পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসিক কাৰ্য্য-বিবরণী ! حاليا গ্রন্থের প্রতি ৰে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের দৃষ্টি পড়িয়াছে, তাহারও মূল এই মাননীয় মিত্র মহাশয়। ইনিই সর্বপ্রথমে বিদ্যাপতির পদাবলী টীকাটিপ্পানীসহ সাধারণে প্রকাশ করিয়াছিলেন। আবার ইহারই যন্ধুে সেই বিদ্যাপতির পদাৰলীর এক বিশেষ সংস্করণ প্ৰকাশিত হইতেছে। : ইটাতে বহু নূতন পদ থাকিবে ও অনেক প্রাচীন পদের সংশোধনাদি হইবে। আজ যে বিষয়ে প্ৰবন্ধ পঠিত । হইল, তাহা হইতে আমরা বৈষ্ণৰধৰ্ম্মের অনেক কথা জানিতে পারিলাম। অনেক বৈষ্ণৰ। জয়ানদের গ্ৰন্থকে প্রামান্য বলিয়া গণ্য করেন না । সুখের বিষয় মাননীয় বিচারপতি মিত্র মহাশয় তাহাকে উপেক্ষা করেন নাই। তিনি তঁহার প্রবন্ধে জয়ানন্দের গ্ৰন্থ হইতে প্ৰমাণ উদ্ধৃত করিয়াছেন। জন্মানন্দের প্রমাণ অনুসারে শ্ৰীচৈতন্তের পূর্বপুরুষ উড়িষ্যানিবাসী ছিলেন, জনৈক রাজা ভ্ৰমরাবর রায়ের ভয়ে বাঙ্গালায় আসেন। এতদ্ভিন্ন জয়ানন্দ মহাপ্রভুর তিরোধান সম্বন্ধে ষে বিবরণ দিয়াছেন, তাহা ও অন্য কোন বৈষ্ণব গ্রন্থে দেখা যায় না, ৬/মহাপ্রভুর উৎকলযাত্রা স্বদেশপ্রেমের একটী জলন্ত নিদর্শন। O তৎপরে ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত রসিকামোহন চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় বলিলেন, “অন্থ যে প্ৰবন্ধ শুনা গেল, তাহাতে পারমানন্দ লাভ করিয়াছি। অপর র্যাহারা যে ভাবে আনন্দ লাভ করুন, মাময়, বৈষ্ণব, গৌরাঙ্গ-কথায় আমাদের বিশেষ আনন্দ হয়। ঠাকুর নরোত্তম বলিয়াছেন-“গৌরাঙ্গ মধুর লীলা, যার কর্ণে প্রবেশিলা, হৃদয় পৰিত্ৰ ভেল। তার”-শ্ৰীগৌর-কথা যেমনই হউক, ঘৰ্ত্তন ও শ্রোতা উভয়কেই পবিত্র করে। মাননীয় বিচারপতি মিত্র মহাশয় স্বীয় প্রবন্ধে মহাপ্রভুর উৎকালযাত্ৰা বৰ্ণনায় মহা প্রভুর চরণরেণুস্পষ্ট স্থানগুলির ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক বিবরণ প্ৰদান করিয়া সাহিত্যের দিক হইতে যেমন প্ৰবন্ধটিকে গবেষণা পূর্ণ করিয়া তুলিয়াছেন, তেমনি তত্তৎস্থানে মহা প্রভুর আচরিত লীলা বৰ্ণনা করিয়া প্ৰবন্ধটীকে মধুর ও পবিত্ৰ করিয়া তুলিয়াছেন। দীনেশ বাবু যে জয়ানন্দের কথা বলিলেন, সেই জয়ানন্দের প্রামাণিকতা সম্বন্ধে মতভেদ আছে। মতভেদই বলি কেন, বৈষ্ণবসমাজে কোন মতভেদ নাই, উহা বৈষ্ণবেয় পরিত্যক্ত গ্ৰন্থ। বৈষ্ণবের প্রামাণিক গ্ৰন্থ যাহা-শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত-শ্ৰীচৈতন্যভাগবত্যাদিতাহা অপরের নিকটও প্ৰামাণিক । ইহার সহিত • বিরোধ ঘটে বলিয়াই জয়ানন্দ বৈষ্ণবের পরিত্যাজ্য। জয়ানন্দের গ্রন্থে মহাপ্রভুর পূর্বপুরুষগণের উইকল-বাসকথা সম্পূর্ণ কল্পিত, কারণ অন্য কোন বৈষ্ণবগ্রন্থে তাহার পোষক কোন কথা নাই বরং বৈষ্ণবের প্রামাণ্য গ্রন্থে এই সম্বন্ধে <যেরূপ বিবরণ আছে, তাহাই অন্যান্য গ্ৰন্থদ্বারা সমর্থিত হইয়াছে। মহাপ্রভুর উৎকালযাত্রায় • স্বদেশপ্রেমের আকর্ষণ কিছুই নাই। উহা জয়ানন্দের কল্পিত কথার উপর দীনেশ বাবুর কল্পনার সুন্দর খেলা মাত্ৰ আৰু কিছু নহে। ] চৈতন্য-ভাগবতাদি হইতে জানা যায়, মহাপ্ৰভু মাতৃভক্ত-শিরোমণি ছিলেন । আঁতার আদেশেই তিনি উৎকলে গিয়াছিলেন।” এই ফলিয়া বক্তা মহাপ্রভুর উৎকলযাত্রার কারণ বৈষ্ণবসম্মত-গ্রন্থে যেরূপ আছে, তাহা বিবৃত করেন। অতঃপর শ্ৰীযুক্ত মনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা বলেন, প্ৰবন্ধ পাঠকের যেমন বিদ্যা, যেমন সম্মান । এবং যেরূপ গবেষণা, তাঁহাতে আমাদের ন্যায় ব্যক্তির কোন কথা বুলিতে সাহস করা উচিত