পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yes সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ oጃ ጓ«ዌÍ ভারতীয় ভাষা-নিচয়ের মধ্যে যে কয়টি ভাষার সহিত বঙ্গভাষার ঘনিষ্ঠতা জন্মিয়াছে তন্মধ্যে আরবী, উর্দু, হিন্দী, উৎকালী, আসামী, মারাট্ট এবং গুজরাটী এইগুলি প্ৰধান। এই সকল ভাষার আদান প্ৰদানে বঙ্গভাষা ক্রমশঃ পরিপুষ্ট হইয়াছে। উর্দু ভাষা टांक दgद्ध नभ উৎপন্ন, সুতরাং ত্যাহার বিষয় এস্থলে উল্লেখযোগ্য নয়। আরবী প্ৰভৃতি ভাষা। মুসলমান-শাসনকালে এদেশে প্রবেশ লাভ করে, কিন্তু বঙ্গভাষা তথা পয়ার ছন্দ তৎপূর্বেই প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যক্ষেত্রে অঙ্কুরিত হইয়াছিল। উৎকল বঙ্গভাষার পরবত্তী ভাষা ;আসামীও তদ্রুপ। মারাট্টা বঙ্গভাষার পরবঔী না হইলেও উহার সহিত যখন বঙ্গের সম্বন্ধ প্ৰতিষ্ঠিত হয় সেই “বৰ্গীর হাঙ্গামার” দিন হইতেই উহার সহিত বঙ্গভাষার আদান প্ৰদান হইতে থাকে, কিন্তু তৎপূর্বেই পয়ার ছন্দ বঙ্গসাহিত্যে অধিক পরিমাণে প্ৰচলিত হইয়াছিল। হিন্দী বঙ্গভাষার প্রায় সমসাময়িক হইলেও উহার সাহিত্য বঙ্গসাহিত্যের অনেক পরে প্রচারিত হয়, সুতরাং তাহার নিকট সহজে ঋণগ্ৰহণ করিতে বঙ্গভাষা। কখনই স্বীকার করিবে না। বিশেষতঃ হিন্দীতে মিত্ৰাক্ষর ছন্দ থাকিলেও ঠিক পয়ার ছন্দ বলিয়া কোন ছন্দের অস্তিত্বই নাই। তবে সত্যের অনুরোধে বলিতে হইবে যে, এই সকল ভাষা হইতে পয়ার ছন্দের উৎপত্তি না হইলেও ইহাদের সংস্রবে: পয়ার ছন্দের সৌষ্ঠব সাধন হইয়াছে। কিন্তু জিজ্ঞাস্য, প্ৰথমে কোন ভাষার নিকট পয়ার-রূপ ঋণ গ্ৰহণ করিয়া বঙ্গভাষা সাহিত্যধনে ধনী হইয়াছে ? এমন সৌভাগ্যশালী ভাষা মহাজন কে ? অবশ্যই পয়ার ছন্দ স্বয়ত্ত্ব বা ভূইফোড় নহে! অবশ্যই ইহা প্রথমে কোন ভাষা-নিঝরিণী হইতে প্ৰথমে মন্দ মন্দ প্রবাহিত হইয়া পরিশেষে পরম পুণ্যতোয়া ভাগীরথীর ন্যায় বঙ্গসাহিত্যের হৃদয়ক্ষেত্ৰ প্লাবিত করিয়া ইহাকে উর্বর করিয়াছে। তবে বলিতে পারেন এ রত্নগৰ্ভা কে ? আমরা পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেবভাষা সংস্কৃতিকে সমগ্ৰ ভাষাসমূহের ন্যায় ইহারও। ( পয়ার ছন্দের ও ) জন্মদাতা বলিয়া অভিহিত করিতে পারি; কিন্তু কেবল নামেই জন্মদাতা ; লালন-পালনের ভার অন্যে গ্ৰহণ করিয়াছিল। যাহা হউক, সংস্কৃতের কোন ছন্দের সহিত বাঙ্গালা পয়ার ছন্দের কোন সাদৃশ্য আছে কি না তাহা জানিবার জন্য কোন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতের সাহায্য গ্ৰহণ বিধেয় বিধায় আমাদের পরিষদের লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ সদস্য পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্ৰ শাস্ত্রী মহাশয়কে এ সম্বন্ধে কতিপয় প্রশ্ন লিখিয়া পঠাইয়াছিলাম। উত্তরে তিনি এইরূপ লিখিয়াছেন “আমি অনুসন্ধান দ্বারা যতদূর জানিতে পারিলাম তাহাতে পয়ার শব্দটি সংস্কৃত অথবা প্ৰাকৃতমূলক বলিয়া বোধ হইল না।...আমি অনেক .. ” সংস্কৃত ছন্দের সহিত মিলাইয়া দেখিলাম, এক অনুষ্টপ ছন্দ ব্যতীত আর কাহারও সহিত ইহার বিশেষ কোন সোসাদৃশ্য অনুভব করিতে পারিলাম না! অনুষ্টুপ ছন্দে অক্ষরসংখ্যা প্ৰত্যেক চরণে আটট, কিন্তু পয়ার ছন্দের প্রত্যেক চরণে চৌদ্দটী। এই অক্ষরসংখ্যার নুনাতিরেক থাকিলেও লঘুগুরু সম্বন্ধে বিচার করিয়া দেখিলে অনেকাংশে pigme

  • এন্থলে এই সকল ভাষার “সাহিত্য” বলিয়া বুঝিতে হইবে।