পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আন্তরিক ভাল বাসিতেন বটে, কিন্তু তর্কের সময় তাহাকে নিৰ্যাতন করিতেও ক্ষান্ত হইতেন না। কয়েক বৎসর মাত্র মিথিলায় থাকিয়া, রঘুনাথ ঠােয়-শান্ত্রে অদ্বিতীয় হইয়া উঠিলেন। আৰ্যাৱৰ্ত্ত । ও দক্ষিণাত্য-নিবাসী ছাত্ৰগণ তাঁহার প্রতি বিষম বিদ্বেষ প্ৰকাশ করিতে লাগিল। মিথিলায় । গৰ্ব্ব খর্ব করিয়া নববীপে আসিয়া চতুষ্পাঠী খুলিব এবং তখায় ছাত্র রাখিয়া ও তারাদিগকে । হ্যায়-শাস্ত্ৰে পণ্ডিত করিয়া উপাধি-দান করিব, এই বাসনাই রঘুনাথের হৃদয়ে চিরদিন दलवडौ : ছিল। মিথিলা ভিন্ন অন্য কোনও স্থানে ন্যায়-শািন্ত্রর “পুথি পাওয়া যাইত না। পক্ষপরও : কাহাকেও কোন পুথি দেশে লইয়া যাইতে, এমন কি তাহার নকলও করিয়া লইতে দিতেন না। রঘুনাথ ন্যায়-শাস্ত্রের অধ্যয়ন শেষ করিয়া নবদ্বীপে প্ৰত্যাগমন করিবার জন্য পক্ষধারের অনুমতি চাহিলেন; পক্ষধরও তৎক্ষণাৎ অনুমতি প্ৰদান করিলেন। তখন রঘুনাথ কহিলেন, “গুরুদেব! - আমি নবদ্বীপে গিয়া চতুষ্পাঠী খুলিব। অতএব আপনি আমাকে কিঞ্চিৎ স্যায়-শান্ত্রের পুথি দিন ; অন্ততঃ তাহার নকল করিয়া লইতে অনুমতি দিন৷” ইহা শুনিয়াই পক্ষধারের শিরে বজ্ৰাঘাত । হইল। তিনি পুথি ছাড়িবার বা নকল করিয়া লইতে দিবার পাত্র ছিলেন না। তিনি । রঘুনাথের প্রস্তাবে সম্পূর্ণরূপ অস্বীকার করিলেন। পক্ষধারের অসম্মতি দেখিয়া রঘুনাথ । ক্ৰোধান্ধ হইয়া উঠিলেন, এবং মনে মনে সংকল্প করিলেন, আদ্য রাত্রিকালেই পক্ষধারের প্রাণ নষ্ট করিব। রাত্রিকাল উপস্থিত হইল। দেখিতে দেখিতে নিশীথের সমাগম। চতুষ্পাঠগৃহে ছাত্ৰগণ গভীর নিদ্রায় অভিভূত। পৃথিবী নিস্তান্ধ! আকাশে শারদীয় পূর্ণচন্দ্র বিরাজমান । পক্ষধর, পত্নীর সহিত শয়ন-মন্দিরে নানা প্ৰেমালাপে ব্যাপৃত ! এদিকে রঘুনাথ মনের আবেগে গুরু-হত্যা করিবার জন্য শাণিত অস্ত্ৰ হন্তে লইয়া পক্ষধয়ের শয়ন-গৃহের দ্বারদেশে দণ্ডায়মান। কথায় কথায় পক্ষধর-গৃহিণী কহিলেন “ঠাকুর । এ সংসারে কোন বস্তু আপনার পক্ষে পরম BB S BDBBBS DD DDD DDBS BD DDBB BBu uS YBD BBBu SDDD DDD কিছুমাত্র অভিমান না কর, তবে আমি বলিতে পারি”। গৃহিণীর নির্বদ্ধতিশয় দেখিয়া পক্ষধর কহিলেন “তুমি, বা তোমার সন্তান, বা আকাশের পূর্ণচন্দ্ৰ, কিছুই আমার নিকট নিৰ্ম্মল নহে । নবদ্বীপ চাইতে রঘুনাথ-নামক যে একটী নবীন যুবা আসিয়া আমার নিকট হইতে সমগ্র হ্যায়-শাস্ত্ৰ শিক্ষা করিয়া লষ্টয়াছে, তাহার বুদ্ধির ন্যায় সুনিৰ্ম্মল বস্তু আমি এ জগতে আর কিছুই দেখিতে * পাই না ।” রঘুনাথ শয়ন-গৃহের দ্বারদেশেই অস্ত্ৰ-হন্তে দণ্ডায়মান। তিনি গুরুদেবের কথা * শুনিয়াই ক্ৰমন করিতে লাগিলেন, এবং চিন্তা করিতে লাগিলেন, আমার যে বুদ্ধি তীহাকে বধ করিবার জন্য আমাকে প্রণোদিত করিয়াছে, আমার সেই বুদ্ধিই তাঁহারই চক্ষে জগতের সর্বাপেক্ষা নিৰ্ম্মল বস্তু। এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে রঘুনাথের হৃদয় ক্রমশঃই অনুতাপানলৈ দগ্ধ হইতে । লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে পক্ষধর গৃহের দ্বারোন্মোচন করিয়া বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, রঘুনাথ ভূমিতলে একখানি শাণিত অস্ত্র রাখিয়া অত্যন্ত ক্ৰন্দন কৰিতেছে। পক্ষধর ইহাৱা কারণ জিজ্ঞাসা করিলে রঘুনাথ কহিলেন “আপনি আমাকে পাখি বা পুঁথির নকলও লাইতে দেন নাই। । এজন্য ক্ৰোধান্ধ হইয়া আপনাকে বধ করিবার জন্য উত্তত হইয়াছিলাম। পরে আমার প্রতি