পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসিক কাৰ্য্য-বিবরণী । ルノ・ উক্তগর আশুতোষ যোগ্যব্যক্তি তঁহায় বিচারপতিপদে নিয়োগ-যোগ্যব্যক্তির উচ্চপদলাতে সকলেই আনন্দিত ”তাহাতে আর সন্দেহ নাই। ডাক্তার আশুতোষের অশেষবিধ সদগুধ। আছে, তিনি পণ্ডিত, গণিতশাস্ত্ৰে তাহার পাণ্ডিত্য এদেশে একপ্রকার তুলনারহিত। বিদ্যার ভাণ্ডারে তিনি কতকগুলি অমূল্য রত্ন দান করিয়াছেন, তাহার জন্য সকলেই তাহার নিকট কৃতজ্ঞ। ডাক্তার আশুতোষ উচ্চগণিতশাস্ত্রে অনেকগুলি মৌলিক তত্ত্বের আবিষ্কার করিয়া পাশ্চাত্য গণিতবেত্তাদিগের প্রশংসাভাজন হইয়াছেন। ডাক্তার আশুতোষ সাহিত্যেও পণ্ডিত ও বুদ্ধিমান ; বড়লাট সাহেব তঁহার তীক্ষবুদ্ধির প্রশংসা করেন। তিনি নিৰ্ম্মল চরিত্র, বিনয়ী কৃতজ্ঞ। এই বলিয়া গুরুদাস বাবু ডাক্তার আশুতোষের এই সকল গুণের নানা উদাহরণ বিবৃত করেন। তৎপরে বলিলেন, জগদীশ্বর ডাক্তার আশুতোষকে বড় করিয়াছেন, তিনি যোগ্যব্যক্তি, ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তিনি তঁহার উচ্চপদ সুশোভিত করিবেন এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করিবেন, ইহাই আমার বিশ্বাস। এই সুত্রে আমি প্ৰস্তাব করিতেছি “বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সহকারি-সভাপতি নানা-শাস্ত্ৰবিং, মাতৃভাষানুরক্ত বঙ্গের গৌরব ডাক্তার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সরস্বতী এম,এ, ডি,এল ; এফ, আর, এ, এস ; এফ, আর,এস,ই ; মহাশয় হাইকোর্টের বিচারকপদে প্ৰতিষ্ঠিত হওয়ায় বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ বিশেষ গৌরবান্বিত হইয়াছেন এবং তঁহার পদোন্নতিতে সমগ্ৰ বঙ্গবাসীর সহিত বিশেষ আনন্দ প্ৰকাশ করিতেছেন।” শ্ৰীযুক্ত রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী এম, এ, বি, এল মহাশয় এই প্ৰস্তাব সমর্থনা করিয়া বলিলেন, তঁহার মাতৃভাষার প্রতি অনুরাগ বড়ই প্ৰশংসনীয়। ডাক্তার মুখোপাধ্যায় নিজবায়ের্ক কাশীদাসী মহাভারতের মুদ্রাঙ্কণের এবং নিজে সম্পাদনের ভার লইয়াছেন। পরিষদের ইহা বড়ই আনন্দ ও শ্লাঘার কথা । প্ৰস্তাব সৰ্বসন্মতিক্রমে গৃহীত হইল। তৎপরে সভার চতুর্থ নির্দিষ্ট কাৰ্য্য উপস্থিত হইলে, প্ৰস্তাবক শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত মহাশয় তঁহার প্রস্তাব এই অধিবেশনে স্থগিত রাখিবার প্রস্তাব করিলে, প্ৰস্তাব গৃহীত হইল। অতঃপর পণ্ডিতপ্ৰবর শ্ৰীযুক্ত কালীবর বেদান্তর্গীশ মহাশয় তাহার প্রবন্ধ পাঠের জন্য উপস্থিত করিয়া জানাইলেন যে, তিনি নিজে অসুস্থ, তাহার বন্ধু সঙ্গীতশাস্ত্ৰপারদর্শী, বিদ্বান সারদা প্ৰসাদ ঘোষ মহাশয় তঁহার হইয়া প্ৰবন্ধ পাঠ করিবেন। তদনুসারে সারদাবাবু বেদান্তবাগীশ মহাশয়ের প্রবন্ধ পড়িয়া শুনাইলেন। [। এই প্ৰবন্ধ ১৩১১ সালের শ্রাবণ সংখ্যায় বঙ্গদর্শনে প্ৰকাশিত হইয়াছে। ] বেদান্তবাগীশ মহাশয়ের প্রবন্ধুের সারাংশ এই :- ষড়দর্শনের মধ্যে গৌতমের দর্শন “ন্যায়”। ন্যায় বলিতে আমরা অনেক কথা বুঝি কিন্তু “ন্যায়শাস্ত্ৰ” বলিলে গৌতমের দর্শন বুঝি, অন্য কিছু বুঝি না। ন্যায়শাস্ত্র বা ন্যায়দৰ্শন গৌতম প্ৰণীত এই টুকুমাত্ৰ সৰ্ব্বজনবিদিত ; কিন্তু তাহার বিষয় বহু লোকের অবিদিত। আজকাল বাঙ্গাল ভাষার এত উন্নতি যে, যে স্থানেই যাই, সেই স্থানেই সাংখ্যপাতঞ্জলদি দর্শনের আন্দো