পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

女曾 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা stees পতঞ্জলি ও কাত্যায়ন প্রমাণ করিয়াছেন যে পাণিনি ৰে প্রকারে “অধিকার” পদের সংজ্ঞা দিয়াছেন, তাহা লিপিজ্ঞান স্বীকার ব্যতীত কখনই সম্ভবপর নয়। পাণিনি “রেফ” প্রয়োগ করিয়াছেন এবং স্বরিত-চিহেরও উল্লেখ করিয়াছেন। এমন কি কাত্যায়ন “রেফের” বুৎপত্তি দেখাইতে গিয়া প্ৰমাণ করিয়াছেন যে “রেফ” “র” বর্ণ ভিন্ন আর কিছুই নয়। অষ্টাধ্যায়ীর ষষ্ঠ অধ্যায়েব তৃতীয় পাদের ১১৫ সুত্ৰ পাঠে জানা যায় যে, পাণিনির সময়ে "স্বস্তিক” আদি চিহ্ন ব্যবহৃত হইত। উক্ত গ্রন্থের “বাসুপ্যাপিশলেঃ” ( ৬১৯২), “অবঙস্ফোটায়নান্ত” (৬১৷৷১২৩), SiurB KDSScSDgDSSLLBB EDBDBuS EDLSSuD EDDDBBBDS SSDttt মাদ্রাজ সংস্করণ), "ইকোহ্রস্বোহাঙ্যাগালবস্ত” (৬৩৬১ ', “খাতোভারদ্বাজন্য” (৭২৬৩), “তুষিমৃষিকৃশোঃ কাশ্যপান্ত” ( ১২২৫ ) ইত্যাদি সুত্র হইতে স্পষ্টই জানা যায় যে পাণিনি, আপিশালি, স্ফোটায়ন, গার্গ্য, শাকল্য, শাকটায়ন, গালিব, ভারদ্বাজ এবং কাশ্যপ-ব্যাকরণ জানিতেন । কেননা, পাণিনি ঐ সমস্ত ব্যাকরণ হইতে নিয়ম উদ্ধৃত করিয়াছেন। এই সমস্ত দেখিয়া কে না বলিবে, পাণিনির সময় যে লিপি প্ৰণালী ছিল তাহাতে বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ নাই। পাণিনি তাহার ব্যাকরণে গ্ৰন্থ" শব্দ চারিবার প্রয়োগ করিয়াছেন। আর তঁহার ব্যাকরণে “রেফ” বিদ্যমান থাকায় সহজেই প্ৰমাণিত হইতে পারে যে “গ্রন্থ।” শব্দের অর্থ লিখিত পুস্তক ভিন্ন অন্য কিছুই হইতে পারে না। পাণিনি লোপের সংজ্ঞা দিয়াছেন, “লোপোহদৰ্শনম”। যদি তাহার সময় লিপি প্ৰণালী না থাকিবে, তবে “লোপোহশ্রবণম” এ কথা কি তিনি প্রয়োগ করিতে পারিতেন না ? আশ্বিলায়নের শ্রোতসুত্র ও ভিন্ন ভিন্ন বেদের প্রাতিশাখ্যে এইরূপ বিষয় সমস্ত উল্লিখিত আছে যে, লিখনপ্রণালীর বিদ্যমানত অস্বীকার করিলে, সেই সমস্ত বিষয়ের ব্যাখ্যা । আদৌ অসম্ভব হইয়া পড়ে। ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র পাণিনির কাল খৃঃ পূঃ নবম বা দশম শতাব্দী অনুমান করিয়া বলিয়াছেন যে, বুদ্ধদেবের আবির্ভাবকালের বহুপূর্বে এবং কথিত সংস্কৃত গাথার ভাষায় পরিণত হইবার বহুপূৰ্বে ত্রয়োদশ পুঃ খৃষ্টাব্দকে ভারতীয় লিপির উৎপত্তিকাল ধরা যাইতে পারে। অপিচ, ব্ৰাহ্মণগ্রন্থেও “কাও” ও “পটল” শব্দ পাওয়া যায়। হাঁহাদের “পুস্তক বিভাগ” শতপথব্রাহ্মণে লিখিত আছে যে, “এক বর্ষে যত মুহূৰ্ত্ত হয় তাহার দ্বিগুণ পঙক্তি তিন বেদে আছে। এক বর্ষে ১০৮০০ (৩৬০ x ৩০ ) মুহূৰ্ত্ত দ্বিগুণ আছে। ইহা হইতে দেখা যাইতেছে, যদি তখন তিন বেদের লিখিত পুস্তক ছিল না, তাহা হইলে বেদের পঙক্তি-গণনা কিরূপে সম্ভব হইতে পারে ? পাণিনিও একটী সুত্ৰ দিয়াছেন, “ছন্দস্তাপি দৃষ্ঠতে৷” (৭।১।৭৬)। এই সুত্ৰ পাণিনিকর্তৃক প্ৰযুক্ত স্পষ্ট প্রমাণ করা যায় যে পাণিনি যদি লিখিত 'বেদ না দর্শন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তঁহার “বেদেও দেখা যায়” এ কথা বলিবার তাৎপৰ্য্য বা প্রয়োজন কি ? যাহা হউক, এইরূপ প্রয়োগাদি দেখিয়া আমাদের মনে হয় যে এই অমৃতময়ী দেবভাষার লিপি যে কতক্লাল হইতে রহিয়াছে, তাঙ্গা নিরূপণ করা দুঃসাধ্য। তবে এই পৰ্য্যন্ত মুক্ত কণ্ঠে द्व्ाा राशेिgङ °ligन्न 6श् ख्ख्ङ; খঃ পুঃ ষোড়শ কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর পরে কখনই লিপির উৎপত্তি হয় নাই। তবে, কেহ যেন না মনে করেন যে আমরা খৃঃ পূঃ ষোড়শ বা সপ্তদশ শতাব্দীতে