পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So . সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ >ጓ ጻtቀ፬ ዘ যাহা হউক, রঘুনাথ প্ৰতিভাবলে বাসুদেবকে চমকিত করিয়াছিলেন, তিনি সার্বভৌমরুভ টীকায় বহু দোষ বাহির করিয়া দিয়াছিলেন, এমন কি, নিজ পাঠগ্ৰন্থ গঙ্গেশোপাধ্যায়কৃত “চিন্তামণি” গ্রন্থেও দোষ প্ৰদৰ্শন করেন। নবদ্বীপে তখন ন্যায়ের উপাধি-পরীক্ষা ছিল না, রঘুনাথ নবদ্বীপে পাঠ সমাপনপূর্বক মিথিলার মহাপণ্ডিত পক্ষধর মিশ্রের নিকট অধ্যয়ুনার্থ গমন করেন। প্ৰায় ১৪২১ শকাব্দে রঘুনাথ মিথিলায় গমন করেন। তিনি মিশ্রাবাসে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন যে, একখানি নিৰ্জন গৃহে পণ্ডিত অবস্থিতি করিতেছেন। মিশ্র, রঘুনাথকে তখন একটি প্রশ্ন করিলেন, কিন্তু রঘুনাথ প্ৰত্যুত্তরে অসমর্থ হওয়ায় নিগৃহীত ও লজ্জিত হইয়া বাসায় প্রত্যাগমন করিলেন। তিনি বাসায় আসিয়া আলোচনা করিয়া দেখিলেন যে, প্রশ্নটি একটা ফাঁকি বই কিছু নহে! তৎপরদিনও এইরূপ ঘটিল। রঘুনাথ ভাবিয়া আকুল হইলেন, কেন এরূপ ঘটে ? কেন পক্ষধ্বরের সাক্ষাতে র্তাহার প্রতিভা বিলুপ্ত হইয়া যায় ? BDBD DD DBB D BDBBD DDDB DBB BBDBDBD D BB BBBDS DDD DDD BBBDB করিতে না পারিয়া চতুর্থাদিনে মিশ্রাবাসে উপস্থিত হইয়া দেখেন যে, মিশ্রবর গৃহে উপস্থিত । নাই, কিন্তু তাহার পুথিখানা খোলা রহিয়াছে। এতদূষ্ট তিনি ভাবিলেন যে, পক্ষধর অসাধারণ পণ্ডিত, যিনি তাহার প্রতিভাকে উপৰ্য্যুপরি তিন দিন আচ্ছাদিত করিয়াছেন, তিনি শাস্ত্ৰ চিন্তা ব্যতীত এক তিলও বৃথা ব্যয় করেন, সম্ভব নহে ; তবে তিনি গ্ৰন্থ খোলা রাখিয়া DDBDB BD D BB DSDYB DBB BBB BBD DDD BBD eBDD DDSDBD করিতে করিতে অন্যমনস্কভাবে তিনি তদাবস্থায় পুস্তক রাখিয়া গিয়াছেন। এইরূপ ভাবিয়া তিনি গ্রন্থের খোলা পৃষ্ঠা পাঠ করিয়া দেখিলেন ; কিন্তু কিছুই পাইলেন না, তবে একটি শব্দ এরূপ ভাবে দেখিলেন যে, তৎপরবর্তী নকার সপ্তম্যন্ত পদের উত্তর নিষেধার্থক বলিয়া আপাততঃ প্ৰতীয়মান হয়, কিন্তু তাহা হইলে অর্থ সঙ্গত হয় না । ফলতঃ শব্দটি তৃতীয়া বিভক্তির একবচনান্ত, তাহাতে নিষেধাৰ্থক নকার নাই। রঘুনাথ অন্য কিছু না পাইয়া ইহাকেই মিশ্রের সন্দেহ স্থল বলিয়া বোধ করিয়া, এই শব্দটি তৃতীয়া বিভক্ত্যন্ত, এতদপ্ৰতিপাদক এক টীকা লিখিয়া পুস্তকের উপরে রাখিয়া দিলেন। মিশ্র ইত্যবসরে গৃহে প্ৰবিষ্ট হইলেন এবং পুস্তকের উপরিভাগে অভিনব টীকা দেখিতে পাইয়া তাঁহাই সঙ্গত বলিয়া গ্ৰহ করিলেন। “এ টীকা কি তুমি লিখিয়াছ ?” রঘুনাথকে । পক্ষাধর জিজ্ঞাসা করিলে তিনি স্বীকার করিলেন। তখন পক্ষাধর বলিলেন, “তোমার অভিলাষ । ব্যক্ত কর।” রঘুনাথ বলিলেন,-“বাহিরে আসুন,-এ আপনার তপঃসিদ্ধ-গৃহ, এ গৃহে বিচায়ে প্ৰবৃত্ত হইব না, এ গৃহে আমার বুদ্ধি আচ্ছাদিত হইয়া যায়।” পক্ষধর তখন বাহিরে গেলেন এবং তথায় রঘুনাথ বহুক্ষণ বিচারের পর পক্ষাধরকে পরাস্ত করিলেন। পক্ষধর রঘুনাথের প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন এবং শিষ্যরূপে গ্ৰহণ করিয়া ন্যায় অধ্যয়ন করাইতে লাগিলেন। পক্ষধারের অধ্যাপনার এক রীতি ছিল। তিনি চতুষ্পাঠীতে বসিয়া নিজ কাৰ্য্য করিতেন, শিষ্যগণ পিছনে থাকিয়া পড়িত। কিন্তু কোন ছাত্র যদি সূক্ষ্মতর্কে যোগ্যতা প্ৰদৰ্শন করিয়া ।