পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. O. সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [৩য় সংখ্যাঃ বিশেষ আয়াস সহকারে গান করে।......... সেই জন্য পয়ারে আনিয়া তাহারা সাধারণ ভাবে ( কোন রাগ ছন্দ না ধরিয়াই ) পড়িয়া কেবল গল্প শুনাইয়া যায়। ইহাতে যেমন পরিশ্রম কম হয় তেমনি দ্রুত পাঠ করা যায়। অন্য কথায় বলিতে গেলে ইহাতে শ্রোতৃ-দর্শকের “ছবি” দর্শনটা শীঘ্র শীঘ্ৰ হইয়া থাকে। পয়ারে গল্পাংশের আধিক্য থাকে বলিয়। শ্রোতৃগণের মন গল্প শুনিবার জন্যই ব্যগ্ৰ থাকে, গায়কের গানের মাধুৰ্য্যাদির দিকে তাহদের বড় খেয়াল হয় না। এখানেও আমার বোধ হয় “পয়ারে” ছবিমাত্ৰ দেখান হয় বলিয়া উহা “পয়কর।” বা পয়ার নামে প্ৰচলিত হইয়া গিয়াছে।” । তঁহার অনুমানের “গ” অংশ যথা :- “চট্টগ্রামের “গাজীসাহেবের গান” প্ৰচলিত আছে । তাহারা গায়ককে “গাইন” বলে। গাইন ঠিক পুথি-পাঠকের মতই করে। স্থানে স্থানে ঘোষা ( ধূয়া ) ধরিয়া তাল ও নৃত্য সহকারে গীতের সুরে কোন রাসযুক্ত কথার বা অংশের বর্ণনা করিয়া যায়। পরে যেন DBBDDD BB BDDBDB BDBBD DDD SBDDDD DBJBDBBBDBD DBDBDB KKS0YDBDDBBB BBD দেয়। সেকালের যাত্ৰা-পুস্তকে “পটী” অংশের যে কাজ। উক্ত অংশে “গাজীর গাইনের”ও সেই কাজ। এখানে ও বলা যাইতে পারে যে, এতক্ষণ সৌন্দৰ্য্য প্রভৃতি প্ৰদৰ্শন করিয়া গাইন “গল্পরূপ ছবি” প্ৰদৰ্শন করে । সুতরাং পয়ার চিত্ৰবোধক “পয়কর” হইতে আসিয়াছে অনুমান कां अनश्ड cदां श् ना” । - তাহার অনুমানের “ঘ” অংশ যথা :- GS, “সাধারণতঃ গল্পযুক্ত অংশই যখন “পিয়ার” বলিয়া চিহ্নিত হইয়াছে দেখা যাইতেছে। এবং “গাম” যখন কাব্যে “চিত্ৰ” বাচক হইতে পারে, তখন ’পয়কর” হইতে পয়ারের উৎপত্তি কিছুতেই অসম্ভব ও অসঙ্গত বোধ হয় না । বলা উচিত পয়ারে গল্প ভিন্ন অপর রসাদির বর্ণনা যে খুব কম, তাহা অসংখ্য প্রাচীন পুথির দ্বারা প্রমাণ করা যাইতে পারে। এ কথা সত্য যে অনেক কবি “পয়ারে” বিবিধ রাগরাগিণী সংযুক্ত করিয়া গিয়াছেন । তবে এখানে একটা কথা জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে, বঙ্গভাষায় গল্প বা চিত্রবাচক এত শব্দ থাকিতে পারস্যভাষার দ্বারস্থ হইতে হইল কেন ? কেন যে হইল, সে বিষয়ের মীমাংসা সহজ না হইলেও তাহারও। একটা কৈফিয়ৎ দেওয়া যাইতে পারে না। এমন নয় ! ইত্যাদি ইত্যাদি। 增格 带 蜂 崇 蜥 * - বলিতে ভুলিয়াছি পারসীতে “পগ্নকার” ও “পয়গার” বলিয়া আরো দুইটী শব্দ আছে ; “পয়কার” লড়াই এবং "পয়গার”ও লড়াই, এরোদা বা ইচ্ছ। “পয়কর” শব্দের অর্থ পারষ্ঠাভিধানে “সফল” ও জিসিমা”। বলিয়া ििथङ ख्वाgछ ।' শ্ৰীযুক্ত আবদুল করিম মহোদয়ের উক্ত অনুমান চতুষ্টয় ভাষাতত্ত্ব হিসাবে অমূল্য হইলেও ইতিহাসের কষ্টিপাথরে টিকিবে কি না সন্দেহ এবং তাঁহা যথাস্থানে আলোচিত হইবে। এ সম্বন্ধে আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির চেষ্টায় যতক্ষুর অবগত হওয়া সম্ভব, তদ্বিষয় “বঙ্গীয় সাহিত্যু