পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের ' ۰لوالا ৩। যবিদ্বীপে হিন্দু প্ৰভাবের নিদর্শন প্ৰদৰ্শন। শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বৃক্ষ মহাশয় Wilsen's Elephaut Folio Ou Barabodor ও অন্যান্য গ্ৰন্থ হইতে ব্যবদ্বীপে হিন্দু সভ্যতার নিদৰ্শনস্বরূপ বিবিধ দেবমন্দির ও দেবদেবীর প্রতিকৃতি প্ৰদৰ্শন করিলেন। তদুপলক্ষে নগেন্দ্রবাবু যবদ্বীপের বড়বন্দর ও ব্ৰহ্মবনম নামক দুই মন্দিরের সবিশেষ উল্লেখ করিয়া বলিলেন, উহার কিয়দংশ খৃষ্টীয় ১ম ও ৫ম শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত। বড়বন্দর মন্দিরের প্রথম ও দ্বিতীয় মঞ্চে বৌদ্ধস্থাপত্যের নিদর্শন আছে ও তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম মঞ্চে হিন্দুদেবদেবীর লীলাদির চিত্র ও হিন্দুর সামাজিক ও পারিবারিক চিত্র অঙ্কিত আছে। ব্ৰহ্মবনের বহু প্ৰতিমূৰ্ত্তি মধ্যে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, গণেশ ও মহিষমৰ্দিনীর মূৰ্ত্তি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। উহাতে ১ম শতাব্দীর শিলালিপি আবিষ্কৃত হওয়ায় ব্যবদ্বীপে হিন্দুপ্রভাবের প্রাচীনত্ব সপ্রমাণ হইতেছে। • চিত্ৰপ্ৰদৰ্শনের পর শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সুদীর্ঘ ও সুন্দর বক্তৃতায় যবদ্বীপে আবিষ্কৃত হিন্দুমন্দির, হিন্দুদেবমূৰ্ত্তি ও হিন্দু-সভ্যতার বিবিধ নিদর্শনের বিস্তৃত পরিচয় দিয়া সভাকে অনুগৃহীত করিলেন। যবদ্বীপস্থিত হিন্দু মন্দির প্রভৃতির বিশালতা ও বিস্ময়জনকতার বিবরণ সভ্যগণের কৌতুহলোদ্দীপক হইয়াছিল। নগেন্দ্রবাবু ও পঞ্চানন বাবুকে ধন্যবাদ দিয়া ঐ প্রসঙ্গে সভাপতি মহাশয় বলিলেন, খৃঃ পূঃ তৃতীয় শতাব্দীতে অশোকের প্রেরিত কতিপয় বৌদ্ধপ্রচারক যবদ্বীপে উপস্থিত হইয়াছিলেন। পরবর্তী কালে তান্ত্রিক বৌদ্ধধৰ্ম্ম যবন্দীপে প্রচারিত হয়। যবদ্বীপে ভারতবর্ষীয় সভ্যতার বিস্তার প্ৰথমে সম্ভবতঃ চীনাবাসী নাবিক ও পরিব্রাজকদ্বারাই ঘটিয়াছিল। প্ৰথম হইতে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে প্ৰধানতঃ বৌদ্ধ ও তৎপরে হিন্দু প্ৰভাব প্রসারিত হইয়াছিল। যবিদ্বীপে যে সকল দেবমূৰ্ত্তি পাওয়া যায়, তাহা মুখ্যতঃ তান্ত্রিক উপাসনা-প্রচারের নিদর্শন। রামায়ণে যবিদ্বীপের উল্লেখ আছে, কিন্তু কোন বিবরণ নাই। ভারতবর্ষের সহিত ব্যবদ্বীপের সম্বন্ধ কত প্ৰাচীন তাহার নির্দেশ কঠিন। ৪ । প্ৰবন্ধ পাঠ,--শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত মহাশয়। “বৈষ্ণব কাব্যে মিথিলার অংশ” প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন । t · উক্ত প্ৰবন্ধের সারাংশ এই :-ত্রিশবৎসর পূর্বে বিদ্যাপতি বাঙ্গালী বলিয়াই পরিচিত ছিলেন । ৬/রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় প্ৰথমে তাহাকে মিথিলাবাসী বলিয়া প্রচার করেন । এদেশে প্ৰচলিত বিদ্যাপতির পদে অনেক অশুদ্ধ পাঠ রহিয়াছে ; মিথিলায় প্ৰচলিত পাঠ শুদ্ধ। উদাহরণ "রস নাহি হোয়ল, করল যে শান্তি। মদন লতা জনু দংশূল হাতি ৷” এই বঙ্গদেশপ্ৰচলিত পাঠের কোন সদর্থ হয় না। দ্বিতীয়চরণে মিথিলার পাঠ-“দমন লতা জনু দমসল হাতি।” স্বীকার করিলে অর্থ হয়, কেন না। “দমলতা” অর্থে "দ্রোণলতা” ; “দমসল” অর্থে “দলিত করিল”। এইরূপ আরও উদাহরণ আছে। প্রসিদ্ধ কবীশ্বর চণ্ডা ঝা (চন্দ্ৰকবি।) কর্তৃক S S DDB DD BBu YD DDD LD DD D SS