পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরক্ষর কবি ও গ্ৰাম্য কবিতা । YOY [ לכס כי אל স্ত্রী-কবিগণের একটী বিবাহবিষয়ক গীতের গুটিদুই পদ এই, যথা “বরের মাসি বরের পিসি বসে ভাবচ কি তোমাদের পিজারের পাখী আমরা এনেছি। কোন দেশেতে ছিল পাখী কোন দেশেতে এল, ঐ যে, বামুনবাড়ীর পাকা জামে ঠোকর মেরে গেল। কোথা হ’তে এল টিয়ে মাথায় সোণার চুড়ো, ওলো, দুধে আলতায় রাঙ্গা ক’নের বর হলো বুড়ো । পান পুকুর হেচড়া দামে ছিল কচি কমলাকলি ঐ যে, মুচড়ে তুলে নিয়ে গেল বনের বনমালী।” (বরের মাসি) ইত্যাদি। আহা কি মধুর কবিত্ব ! কি অপূর্ব দ্ব্যর্থঘটিত ভাবুকতা ! যদিও এই সঙ্গীতটির মধ্যে কতকটা অশ্লীলতা প্রচ্ছন্নভাবে স্ফরিত হইতেছে, তথাপি ইহার গভীর ভাবসাগরে কবিত্বমাধুরী কেমন তরঙ্গের পর তরঙ্গ তুলিয়া উথলিয়া পড়িতেছে। আর একটি শ্লোকের দুইটি চরণমাত্র আমার মনে আসিতেছে। পূর্ণভাবে শ্লোকটি শিখিবার আবশ্যকও হয় নাই, অথবা সুবিধাও ঘটে নাই। যথা “উঠছে কমল দপ ক’রে পাকলে হবে লাল शऊ ७ि न ९° क८द्र, খাবে চির কাল।” ইত্যাদি অতঃপর আর একটি স্ত্রী-গীত এবং শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া নিরক্ষর স্ত্রী-কবিগণের কবিত্ব আলোচনায় পাঠকের কৌতুহল পূর্ণ করিব। যথা “অত বড় হচ্ছে গৌরি হাত কেনে তোর খালি, আমার সঙ্গে ক ও না কথা মনের কথা খুলি। আমি দিব শাখা সাড়ী সেই কথাটি কই, ভাঙ্গড়ের সঙ্গে পিরিত করলে গৌরি সই। কুজবরণ রংটি তোমার মেঘবরণ চুল • নাকের ডগায় নাইকো নলক কাণে নাইকো দুল। শিবের শিবানী তুমি-লোকের মহাভুল ৷” ইত্যাদি আঁবার রাজুদ্ধানী-বিভাগের প্রায় সমস্ত জেলায় যে মেয়েলি বিবাহ-গীতটি গীত হইয়া থাকে। ફેંશ૭ এই স্থানে উদ্ধৃত হইল যথা— “অতি সুন্দর রামেরে কি দিয়ে সাজাব, ঐ যে মালিবাড়ীর মুকুট এনে রামের মাথায় দেবো, পুড়ো বাড়ীর হলুদ কিনে রামেরে মাখাবো । ७ ब्रांभ १igन gिt७ gथेि তোমার আর কি সাজ বাকী।