পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

it boy) পয়ার-ছন্দের উৎপত্তি । । 8s এ পৰ্যন্ত কেহই কিছু বলেন নাই, এ কথা পূর্বেই উক্ত হইয়াছে। কেবল “বাঙ্গালাভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক প্ৰস্তাব”-লেখক পরলোকগীত পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন মহাশয় উক্ত পুস্তকে পয়ারছন্দের উৎপত্তি সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়াছিলেন এবং উক্ত পুস্তকের সমালোচনা: উপলক্ষে প্রথম বর্ষের “বঙ্গদর্শনে” বঙ্গের সর্বতোমুখী প্ৰতিভাসম্পন্ন সম্পাদক স্বৰ্গীয় বঙ্কিমচন্দ্র। চট্টোপাধ্যায় এতৎসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করেন ; কিন্তু তঁহাদের মধ্যে কোন মহাত্মাই কোনরূপ সমীচীন সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারেন নাই। চট্টগ্রামের প্রাচীন বাঙ্গালা পুথির অন্যতর অধিকারী শ্ৰীযুক্ত আবদুল করিম মহোদয়কে এই পয়ার সম্বন্ধে কতিপয় প্রশ্ন লিখিয়া পঠাইয়াছিলাম, তিনি প্ৰত্যুত্তরে যাহা লিখিয়াছেন নিয়ে তাহা উদ্ধৃত করিলাম :-"পারস্যভাষায় পয়ার বলিয়া কোন শব্দের অস্তিত্ব নাই। চট্টগ্রামের ছেলেদের মধ্যে “বাখপিয়ার” নামক এক খেলা প্ৰচলিত আছে বটে, কিন্তু তাহাতে পয়ার শব্দের উদ্দিষ্ট কি বুঝি না। বোধ হয় আলাওল সাহেবের রচিত “সপ্তপয়কর” নামক পুথির কথা শুনিয়াছেন। তাহাকে সাধারণতঃ লোকে “সপ্তপয়ার” নামেই অভিহিত করিয়া থাকে । , উক্ত স্থলে “পল্পকর” শব্দের অর্থ ছবি। “পয়কর” শব্দটি পারসী। পয়করের পরিণতি লোকের মুখে “পয়ার” হইয়াছে দেখিলেন । এই হিসাবে পয়কর হইতে পয়ার উৎপত্তির একটা কারণ অনুমান করা যাইতে পারে। অনুমান হইলেও সেটা এখানে উল্লেখ করিলাম”। তঁহার অনুমানের “ক” অংশ যথা :- 弹 , “আপনি জানেন যে, বিশেষ বিশেষ রসের বা ছন্দের অবতারণা স্থলে প্ৰায়ই ত্ৰিপদী একাবলী ত্ৰোটক প্ৰভৃতি ছন্দের ব্যবহার প্রাচীন কবিগণ করিয়া গিয়াছেন। এরূপ স্থানে বর্ণনীয় বিষয়ের বিশেষ কোন বর্ণনা থাকে না ; অর্থাৎ গল্প বা ঘটনার বেশী বর্ণনা থাকে না । প্রাচীন পুথিমাত্ৰেই দেখিবেন, যে অংশ তথায় “পয়ার” চিহ্নিত হইয়াছে, তাহাতে স্কুল ঘটনা মাত্ৰ বৰ্ণনা করিয়া দেওয়া গিয়াছে। অতি উচ্চশ্রেণীর কবি ভিন্ন পয়ার অংশে বিশেষ কোন রসের বা সৌন্দৰ্য্যের বিশ্লেষণ প্ৰায় থাকে না । চিত্রকারের ছবি ও কবির কাব্য বর্ণিত "ঘটনা।” একই জিনিস বলিয়া, বোধ হয় কবির কাব্যখানি একটা ছবি ভিন্ন আঁর কিছুই নহে। আমার বোধ হয় ত্রিপদী প্ৰভৃতি ছন্দে কবি। ছবির সৌন্দৰ্য্যমাত্ৰ প্ৰদৰ্শন করেন, আর পয়ারে ঠিক ছবিটাই প্ৰদৰ্শন করেন। এই জন্য কাব্যের গল্পাংশটা “পয়কর” বা “পয়ার” নামে অভিহিত হইয়ছে বোধ হয়।” তঁহার অনুমানের “খ” অংশ যথা :- “মুসলমানের “পদ্মাবতী” প্ৰভৃতি পুথি গানের সুরে পাঠ করিয়া থাকেন... । ভাল গায়কেরা (র্যাহারা পণ্ডিত নামে খ্যাত) রাগ ও ছন্দানুযায়ী গাইয়া থাকে ; সাধারণ গায়কেরাও স্বস্ব স্বাধ্যানুসারে গায়। “পয়ার” অংশ ভিন্ন অপরাপর স্থলে গায়কের রাগ ছন্দ ধরিয়া na as |- .ܐ̇ܦ̈ܝܩܣ

  • গ্লক্সিয়ৎ-গত্রিকা ১০ম ভাগ ৩৪ সংখ্যা ৮৪ পৃং নং ১২১ দ্রষ্টব্য।