঁহাকে দেখাইতে নিমাইকে অনুরোধ করেন। নিমাই স্বীকৃত হইয়া এক দিন জাহ্নবী সন্নিধানে রঘুনাথকে তাহ পাঠ করিয়া শুনাইতে আরম্ভ করেন। রঘুনাথের মনে বিশ্বাস ছিল যে, তাহার কৃত গ্ৰন্থখানা অদ্বিতীয় হইবে, ইহা দ্বারা তিনি খ্যাত হইবেন। কিন্তু নিমাইকৃত গ্রন্থে অদ্ভুত বিচারপদ্ধতি ও সিন্ধান্তশ্রবণে র্তাহার সে ভরসা চলিয়া গেল। চিরপ্রোথিত আশা দূর হইতে লাগিল এবং সেই সঙ্গে তাঁহার ধৈৰ্য বিদূরিত হইল ; তাহার চক্ষু ছল ছল করিতে লাগিল। এতদূষ্ট করুণ-হৃদয় নিমাই বড় ব্যথিত হইলেন এবং বলিলেন, “ভাই! তুমি কঁাদিতেছ। কেন ?” রঘুনাথ বলিলেন,-“আমার আশা ছিল, জগতে বিখ্যাত হইব ; কিন্তু আমি দুই পৃষ্ঠা লিখিয়া যাহা ব্যক্ত করিতে পারি নাই, তুমি এক ছত্ৰে , তােহা করিয়াছ। তোমার এ গ্ৰন্থ থাকিতে আমার লেখায় কেহ দৃকপাত করিবে না।” এরূপ ‘উক্তি শুনিয়া নিমাই সহস্তে বলিলেন,-“ইহার জন্য এত ভাবনা কেন ? এই অফল শাস্ত্রের আবার ভাল মন্দ কি ? ইহা বলিয়া তিনি স্বীয় রচিত টীকাখানা জাহ্নবী-জলে বিসর্জন করিাএলেন।*। এইরূপে জগৎ এক মহামূল্য সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইল। এই সময় হইতে নিয়াই স্থায়শাস্ত্ৰ অধ্যয়নও ত্যাগ করিলেন। রঘুনাথের সেই গ্ৰন্থই দীধিতি।
- “সেই ক্ষণে शिानिदि দয়া উপজিল। নিজকৃত টীকা গঙ্গা মাঝে ডারি দিল।।” (ঈশানদাসকৃত অদ্বৈত্তপ্রকাশ।। ১
কিন্তু অদ্বৈতপ্রকাশে রঘুনাথের নাম নাই। সা- প - সৰু । । حا R