পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৫৬

¢२ সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । , * [ •भ न६थाँ যদি ইহার “শ”র স্থানাপন্ন অক্ষরকে উল্টা করিয়া দেখা যায়, তাহা হইলে ইহা পালির "শ"র সহিত কিঞ্চিৎ মিলিলেও মিলিতে পারে। D DBBBD TSiu g DDBDBD DBD DDDS SDBBDD DBDDS S KBS BBBB যতটুকু সাদৃশ্য, পালির সহিত তাহদের শতাংশের একাংশেরও সাদৃশ্য নাই। পালির সহিত ফিনিসীয় ইত্যাদি বর্ণমালা কণামাত্রও মিলে না। সকলেই জানেন, পালি ও গান্ধার লিপিতে পরম্পর ঐক্য নাই। সুতরাং ইহা হইতে প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে দুইটী লিপি একটী লিপির শাখা নহে-অর্থাৎ গান্ধারলিপি সেমিটীক বৰ্ণাত্মক এবং পালিলিপি সেমিটক হইতে পৃথক। ফিনিসীয় বর্ণমালা হইতে জাতভাষায় স্বরবর্ণ পৃথক হয় নাই। ইহাদের অক্ষর দ্বারাই স্বরের কাৰ্য্য হয়। কিন্তু পালিতে ব্যঞ্জনের সহিত স্বরের চিহ্নমাত্রই অবস্থিত রহিয়াছে। গ্ৰীক, ইংরেজি, হিমরাইটক, মিডিয়ান, ইথিয়পিক, আরবী, কুকী পহলুই, ইত্যাদি যে সমস্তলিপি ফিনিসীয় হইতে উৎপন্ন হইয়াছে তাহদের ক্রম ( অ-ব-গ। দ-হা ইত্যাদি ) ফিনিসীয় বর্ণমালার সহিত মিলে । কিন্তু, পালির বর্ণমালার ক্রম ঐরূপ নয় । এই সকল কারণ হইতে প্ৰতীতি হইতেছে ষে পালিলিপি ফিনিসীয় অথবা তজজাত কোন লিপি হইতে গঠিত হয় নাই। ইহা ভারতে আৰ্য্যগণ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত স্বতন্ত্র একটা লিপি। ইহা হইতেই "ভারতের বাহিরে সিংহল, যবদ্বীপ প্ৰভৃতির এবং তিব্বত হইতে মঙ্গোলিয়া পৰ্য্যন্ত মধ্য এসিয়ার লিপি-নিচয় গঠিত হইয়াছে। তবে ডাক্তার ঔফ্রেক্ট, মূলর, ডাক্তার ষ্টিভন্সন, ডাক্তার গোল্ডস্মিথ, লেনমণ্ট বর্ণেল প্ৰভৃতি পালির উৎপত্তি সম্বন্ধে যে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়াছেন-তৎসমুদয় লে অযৌক্তিক, তাহা আমরা পূর্বেই দেখাইয়াছি। পালি অক্ষরের সহিত যে আরমিয়ান অক্ষরের আদৌ মিল নাই, তাহা আইজাক টেলারও দেখাইয়াছেন। ডাক্তার বুহ লরের মতে প্ৰাচীন ভারতে দুই প্রকারের অক্ষর ব্যবহৃত হইত। তাহাদের নাম “খরোষ্ঠী” ও “ব্রান্ধী”। খরোষ্টী খৃঃ পূঃ চতুর্থ শতাব্দী হইতে খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দী পৰ্যন্ত ব্যবহৃত হইত। ইহার ব্যবহার পূর্বে আফগানিস্থান এবং উত্তর পঞ্জাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল (৬৯” হইতে ৭৩° ৩০’ পূর্বে এবং ৩৩° হইতে ৩৫° উত্তরে) ইহা বাম হইতে আরম্ভ করিয়া দক্ষিণে সমাপ্ত হইত। কিন্তু অপর বর্ণমালা “ব্ৰাহ্মী”ই এতদুভয়ের মধ্যে প্ৰাচীনতর। ইহাই জাতীয় বর্ণমালা । ইহা হইতে অন্যান্য বর্ণমালার উৎপত্তি হইয়াছে। প্রথমতঃ ইহা দক্ষিণ হইতে আরম্ভ করিয়া বামে লিখিত হইত। ডাক্তার বুলের বলেন যে ইহা ফিনিসীয় বর্ণমালার প্রাচীনতম কোন লিপি হইতে উৎপন্ন। তিনি এরূপ বলেন যে বর্ণমালা ভারতীয় বণিক্‌ সম্প্রদায় কর্তৃক । মেসোপেটেমিয়া হইতে ৮০০ পূর্ব খৃষ্টাব্দে ভারতে আনীত Ti e • • श्रुः श्रूः হইতে ২০০ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত শিলালিপিগুলি প্ৰাকৃতে অবস্থিত ছিল। সংস্কৃত শিলালিপির আরম্ভ ২০ • খৃষ্টাব্দ। সংস্কৃত ভাষায় যে সমস্ত প্ৰাচীনতম নাগরী শিলালিপি আছে, সেগুলির সময় ৭৫৪ ঋষ্টাব্দ। আর, এই বর্ণমালায় যে সমস্ত প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়, তাহদের মধ্যে কোনটাই খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর পূর্ববৰ্ত্ত নয়। দ্বাদশ শতাব্দীতে নাগরীর প্রভাব পূৰ্ব