পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' সন ১৩১১ ] , মিরাক্ষর কবি ও গ্রাম্যকবিতা । '86 ভাষায় মানবকে হৃদয়ের অন্তঃস্তল অধিকার করাইতে পারে, তিনিই কবিত্বময় জগতের গৃঢ় রহস্য পরিজ্ঞাত আছেন। সেই জন্য একজন দার্শনিক কবি বলিয়াছেন “কবিরাই জানে ধরা তোর লীলা খেলা তাতে আর তোতে ভেদ করে নাকে তার Cडाभांद्र शुङ्ग डिनेि नए खां*ब्रिड, নলিনীদলগত ফুল্প সলিলের মত ৷” অতঃপর আমরা এই স্থানে এই অংশের উপসংহার করিতে বাধ্য হইলাম। কিন্তু একটি কথা আছে, আজকাল পুস্তকে কোন পুরাতন প্রাচীন রীতিনীতি বা আমোদ উৎসবের উল্লেখ না থাকিলে কালে তাহা একেবারে দেশ হইতে বিদূরিত হইবে। যেহেতু অধুনা পাশ্চাত্য সভ্যতার কুহিকে ভারতীয় অকৃত্ৰিম ভাবগুলি প্ৰায়ই মুহমান হইয়া পড়িয়াছে । আমরা এখন অনুকরণ প্ৰণালীর কৃতদাস-ইউরোপ আজ আমাদের জ্ঞানবিজ্ঞানের শিক্ষক। যে জাতি একদিন সমগ্র জগতের শিক্ষকস্থানে বসিয়া মানবে। আর দেবতার তুল্যরূপ ক্ষমতা প্ৰদৰ্শন করিয়াছে, আজ সময়ের মহীয়সী শক্তির গুণে সেই জাতির বংশধরগণ বিদেশীর নিকট । অধ্যয়ন করিয়া সভ্য হইলাম ভাবিয়া অহঙ্কারে স্ফীতবক্ষ । এইজন্য প্ৰাচীন ভাবগুলি পুস্তকাকারে রক্ষা করাই সঙ্গত বলিয়া গ্রথিত হইল । “সারীগীত” অতি পুরাতন, যখন ভারতে হিন্দুগৌরবারবি অস্তমিত প্ৰায় অথচ ইসলামগৌরবসুৰ্য্য প্ৰদীপ্ত প্ৰভায় সমুদ্ভাসিত, তখনও বঙ্গে সারিগীত ছিল। প্ৰমাণস্বরূপ প্ৰাচীনগণ বলেন যে, যে সময় নাটোররাজ্যাধীশ্বরী প্ৰাতঃস্মরণীয়া ভবানীর কন্যা সিরাজউদৌলার ভয়ে যশোহর জেলার লুপ্তগৌরব মহম্মদপুরে অবস্থান করিতেন, তখনও দশভুজার পূজার পর বিজয়ার দিন। সারীগীত গীত হইত। অদ্যাপিও মাগুরা মহকুমার পূর্বাংশের লোকে গাইয়া থাকে যথা “হারে ও মাঝি বসে ভাবিস কি, थान लूल। लcन शएड बॅड्ङ्गाम था.छ क्षि। ভালো দুদে চিনি দিয়ে রামসাগরের ধারে, তারা দেবী রাণীর মেয়ে দাড়ায়ে পথের ধারে । দশভূজা করে পূজা প্ৰসাদ লয়ে হাতে, দশমীর আরতি দিতে দাড়ায়ে আছে পথে ।” এই সকল প্রচলিত সারিগীত দ্বারা বাস্তবিক আমরাও বুঝিতে পারি যে, সারিগীত বহু পুরাতন, কিন্তু ভাষার শব্দবিন্যাস দেখিলে অভিনব বলিয়াই অনুমান হয়। যাহা হউক সারী, গীতে অন্যান্য গ্ৰাম্যকবিতা হইতে শব্দমাধুৰ্য্য অধিক। যশোহর জেলার প্রসিদ্ধ জমিদার নড়াইল রায় বংশের পুরুষসিংহ ৬/রামরতন রায় জমিদারী প্রভার বলবত্তা প্ৰকাশের জন্য “জলযাত্ৰা” নামে একটি উৎসব করিয়া ভঁহাদের কুলদেবস্তা SR সারীগীত ।