পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7 x 9’s দেশী শবদ । , లిన (গ) গোরাচাদের চলন মাধুরীরে। (ঘ) যমুনার জল খাঞি। সুখে রহে ধেনু, কদম্বতলে বৈসে রাম কাহা । (ঙ) বড় রসিঞিানাগর কাহু, বংশীবটের তলে বাঁশিটী বাজায় তাহা দেখিঞা শুনিঞা অস্থির হৈনু। (চ) সখী সঙ্গে গিয়াছিনু যমুনার জলে। কালিয়া মেঘের ছটা কদম্বের তলে । (ছ) চিকন কালা মােহনমালা মােহন মুঠি । (জ) প্ৰাণগোপাল আরো হয়। (ब) धै षाग्र पै पात्र कॉर्पै षांद्र धै षांगा, शब्रिं ब्रांषांद्र मन पै षांत्र धै बांग्र । ( এঃ) যেই দিবস। আমি দৃঢ় ব্যঞ্জন রান্ধি। মারএ পীড়ার বাড়ি কোণে বসে কান্দি ॥ এই কবিতাটি আমরা মাণিকদত্তের মঙ্গলচণ্ডীতে, জগজীবনের মনসার পাঁচালীতে ও কবিকঙ্কণের চণ্ডীতে দেখিয়াছি, কোন কবির মুখ হইতে এইটী প্ৰথম নিৰ্গত হইয়াছিল, আমরা তাহা বলিতে পারি না । কয়েকটী বিশেষ কথা বলিয়া প্ৰবন্ধের উপসংহার করিব( ক ) মাণিক দত্তের সময় পয়ারের নাম করণ হইয়াছিল,যথা-‘রচিল মাণিকদত্ত দেবীর পয়ার ” (খ ) একাল অপেক্ষা সেকালে নাম ধাতুর ক্রিয়াপদ অধিক ব্যবহৃত হইত। রজনীকান্ত চক্রবর্তী দেশী শব্দ। খাট সংস্কৃত শব্দ ব্যতীত অনেক দেশী শব্দ বহুল পরিমাণে সংস্কৃত সাহিত্যে স্থানলাভ করিয়াছে’। সমাজের প্রসার-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নূতন নুতন ভাব-প্ৰকাশের জন্য নূতন নূতন শব্দের সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। অনাৰ্য্য বিদ্বেষ থাকিলেও আৰ্য্যসমাজে অনাৰ্য্যের প্রবেশলাভ করিয়াছিল ; এবং তাহদের ভাষার অনেক শব্দ আৰ্য্যেরা গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। পাণিনির যুগে কোন দেশী শব্দ ব্যবহাৰ্য বলিয়া আন্দীে গৃহীত বা স্বীকৃত হয় নাই। অপভাষা, স্লেচ্ছভাষা কিম্বা দেশীভাষা ব্যবহার করিলে প্ৰত্যবায়ভাগী হইতে হয়, প্ৰাচীন ব্রাহ্মণাদি শাস্ত্রে এরূপ কথার উল্লেখ দৃষ্ট হয় মহাভায্যেও ঐ সকল ভাষা সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করিবার বিধিই দেখিতে পাই বটে ; কিন্তু তবুও দেশী শব্দ যে কিয়ৎপরিমাণে ব্যবহার করা চলে, তাহাও ঐ গ্রন্থেই আছে। এ সকল বিধি ব্যবস্থার প্রতি লক্ষ্য করিলেই প্ৰতীতি জন্মে, যে যদিও প্রাচীনকালে আৰ্য-সাহিত্যে, অপভাষা এবং দেশী ভাষা ব্যবহৃত হইত না, তবুও আৰ্যোরা ঐ সকল ভাষার শব্দ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং প্রচলিত কথাবার্তায় ব্যবহার कठिङन।