পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

via YoYY নিরক্ষর কবি ও গ্ৰাম্য কবিতা । S80 কচু গাছে উঠিয়ে বলে সামাল সামাল, এত দুঃখ দিলিরে ভাই বাদল কামার।” এইরূপ ভাবেয়া কৃষকশিশুবোধ্য সুলভ সহজ শব্দ-বিন্যাসে এই সমস্ত গীতগুলি রচিত । এতদ্ব্যতীত কোন কোন অপেক্ষাকৃত উন্নত নিরক্ষর কবি দেশপ্রচারিত শুভ অশুভ সংবাদ লইয়া এবং কোন বিশেষ ঘটনা লইয়া এইরূপ ভাবের শব্দে পৌষপার্বণগীত রচনা করিয়া থাকে। এক সময় নলডাঙ্গার রাজ। প্রমথভূষণ দেব রায় বিধবার বিবাহ দিয়া সমাজে একটি মহা হুলস্থূল উপস্থিত করিয়াছিলেন। সেই সময় কোন একজন নিরক্ষর কবি গাইয়াছিল G “যত বুড়ো নড়ি হাতে চল্লো নলডাঙ্গায়, যুবতী বিধবার বিয়ে করিবার আশায়। ঘুড়ো হেটে যেতে থুবড়ে পড়ে। তবু চলে যায়, বাছিয়ে কবিবে নিকে গিয়ে নলিডাঙ্গায়। স্বামী শ্যামী বামী জগী গৃহস্থের ঝি, ডাকে তারা মালা লয়ে ( আয় )। গলায় পরায়ে দি। ७ कांती द९४न ८°ांफुl qफुांना क्षणीि शांश, তাই তারা বুড়ে যুবো কিছুর দিক না চায়।” ইত্যাদি আবার কোন কোন নিরক্ষর কবি হিন্দু-মুসলমানের পুরাণ, কোরণ হইতে ঘটনাবিশেষ লইয়া এই পৌষপার্বণগীতি রচনা করিয়াও প্রকাশ করিয়া থাকে। এই সকল গীতের মধ্যে স্থানে স্থানে মধুর কবিত্ব কেমন সুন্দরভাবে অলঙ্কারবিহীনা ষোড়শী রূপসীর ভ্যায় মৃদু মম্বর গতিতে উন্মুক্ত প্ৰান্তরে যেন পদচারণ করিতেছে। যথা“নন্দরাণী নন্দরাণী বড়ই ভাগ্যবান, সেই ঘরেতে জন্ম নিলেন কৃষ্ণ বলরাম । রাত দুপুয়কালে রাণী ঘাটে চলে যান, শূন্য ঘর পেয়ে কৃষ্ণ সকল ননী খান। " ননি খেলো কেরে গোপাল ননীখেলো কে, আমিত খাইনেই ননী বলাই খেয়েছে। এক গোপী উঠে বলে ওরে ননীচোরএই ত খালি, ভাণ্ড ভেঙ্গে হাতে মাখা তাের, ঘলাই ত খায়নি ননী কৃষ্ণ বাণ্ডিল পুরেছে। তখন রাগে রাণী উঠে গিয়ে ব্যাপদে ছিড়ে নিয়ে, গাতী-ছাদন-দড়ি দিয়ে বান্ধলেন। কৃষ্ণে গিয়ে। আলাফ দিয়ে ধরলেন কৃষ্ণ কদম গাছের ডাল, গোপীগণ বলে কৃষ্ণ সামাল সামাল