পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गने १७** ] রঘুনাথ শিরোমণি। । d भान कब्रिब्रां cनई श्ॉन निबू যাইতে ছিলেন। তিনি রঘুনাথকে এরূপ অবস্থাপন্ন দেখিয়া বন্ধুভাবে পরিহাস করিয়া তাহার মন্তকে এক গণ্ডুষ জল দিয়া কহিলেন “বৃক্ষতলে বসিয়া মাথামুণ্ড । কি ভাবিতেছ ?” চৈতন্যদেবের কথা শুনিয়া রঘুনাথের চিন্তাভঙ্গ ও সংজ্ঞালাভ হইল। রঘুনাথ কহিলেন, “আমি যাহা চিন্তা করিতেছি, তুমি তাহার কি বুঝিবে ?” তখন চৈতন্যদেব কুহিলেন, . “ভাই! তুমি যাহা ভাবিতেছিলে, তাহা আমাকে এখনই একবার বল”। তখন রঘুনাথ তাঁহাকে নিজ চিন্তিত বিষয়ের কথা বলিলে চৈতন্যদেবও তৎক্ষণাৎ তাহার উত্তর দিয়া তঁহাকে সন্তুষ্ট: করিলেন। রঘুনাথ চৈতন্যদেবের নিকট হইতে সদুত্তর পাইয়া কহিলেন, "अरे তুমি সামান্য মনুষ্য নও! তুমি বাস্তবিকই একটী মহাপুরুষ।” । । রঘুনাথ ও চৈতন্যদেব উভয়েই প্রথমতঃ এক পথের গথিক ছিলেন ; কিন্তু পরিশেষে নিজ নিজ প্রকৃতি-বশতঃ বিভিন্ন পথের পথিক হইতে বাধ্য হইয়াছিলেন। উভয়েই সমান বুদ্ধিমান ছিলেন, কিন্তু চৈতন্যদেবের মত রঘুনাথের ধৰ্ম্ম-রস-পিপাসা বলবতী ছিল না। ন্যায়শাস্ত্রে উভয়েই এক মত অবলম্বন করিয়াছিলেন ; কিন্তু বাসুদেবের সহিত তাঁহাদের মতের যথেষ্ট অনৈক্য হইত। বাসুদেব সরল-মনে ঐ সকল মত গ্ৰহণ করিতেন না। এজন্য রঘুনাথ সৰ্ব্বদাই অত্যন্ত মনঃক্ষুন্ন থাকিতেন। বাসুদেব রঘুনাথকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে রঘুনাথ কহিলেন, “গুরুদেব। আপনি আমার যুক্তি ও মত গ্ৰহণ করেন না, ইহাই আমার মনস্তাপের বিষয়। ইচ্ছা করিতেছি, মিথিলায় পক্ষধর মিশ্রের নিকট গিয়া আমার মত গুলি একবার তাঁহাকে জ্ঞাপন করিয়া আসিব ।” বাসুদেব তাঁহাকে মিথিলা যাইতে অনুমতি প্ৰদান করিলেন বটে, কিন্তু ইহা তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই হইয়াছিল। রঘুনাথের মিথিলা-গমন করিবার আর একটী কারণ ছিল। তৎকালে নবদ্বীপে উপাধি-দানের ক্ষমতা ছিল না। যদি কেহ কোনরূপ উপাধি প্ৰাপ্ত হইতেন, তাহাও সৰ্ব্ব-বাদ-সম্মত ও গ্ৰাহ হইত না। রঘুনাথ মনে করিয়াছিলেন, পক্ষধারের নিকট ন্যায়শাস্ত্ৰে কৃতবিদ্য হইয়া ও মৈথিলগণকে পরাজিত করিয়া নৱদ্বীপে চতুষ্পাঠী খুলিতে না পারিলে উপাধিদান গ্ৰাহ হইবে না। ইহা ভাবিয়াই তিনি মিথিলায় গমন করিয়াছিলেন। রঘুনাথ বাসুদেবের নিকট হইতেই “শিরোমণি” উপাধি প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। . রঘুনাথ মিথিলায় উপস্থিত হইলেন। এই সময়ে নৈরায়িক-কুল-পতি পক্ষধর, মিশ্র মিথিলার আসনে বসিয়া ন্যায়শাস্ত্রের অধ্যাপনা করিতেছিলেন। তৎকালে মিথিলা ব্যতীত ‘ভারতবর্ষের অন্ত কোনও স্থানে স্থায়শাস্ত্ৰ পাঠ করিবার উপায় না থাকায় পক্ষধােরর চতুস্পষ্ঠীতেই তাঁরতের চতুর্দিন্তু হইতে দলে দলে ছাত্ৰগণ আসিয়া উপস্থিত হইত। রঘুনাথ । তঁহারই চতুষ্পাঠীতে অধ্যয়ন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। “ পক্ষধারের এইরূপ নিয়ম ছিল যে, কোনও আগন্তক ছাত্র আসিয়া ভঁাহার সহিত প্রথমতঃ কোনও কথা কহিতে পরিবে না। অগ্ৰে চতুষ্পাঠীর ছাত্রগণকে তর্কে পরাজিত করিতে পারিলে তবে তাঁহার সহিত কথা হইত। রঘুনাথ ছাত্রগণকে জায়শান্ত্রের কয়েকটা জটিল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া ভঁাহাদিগকে পরাজিত করিলেন। পক্ষধ্বরের আর একটী নিয়ম ছিল