পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yr সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ &ጃ ጻ€�jff স্বামী ইহা বলিয়াছেন বলিয়া ইহার কথা তুলিয়াছেন। মাধবাচাৰ্য্যও স্থানে স্থানে সর্বদর্শনসংগ্ৰহ মধ্যে ‘পক্ষিল স্বামীও তাহাই বলেন’ বলিয়া ভাষ্যের কথা প্ৰমাণরূপে ব্যবহার করিয়াছেন। সুতরাং পক্ষিল-স্বামী বাৎস্যায়নের অপর একটী নাম, ইহা নিশ্চয় প্ৰতিপন্ন হইতে পারে । এই মহাত্মাই হিতোপদেশের বিষ্ণুশৰ্ম্ম ও শব্দশাস্ত্রের কৌটিল্য বলিয়া প্রসিদ্ধ। ইনিই ২. বৎসর পূৰ্ব্বেৰ লোক প্রাচীন নন্দবংশের ধ্বংস করিয়া মৌৰ্য্যবংশীয় চন্দ্ৰগুপ্তকে নন্দ বংশের २९शjiझन् ! সিংহাসনে অধিরূঢ় করেন। বিষ্ণুপুরাণাদির মতে ইনি প্ৰায় ২৪০ • দুই হাজার চারিশত বৎসর পূর্বের লোক। মগধদেশ বাৎস্যায়নের জন্মভূমি, পিতার নাম চণকদেব, জাতি ব্ৰাহ্মণ, বাৎস্য গোত্র। বাৎস্যায়নভাষ্যের বাৰ্ত্তিক রচয়িতা উদ্যোন্তকর মিশ্র। ইনি প্ৰায় ১৭০০ একহাজার সাতশত বৎসর পূর্বে মিথিলামণ্ডলে আবিভূতি হন। উদ্যোতকরের ন্যায়৷বাৰ্ত্তিক ইতঃপূর্বে দুস্তপ্রাপ্যতার ছিল, কিন্তু পণ্ডিতবর বিন্ধ্যেশ্বরীপ্ৰসাদ দ্বিবেদী মহোদয়ের যত্ন ও অনুসন্ধানের ফলে তাহা সুপ্ৰাপ্যতম হইয়াছে। বৌদ্ধমতাবলম্বী, দুষ্টব্যাখ্যানকার, কুতৰ্কিক দিঙনাগের অজ্ঞাননিবৃত্তির জন্য উদ্যোন্তকর মিশ্র এই বাৰ্ত্তিক-নিবন্ধ রচনা করেন। মহামহোপাধ্যায় বাচস্পতি মিশ্র উক্ত বাৰ্ত্তিকের “যদক্ষপাদঃ প্ৰবরো মুনীনাং, শমায় শাস্ত্ৰং জগতো জগাদ। কুতার্কিকাজুজ্ঞান নিবৃত্তি-হেতোঃ, করিষ্যতে তত্র ময়া নিবন্ধঃ ৷” এই শ্লোকটর ব্যাখ্যাকালে বলিয়াছেন-‘মুনিপ্রবীর অক্ষপাদ গোতম জগতের শান্তির জন্য যে শাস্ত্র রচনা করিয়াছিলেন, কূটবুদ্ধি দিঙা, নাগ। তাহার দুষ্টব্যাখ্যা প্রচারিত করিয়া সাধারণের সহিত নিজেও প্ৰতারিত হইতেছে, সুতরাং সেই কুতর্কিকের অজ্ঞান নিবৃত্তির জন্য উদ্যোতকর এই নিবন্ধপ্রণয়ন করেন”। এতদ্বারা বুঝিতে পারা যায়, উদ্যোত বাৰ্ত্তিককার উদ্যোতকর মিশ্ৰ । cोक प्७िनॉ॰ ॥ छैशाउकब्र ७ ७िनाक्ष नमनभभिक 6ठोंक । কর ও দিঙা, নাগ এক সময়ের লোক। নতুবা “কুন্তর্কিকের অজ্ঞান নিবৃত্তির জন্য” একথা বলা চলে না। কারণ জীবিতের অজ্ঞাননিবৃত্তির জন্য প্ৰবন্ধ লেখা যায় সমসাময়িকতার বটে ; কিন্তু মৃতের অজ্ঞাননাশের জন্য প্ৰবন্ধ লেখা নিতান্তই কারণ নির্দেশ । অসম্ভব। মৃতের অজ্ঞাননাশের জন্য কোন নিবন্ধাদি লিখিত হইলে, সেই নিবন্ধ ও নিবন্ধলেখক, এই উভয়কে যমের বাড়ী যাইয়া মৃত প্রতিপক্ষকে সেই "নিবন্ধ দেখাইয়া আসিবার প্রয়োজন হয়। অতএব “ মৈথিল উদ্যোতকর। ১৭০০ বৎসরের কিছুকাল পরে মিথিলা জনপদে প্ৰাজুভূত হন”। একথা ঠিক নহে ; বরং ইহা ঠিক যে দিঙ নাগের সময়ে মৈথিল উদ্যোতকর তাহার দুর্ব্যাখ্যার প্রচার দেখিয়া প্রতিপক্ষ হইয়া দাড়াইয়াছিলেন, এবং সভাসমিতিতে সামান্তসময়ের জন্য কেবল শূন্যসার-শব্দময়-বিচার-দ্বারা সে প্ৰতিপক্ষতা পৰ্যাপ্ত হয় নাই, অনন্তকালের জন্য নিবন্ধকারে প্রতিষ্ঠাপিত হইয়াছিল। উদ্ষ্মোক্তকারের বাক্যদ্বারা প্ৰকাশ হইতেছে যে, বাৰ্ত্তিক-নিবন্ধ-রচনার হেতু ঐ কুতর্কিকেরু