পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

始 ኳኋ! r e8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা { 始 [ » १ ৩২০ পূর্ব-খৃষ্টাব্দের ব্যক্তি বলেন। অধুনাতন অধ্যাপক ঔফ্রেক্ট ( Aufrecht)এর মতে, পাণিনি খৃঃ পূঃ চতুর্থ শতাব্দীর বৈয়াকরণ। লাস৷সেনের মতে পাণিনি ৩২০ খৃঃ পূঃ জীবিত ছিলেন। কেহ কেহ আবার এমনও বলিয়া থাকেন যে, তিনি খৃঃ পূঃ দ্বিতীয় শতাব্দীর ব্যক্তি। কেবল একমাত্র ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্রপাণিনিকে খৃঃ পূঃ দশম শতাব্দীর বৈয়াকরণ বলিয়াছেন। এক্ষণে পাণিনির আবির্ভাবকাল যাহাঁই হউক না কেন ইহা স্থির নিশ্চয়, তিনি পুঃ খৃঃ দ্বিতীয় শতাব্দীর বৈয়াকরণ নহেন। সে যাহাই হউক, পাণিনি যবন শব্দে এসিয়াটিক বা যুরোপীয় “গ্ৰীক” অর্থে কখনও প্রয়োগ করেন নাই । তিনি এ শব্দ আসিরীয় বা পারস্তাদিগকে লক্ষ্য করিয়া প্রয়োগ করিয়াছিলেন। যবন শব্দটী হীব্রু Yavan শব্দের সহিত সম্পর্ক যুক্ত Homer'এ Taoves বলিয়া ব্যবহৃত হইয়াছে। পাণিনি ব্যাকরণের কাশিকা বৃত্তিতে “যবনাঃ শয়নাঃ ভুঞ্জাতে” এই বাক্যটা প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। ‘যবনগণ শয়নাবস্থায় আহার করে “এই পদ্ধতি হইতে স্পষ্টই * বুঝা যায় যে এক সময়ে “যবান” শব্দদ্বারা এসিয়াটিক গ্ৰীকদিগকেই বুঝাইত। পরে ইহা আরব অর্থেও গৃহীত হইয়াছিল। রেনো ( Renaud) ও বেবের যবন অর্থে গ্রীকই বুঝেন। এক্ষণে যবনানী অর্থে যে লিপি বুঝায়, তাহ নিঃসন্দেহ। কিন্তু পাণিনির কাল ৩৫০ খৃঃ পূঃ ধরিলে ইহা গোন্ডষ্টকারের পারস্তলিপি বুঝায়, নতুবা বেবেরের মীমাংসা অনুসারে গ্ৰীক বা ফিউনিফর্ম লিপিও বুঝাইতে পারে। যাঙ্গা হউক পাণিনি-সূত্র সমুদায়দ্বারা স্পষ্টই প্ৰতীয়মান হয়, তাহার সময়ে ভারতে লিপি প্ৰথা প্ৰচলিত ছিল। হৌগ বলেন, বিলুপ্ত প্ৰাচীন আৰ্যসাহিত্যের নষ্টাংশে যাহা কিছু পাওয়া যায়, তাহাতে লিখনাৰ্থ কোন ধাতু বা শব্দের ব্যবহার নাই। কিন্তু যখন লিপি প্রথার সৃষ্টি হয় নাই, তখন বৃহৎ গদ্য বা বিজ্ঞানসঙ্গত গ্ৰন্থ কিরূপে রচিত হইত, তাহা আমরা সহজে বুঝিতে পারি না। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, প্রাচীন গ্রন্থে লিখন বিষয়ে কোনরূপ ইঙ্গিত না থাকিলেও থাকিতে পারে । বস্তুতঃ আমাদের বিশ্বাস, প্ৰাচীন ব্ৰাহ্মণের কোন পবিত্ৰ বিষয় লিপিবদ্ধ করা ङ्ग्रांनरु pit? NGc (fc5 efits Uists's fetcar, "There are stronger arguments than those to prove that before the time of Panini or before the spread of Buddhism in India writing was absolutely unknown.” fef qitas fast যে পুস্তক, মসি, কাগজ বা লিপি বুঝায়, এমন কোন শব্দ পাণিনির ব্যাকরণে নাই। তঁহার এই মত নিতান্তই আশ্চৰ্য্য বলিয়া বোধ হয়। কেননা ব্যাকরণের ন্যায়। এরূপ বিজ্ঞানসন্মত ব্যাপার, যে কখন লিপি প্রথার সাহায্য ব্যতীত রচিত হইতে পারে, ইহা আমরা ধারণাই করিতে পারি না। আমরা বুঝিতে পারি না, যখন লিপি কাহারও বিদিত ছিল না, তখন তঁাহারা কেমন করিয়া বিশুদ্ধ গদ্যে বৃহৎ বৃহৎ নীতি গ্ৰন্থ, প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড বৃত্তি, ব্যাকরণ, কোষ ও ধৰ্ম্মগ্রন্থাদি রচনা করিতেন, তাহাদিগকে পৌৰ্ব্বাপৰ্য্যানুসারে সজ্জিত করিতেন, এবং কেমন করিয়া তাহদিগকে অধ্যায়াদিতে বিভক্ত করিয়া তাহদের সম্বন্ধ নির্ণয় করিতেন। অক্ষরজ্ঞান ব্যতীত কেমন করিয়া যে ব্যাকরণের সন্ধি-স্বত্ৰাদির বিস্তুমানতা সম্ভবপর বলিয়া বােধ হয়, তাহা আমা