পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4s সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ २१ ज९भni “যন্ন্যায়কণিকা-তত্ত্বসমীক্ষা-তত্ত্ববিন্দুভিঃ।। যন্ন্যায়-সাংখ্য-যোগানাং বেদান্তানাং নিবন্ধনৈ: ৷৷ ৩ ৷৷ সমচৈষং মহৎ পুণ্যং তৎফলং পুষ্কলং ময়া। সমৰ্পিতমথৈতেন প্রায়তাম পরমেশ্বরঃ ৷৷ ৪ ৷৷ ‘ন্যায়কণিকা, তত্ত্বসমীক্ষা, তত্ত্ববিন্দু, ন্যায়, সাংখ্য ও যোগের নিবন্ধন, আর গৌরবকর, বেদান্তের নিবন্ধন দ্বারা যে যে মহৎ পুণ্য সঞ্চয় করিয়াছি, অতঃপর তাহার ফলভার আমি সমৰ্পণ করিলাম, ইহা দ্বারা পরমেশ্বর প্রীত হউন।” ۔ প্ৰণয়নক্রমেই এরূপ লিখিত হইয়াছে, ইহা বেশ বুঝিতে পারা যায়। আর র্যাহারা এ সাতখানা গ্ৰন্থই পড়িয়াছেন, তাহারা ‘উপপাদিতং ন্যায়কণিকায়াম ইত্যাদি বরাত দেওয়া” দেখিয়াই ইহা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন। বাচস্পতি ব্ৰহ্মবাদী ছিলেন, তাহাও ঐ ভামতীর শেষে লিখিত কবিতা হইতে জানিতে পারা যায়, যথা:-“অজ্ঞানসাগরং তীত্ব ব্ৰহ্মতত্ত্বমভীপ্ৰস্তাং । বাচস্পতির স্বীয়মত । নীতিনৌকর্ণধারেণ মায়াহাপুরি মনোরথঃ ॥২৷” “অজ্ঞানসাগর উত্তীর্ণ করিয়া যাহারা ব্ৰহ্মতত্ত্ব লাভের ইচ্ছা করে, তাহাদিগের নীতিনৌকার কর্ণধার হইয়া আমি মনোরথ পূর্ণ করিয়াছি।” আবার “ভঙত্ত, বাদ্যসুরেন্দ্ৰ-বৃন্দমথিলাহবিদ্যোপাধানাতিগং, যেনামায়-পয়োনিধে নিয়মথ ব্ৰহ্মামৃতং প্ৰাপ্যতে। সোহয়ং শ্যাঙ্করভাষ্যজাত-বিষয়ে বাচস্পতেঃ সাদািরং, সন্দর্ভঃ পরিভাব্যতাং সুমতয়ঃ স্বাৰ্থেষু কো মৎসরঃ ৷ ১ ৷” আবার বলিয়াছেন “নাভ্যর্থ ইহ সন্তঃ স্বয়ম্প্রবৃত্তা নচেতরে শক্যাঃ । মৎসর-পিত্তনিবন্ধনম অচিকিৎস্যমরোচকং যেষাম।” “এ তত্ত্ব বুঝিবার জন্য সাধুগণের অভ্যর্থনা করিতে হইবে না, কারণ র্তাহারা আপনারাই আসিবেন, আর মাৎসৰ্যরূপ পিত্ত দোষে যাহাদিগের অচিকিৎস্য আরোচক-রোগ জন্মিয়াছে, সে ইতরের অভ্যর্থনীয় নহে, তাহারা আসিতেও সমর্থ নহে।” ইহা ব্যতীত অন্য কোন স্থানে বাচস্পতি মন খুলিয়া ভাবচিত্র দেখান নাই, কেবল ভামতী নিবন্ধের শেষেই এইরূপ ভাব অভিব্যক্ত করিয়াছেন। তথাপি সে দিন সাহিত্য-পরিষৎসভায় শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয় মুক্তকণ্ঠে বলিয়াছেন, ‘বাচস্পতির যে কি মত, তাহা বুঝিবার যো নাই।” আবার লোকে কি করিয়া নিজের মত বলিয়া থাকে, জানি না। যে কেহ মনোযোগ পূর্বক উক্ত কয়টা কথা পাঠ করিলেই অনেকটা বুঝিতে পরিবেন, সন্দেহ নাই। " যাহাই হউক, বাচস্পতি যে ব্ৰহ্মবাদী ছিলেন, তাহা নিশ্চয় করিবার জন্য অধিক দূৱ যাইতে