পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাসিক কাৰ্য্য-বিবরণী । ر؟/e প্রযোজ্য। তাম্রশাসনে তারিখের স্থানে সংবৎ, শকাব্দ ও সনের উল্লেখ আছে। বিদ্যাপতি যে সময়ে বৰ্ত্তমান ছিলেন, তখনও মুসলমানি সনের প্রচলন হয় নাই। জালকৰ্ত্ত এ তথ্য জানিতেন না, এই সংবৎ ও শকাব্দের স্থানে সনও বসাইয়া দিয়াছেন। এতদ্ব্যতীত এই নূতন তাম্রশাসনের লিপি দেখিয়া ত ইহাকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালে খোদিত বলিয়া মনে হয়। বিদ্যাপতির সময়ে এরূপ লিপি চলিত ছিল না। নূতন তাম্রশাসনে দেবনাগর অক্ষর ব্যবহৃত। সম্ভবতঃ সম্পত্তি লইয়া কোন বিবাদ উপস্থিত হইলে বিদ্যাপতির কোন বংশধর। আদালতে দাখিল করিবার জন্য এই তাম্রশাসন প্ৰস্তুত করাইয়াছিলেন। মূল তাম্রশাসন তখন হারাইয়া গিয়াছিল, তাহার স্মৃতিমাত্র বর্তমান ছিল। তাম্রশাসনে যে তারিখ দেওয়া হইয়াছে, তাহার উপর নির্ভর করিতে না পারিলেও তাম্রশাসনে বিদ্যাপতির যে বিবরণ দেওয়া হইয়াছে, তাহার ঐতিহাসিকতা অপ্রমাণিক মনে করিবার কারণ নাই। শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ ও শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়েরাও এই নূতন তাম্রশাসন দেখিয়া, উহাকে কৃত্রিম বলিয়াই অনুমান করিলেন । শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় অনুরোধ করিলেন, পরিষদের জন্য নগেন্দ্ৰবাবু যে বিদ্যাপতির পদাবলী বাহির করিতেছেন, তাহার ভূমিকায় যেন এই তামশাসনের ফটোগ্রাফ বাহির করা হয় এবং এই তাম্রশাসন ও পূর্বাবিস্কৃত গ্রিয়ার্সনের তাম্রশাসন সম্বন্ধে বিচার-বিতর্ক প্ৰকাশিত হয় । ৬। শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় “কাবুলীওয়ালা” নামক প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন। প্ৰবন্ধে দীনেশবাবু কাবুলীর নিকট সংগৃহীত তাহদের দেশের ও তাহদের সামাজিক প্রথার ও আচারাদির বিবরণ সঙ্কলন করিয়াছেন |* কাবুলের নারীগণের বর্ণনাপ্রসঙ্গে লেখক বলিলেন, আমাদের গান্ধাৱী, মাদ্রী, কৈকেয়ী প্রভৃতি রাজীরা কাবুল ও তৎসন্নিহিত প্ৰদেশ হইতে আসিয়াছিলেন ও আমাদের মহাদেবী পাৰ্বতীর পৌরাণিক রূপ কল্পনায় সম্ভবতঃ কাবুলীনারীর ছায়া বিদ্যমান আছে। কাবুলী-দিগের প্রকৃতিগত ও আচারগত বিশিষ্টতা অতি হৃদয়গ্ৰাহী ভাষায় এই প্রবন্ধে বর্ণিত হইয়াছে। প্ৰবন্ধ-পাঠের পর শ্ৰীযুক্ত রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী, পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ ও শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন বন্দ্যোপাধগয় দীনেশ বাবুর প্রবন্ধের মনোজ্ঞতার 丐 ও ভাষার কবিসুলভ চমৎকারিতার প্রশংসা করিয়া, তঁহার নিকট কৃতজ্ঞতা জানাইলেন। পাৰ্ব্বতী সম্বন্ধে দীনেশবাবুর উক্তিতে পঞ্চানন বাবু আপত্তি করায় দীনেশবাবু তাহার উত্তর দিলেন। সতীশবাবু কাবুলীদের সম্বন্ধে বলিলেন, ঐ প্রদেশ বহুদিন গ্ৰীকদিগের অধিকারে ছিল ; কাবুলীদের শরীরে ও চরিত্র সম্ভবতঃ গ্ৰীক উপাদান অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। ৭। শ্ৰীযুক্ত হেমেন্দ্ৰপ্ৰসাদ ঘোষ মহোদয়ের অনুপস্থিতিতে র্তাহার “ভারতচন্দ্রীয় যুগের রাজনৈতিক অবস্থা” সম্পাদক কর্তৃক পঠিত হইল। এই প্রবন্ধে হেমেন্দ্র বাবু, ভারতচন্দ্রের ug: ܚ ===ক্ষা

  • ঐ প্রবন্ধ ১৩১১ সালের ভাদ্র মাসের ভারতীতে প্ৰকাশিত হইয়াছে