পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ar obox ] ভারতে লিপির উৎপত্তি । 鲁纳 ভারতীয় লিপির সৃষ্টি স্বীকার করিতেছি। পাণিনি এবং তঁহোঁর পূর্বপুরুষগণ যে লিপি ব্যবহার করিয়াছিলেন, তাহা কি প্রকারের লিপি এক্ষণে তাহাই আমাদের বিবেচ্য বিষয়ের মধ্যে গণ্য হইতে পারে। কিন্তু বিবেচ্য বিষয় হইলে কি হইবে, তাহ আমাদের জানিবার কোনও উপায় নাই। পরন্তু, তাই বলিয়া কি ভারতীয় লিপি বাষ্টীয় বা ফিনিসীয় অথবা হাইব্রিটিক লিপিসতুত, ইহা আমরা কখনই স্বীকার করিতে পারিব না। আমাদের এ দেবভাষায় লিপি দেবকল্প ঋষিসেবিত ভারতেই সঞ্জাত। অন্য কোন ভূমি ইহার জন্মভূমি হইতে পারে না । কারণ, সেই সুদূর সুপ্ৰাচীন অতীতে, ভারতবাসী দিগকে লিপি-প্ৰদান পক্ষে, যদি কোন জাতির কল্পনা করা যায়, তবে

  • সেই জাতি হয় পারস্তা, নয়। ফিনিসীয় কি হীব্রু। কিন্তু, যদি কেহ পালি অক্ষরগুলি পাশ্চাত্যলিপির

সহিত তুলনা করিয়া দেখেন, তিনি দেখিবেন যে ইহার সংখ্যা কি আকৃতি কিছুতেই পাশ্চাত্য লিপির সাদৃশ্য হইবে না। আমরা পূর্বেই আভাষ দিয়াছি যে পালির কি মাত্রা কি লিখিবার ধরণের সহিত পাশ্চাত্য কোন লিপির কণামাত্র ও মিল নাই । সুতরাং ভারতীয় লিপির পাশ্চাত্য উদ্ভবের কথা যিনি যতই বলুন না কেন, তাহা কখনই গ্ৰাহ হইতে পারে না। প্রকৃত প্ৰস্তাবে বলিতে গেলে, তৎকালে চীনদিগেরও ভারতকে লিপি প্ৰদান করিবার কিছুই ছিল না। এবং সেই সময় ভারতের নিকটবৰ্ত্তী কোন দেশেই এমন কোন জাতিই ছিল না, যাহার ভারতকে বর্ণপ্রদানের উপযুক্ত হইয়াছিল। সুতরাং ইহা অনায়াসেই অনুমিত হইতে পারে যে হিন্দুগণকর্তৃকই পালির আকার ও গঠনপ্রণালী কল্পিত হইয়াছিল। তবে, এরূপ হইতে পারে যে তঁাহারা সেই সময় ভারতে প্রচলিত কোন দেশীয় আদর্শে তাহা গঠিত করিয়াছিলেন । জগতে যাবতীয় বর্ণমালা আছে, তন্মধ্যে সংস্কৃত ভাষার বর্ণমালাই সর্বাপেক্ষা বৈজ্ঞানিক ঘৰ্ণমালার নিকটবৰ্ত্তী। যে ফিনিসীয় বর্ণমালা সমগ্র যুরোপীয় বর্ণমালার মূল, তাহাতেও তাহার ক্রম, সংখ্যা ও মাত্ৰাদি বিষয়ে প্রকৃত বৈজ্ঞানিক বর্ণমালার প্রত্যেক উপাদানের অভাব পরিলক্ষিত হয়। এইরূপে ফিনিসীয় বর্ণোৎপন্ন সমস্ত সাইরো-আরোবিক ভাষায়, এমন কি গ্ৰীক ও লাটনে পৰ্যন্ত বৈজ্ঞানিক বর্ণমালার উপাদানের অভাব রহিয়াছে। সহজেই প্রমাণ করা যাইতৃে পারে যে, ঐ সমস্ত বর্ণমালা সম্পূর্ণ শৃঙ্খলাবিহীন এবং অনাবশ্যক বর্ণের পুনরুল্লেখ দোষে দূষিত । शेङ्क लावाग्न श्रृएी शब्रश्रुि छिल न| । ८ङएननिम्नन् ( »ध्'७१ श्रृंः ) বলেন, অধুনা যে সমস্ত স্বরচিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায় সেগুলি খৃষ্টীর সপ্তম শতাব্দীতে সংযোজিত হইয়াছে। উচ্চারণ-পাৰ্থক্য নাই অথচ “ক” উচ্চারণের জন্য হীব্রুভাষায় দুইটী অক্ষর আছে। যথা,-“কাপ” এবং “ক প”। ইহাদিগের মধ্যে একটী নিশ্চয়ই অনাবশ্যক। এইরূপ அதிவு গ্রীকে ‘কাপ্পা” ও “কল্প” নামে দুইটী বৰ্ণ দেখা যায়। অন্যান্য বহুবিধ দোষ সত্ত্বেও যুরোপীয়গণের মধ্যে কেহ কেহ যে কেন ভারতীয়লিপিকে বাষ্ট্ৰীয় ও ফিনিসীয় ৰণসস্তুত বলেন, তাহা বলিতে পারি না। সংস্কৃত বর্ণমালার ন্যায় নৈসর্গিক সৌন্দৰ্য্য বিশিষ্ট ক্রম-যতদূর জামি, বলিতে পারি, জগতের কোন বর্ণমালায় নাই। বাগযন্ত্রের গঠনপ্রণালী অনুসারে সংস্কৃত বর্ণমালার ক্রম স্থিরীকৃত হইয়াছে। আশ্চৰ্য্য এই, ভাষার যতগুলি ধ্বনির অবশ্যক, ইহাতে ।