পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ >ጓ ቫቸቑÍ স্থপণ্ডিত ছিলেন তিনি জানিতেন, কেবল ধ্বনি ও রস থাকিলেই কবিতা হয় না। শব্ব গুড়ি, শব্দ-সার্থকতা ও মাধুৰ্য্যই কবিতার প্রাণ। তখন তিনি কৌশল-সহকারে আপনার অভিপ্ৰায় জানাইবার জঙ্গ কহিলেন :- 4 (३३) “মাতঙ্গামিব মাধুৰীং ধ্বনিবিলোঁ নৈব স্পৃশস্ত্যুত্তমং। বুৎপত্তিং কুলকািন্তকামিব রসোন্মত্তা ন পশুস্তামী। কন্তুষ্ট্ৰীঘনসারসৌরভ সুহৃদ বুৎপত্তিমাধুৰ্য্যারোৰ্যোগঃ কর্ণরসায়নং সুকৃতিনঃ কস্তাপি সংজায়তে ॥” মাধুৰ্য্যের দিকে হায় ধ্বনিবিদ যত লক্ষ্য নাহি রাখে। কিছু চণ্ডালীর মত ? ঝুৎপত্তির প্রতি হায় রসোন্মত্ত জন কুল-বালিকার ন্যায় না রাখে দৰ্শন! কিন্তুরীর সনে হ’লে কপূরের যোগ, যেরূপ সুগন্ধ লোক করে উপভোগ ; মাধুৰ্য বুৎপত্তি,-দুয়ে হইলে মিলিত সেরূপ কতই রস ছুটে অবিরত ! এ দুই দুর্লভ গুণ যার কবিতায়, ধন্য ধন্ত সেই মহাকবি এ ধারায়! ব্যাখ্যা । সাধুও সচ্চরিত্র পুরুষগণ পাপাশঙ্কায় চণ্ডাল-রমণীকে যেরূপ কিছুতেই স্পর্শ করেন না, ধ্বনিপ্রিয় কবিগণও সম্পূর্ণরূপে মাধুৰ্য্য ত্যাগ করিয়া কেবল ধ্বনি লইয়াই সেইরূপ উন্মত্ত থাকেন। প্ৰেমারস্যোৎফুল্ল পুরুষগণ কুল-বালিকার দিকে যেরূপ কিছুমাত্র লক্ষ্য রাখেন না, রসোমৃত্ত কবিগণও শব্দ শুদ্ধি ও শব্দ-সার্থকতার দিকে কিছুমাত্ৰ লক্ষ্য মা রাখিয়া কেবল রস-বিচার করিতেই সেরূপ ব্যগ্ৰ থাকেন। কপূর ও মূগানভির সন্মিলন যেরূপ মনোহর, মাধুৰ্য শব্দ-গুক্তি ও শব্দ-সার্থকতা কবিগণের পক্ষে তদ্রুপ সুখকর । যে কৰি বীয় কবিতায় মাধুৰ্য শব্দ-শুদ্ধি ও শব্দ-সার্থকতা রক্ষা করিতে পারেন, তিনিই ধ্বম্ভ ; এবং তঁহার কবিতায় শ্রোতৃগণও পরম ধন্য! ধ্বনি ও রস কবিতার অঙ্গ, কিন্তু মাধুৰ্য শব্দ-শুদ্ধি ও শব্দ-সার্থকতা কবিতার প্ৰাণ ; ইহাই । রঘুনাথের অভিপ্ৰেত বিষয়। পক্ষধারের বিশ্বাস ছিল যে, পরম নৈয়ায়িক বা বৈয়াকরণ হইলে মানুষ কখনই সুকবি হইতে পারেন না। পক্ষধারের এই দৃঢ় বিশ্বাস অপনোদন করিবার এবং নিজ কবিত্ব-শক্তির “ পরিচয় দিবার জন্যই রঘুনাথ তাঁহাকে এই কয়েকটী কবিতা রচনা করিয়া শুনাইয়া ছিলেন। • উক্ত কয়েকটী শ্লোকেই রঘুনাথ এইরূপ ধ্বনি রাখিয়াছেন যে, যাহার প্রকৃত ভীষ্ম বুদ্ধি থাকে, তিনি কি দুৰ্গম স্যায়-শাস্ত্রে, কি জটিল ব্যাকরণ-শাস্ত্রে, বা কি পরম কোমল কাব্য-শাস্ত্ৰে, সকল শাস্ত্ৰেই, তিনি সমান অধিকারী হইতে পারেন। রঘুনাথের বুদ্ধি সুদুৰ্গম ন্যায়-শাস্ত্ৰেও যেরূপ, সুকোমল কাব্য-শাস্ত্রেও ঠিক সেইরূপ ছিল। তিনি মনে করিলেই যে মহাকাব্য রচনা করিয়া যাইতে পারিতেন, তদ্বিষয়ে অণুমাত্ৰ সন্দেহ নাই। ! কুকুনাথের কবিতা শ্ৰৰণ করিয়া পক্ষধর অবাক হইয়া গেলেন। তিনি রঘুনাথকে