পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y City' সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৩য় সংখ্যা হইতে হিন্দী “চৌপাই” ও ঐ “চৌপৈয়া” শব্দের "পৈয়া” শব্দ হইতে বাঙ্গালা "পয়ার” শব্দ উদ্ভূত হইয়া থাকিবে। প্রাকৃতের “চৌপৈয়া” হিন্দীর “চৌপাই”তে পরিণত হইয়াছে এবং বাঙ্গালায়ও চৌপদী নামে অভিহিত হইয়াছে। আর “চতুষ্পাঠী”ও যে সেই বাঙ্গালা “চৌপদী’র সংস্কৃত সংস্করণ তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই। এতদ্বারা আরও একটি কথার মীমাংসা হইতেছে যে সংস্কৃত “পদ” বা “পদী” শব্দ প্রাকৃতের “পৈয়া” (পয়) অথবা হিন্দীর “পাই” শব্দ প্রভৃতি একার্থিবাচক। তাহা হইলে প্রাকৃতের “চৌপৈয়া” শব্দের "পৈয়া” শব্দে { অন্ত্যৰ্থে ( “আছে এই অৰ্থে” ) “র” প্ৰত্যয় দ্বারা যদি প্ৰাকৃত “পৈয়ার” আর বাঙ্গালার ; “পয়ার” এইরূপ শব্দ নিষ্পন্ন করা যায়, তাহা হইলে আমাদের অনুমানের সমীচীনতায় আর সন্দেহ থাকে না এবং উহা ব্যাকরণানুসারে সিদ্ধ হইল বলিয়া বোধ হয় । এক্ষণে প্রশ্ন হইতে ২ পারে যে, “পদ আছে যাহার” এই অর্থে “র” প্ৰত্যয় দ্বারা যদি পয়ার শব্দ সাধিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে যাবতীয় ছন্দগুলিকে “পয়ার” বলা হয় না কেন এবং ছন্দবিশেষকে (চতুর্দিশ অক্ষর পরিমিত ছন্দকে ) পয়ার বলা হয় কেন ? ছন্দমাত্ৰেই তো পদবিশিষ্ট ? ইহার উত্তরে এইমাত্র বলা যায় যে, বঙ্গভাষার আদিস্তরের কবিতামাত্ৰেই গীত উদ্দেশে রচিত হইত এবং লোকে তাহাদিগকে “পদ” কহিত । এই কারণে বাঙ্গালাভাষার আদি কবি বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস প্ৰভৃতির গীতিকাব্য পদাবলী এবং তঁাহারাও “পদকৰ্ত্তী” নামে অভিহিত । এই সকল প্ৰাচীন কবিতমালার অধিকাংশই চতুৰ্দশাক্ষর পরিমিত পয়ার, কোন কোন স্থলে ত্রিপদীও দৃষ্ট হয়। চৌপদী প্রভৃতি ছন্দ তাহার অনেক পরে বঙ্গভাষায় প্রবেশ লাভ করিয়াছে। বস্তুতঃ “পয়ার’ই । তখনকার কবিতার জাতীয় পরিচ্ছদ। পয়ার ভিন্ন ( কেবল দু’এক স্থলে ত্রিপদীর প্রয়োগ ভিন্ন) অন্য ছন্দের অস্তিত্বই ছিল না। পয়ারছন্দই তখনকার বাঙ্গাল কবিতারাজ্যের একচ্ছত্ৰ সম্রাটুবংশের একমাত্ৰ “দুলাল” যেমন আজীবন “খোকা” নামে সাধারণে অভিহিত হইয়া থাকে ; চতুৰ্দশ অক্ষরপরিমিত পদও তখনকার একমাত্ৰ “দুলাল” ছিল বলিয়া আজ পৰ্যন্ত “পয়ার” নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছে। আমাদের এরূপ সিদ্ধান্ত নিতান্ত অসঙ্গতও নহে এবং ইহার বিরুদ্ধে যতক্ষণ না অন্য কোন বলবৎ-যুক্তি ( নজীর ) পাইতেছি তখন ঐ মতই আমরা সমীচীন বলিয়া গ্ৰহণ করিব। বস্তুতঃ আমাদের এরূপ মতের অনুকূলে আরও একটি श्रुखिम अवडांद्र। कब्र যাইতে পারে। যখন প্ৰাকৃত ব্যাকরণকার হেমচন্দ্ৰ বলেন, “মূলভাষা ংস্কৃত, তাহা হইতে উৎপন্ন বা আগত ভাষা প্ৰাকৃত”* । তাহা হইলে সংস্কৃত হইতে উৎপন্ন, ' ভারতীয় ভাষামাত্ৰেই প্ৰাকৃতভাষা আখ্যা পাইতে পারে, কিন্তু তাহা না হইয়া কেন কেবল ভাষাবিশেষকে প্ৰাকৃত বলা হয় ? সেইরূপ, সকল কবিতারই “পদ”আছে, এই জন্য উহাদিগকে

  • न्त्रका=काङ्ग”

ܚܒܚ

  • এন্থলেও কৃতজ্ঞহৃদয়ে প্রকাশ করিতেছি, “পরিষদের” অন্যতম সদস্ত বহুভাষাবিদ বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত অমূল্যচরণ ঘোৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয় পয়ার শব্দের উক্ত বুৎপত্তিগত অর্থ সম্বন্ধে প্ৰবন্ধলেখককে বিশেষ সাহায্য করিয়াছেন।-

〔研料卒1