পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ sत्र जश्थ ! কিন্তু ঐ গদ্যরচনাও তাদৃশ ললিত, কোমল, মধুর বা ওজস্বিতাসম্পন্ন ছিল না। মহারাণী বিকটোরিয়ার রাজ্যভার গ্রহণের কয়েক বৎসর পূর্বে ও পরে যে গদ্য রচনার প্রচার হয়, তাহাতে অনুপ্রাস ও যমকেরই প্ৰাধান্য ছিল। প্ৰথম অবস্থায় লোকে প্রায়শঃ অনুপ্রাসায়ী রচনায় পক্ষপাতী হইয়া থাকে। তাহারা উচ্চতর বিষয়ের দিকে যাইতে পারে না । গভীর ভাব সাগরে নিমজ্জিত হইতেও তাহদের সামর্থ্য থাকে না । কিন্তু তাহার এক উচ্চারণের ও এক শ্রেণীর কথাগুলি পরস্পর গ্রথিত দেখিলে আমোদিত হয় । এই জন্য রচনাকার লোক রঞ্জনার্থে অনুপ্রাসের আড়ম্বর করিয়া থাকেন। প্রভাকর-সম্পাদকের গদ্যরচনা এইরূপ ছিল। প্রভাকরে প্রায়শঃ এইরূপ গদ্য দেখা যাইত— “এই চিত্ৰ চিত্র কোন চিত্রে কি চিত্র করিয়াছে ? এ চিত্র, এ চিত্র কি চিত্ৰ ! অতি বিচিত্ৰ। যিনি ইহার কারক, র্তাহার কি আশ্চৰ্য্য চিত্ৰ শক্তি ! সেই শিক্ষক মহাশয়ের লিপিনৈপুণ্য কত ব্যাখ্যা করিব ? লেখনী লেখনে অশক্ত, বৰ্ণনে বর্ণাবলী বলবিহবলা, কথনে কবিত্ব অসমর্থ।” ( সংবাদপ্রভাকক্স । ১২৬০ সাল । ) এই সময়ের আর এক শ্রেণীর গদ্যেরও কিয়দংশ উদ্ধত হইতেছে“চিত্তবৃত্তি অদৃষ্ট পদার্থ যাহার দ্বারা দৃষ্টাদৃষ্ট যাবৎ পদার্থ প্ৰকাশ পায়, তাহার নাম বুদ্ধি। বুদ্ধি গোমহিষ্যাদিরো আছে, কিন্তু তাহাদিগের বুদ্ধি কেবল আহার নিদ্রাদি বিষয়ে থাকে। মনুষ্যের বুদ্ধি দৃষ্টাদৃষ্ট যাবদীয় পদার্থ বিষয়ে দীপ্তি পায়, আর চক্ষুরাদির অতীত যে পরমেশ্বর তঁহাকে বুদ্ধি দ্বারা জানা যায়। অতএব সৰ্ব্বশাস্ত্ৰে সৰ্ব্বলোকে মনুষ্য দেহকে উত্তম কহিয়াছেন। এই বুদ্ধি ব্যক্তিবিশেষে কোন দোষবশতঃ স্থূল, গুণবিশেষ প্ৰযুক্ত সূক্ষ্মা হয়েন, সেই সূক্ষ্মতা যাহার দ্বারা হয়, তাহাকে উপায় বলা যায়। এই বুদ্ধিকে মনুষ্য গোমহিষ্যাদি আধারের বিভিন্নতায় নানা কহিয়া থাকেন, ফলতঃ সৰ্ব্বসাধারণেরই এক, যেমত এক বায়ুকে শরীরের মধ্যে স্থান বিশেষে স্থিতিহেতু প্ৰাণবায়ু উদান বায়ু ইত্যাদি নানা প্ৰকার বলা যায়, তাহার ন্যায় এক বুদ্ধিকে আধার ভেদে নানা কহিয়া 曾iて卒a i" ( জ্ঞানার্ণব । ) বিকটোরিয়ার রাজ্যভার গ্রহণের পর বাঙ্গালা গদ্যের যখন এইরূপ অবস্থা ছিল, তখন সাহিত্যক্ষেত্রে দুইটি প্রতিভাশালী পুরুষ আবিভূতি হয়েন। ইহাদের প্রতিভাবলে বাঙ্গালা গদ্যে জীবনীশক্তির সঞ্চার হয় । যাহা নিৰ্জীব ও নিস্তেজ ছিল, শুষ্ক কাঠের ন্যায় যাহা রসহীনতার পরিচয় দিতেছিল, তাহা সজীব ও সতেজ হয়, এবং দেখিতে দেখিতে डॉश কুসুমন্তবকযুক্ত ও শ্যামল পত্রাবলিপরিবৃত বালতারুর ন্যায় শ্ৰীসম্পন্ন হইয়া উঠে। এই দুই জন প্ৰতিভাসম্পন্ন সুলেখক সংস্কৃতের আশ্রয় গ্ৰহণ কারিয়া বাঙ্গালা গদ্যের উন্নতিসাধনে অগ্রসর হয়েন। ইহাদের রচনা সংস্কৃত শব্দবহুল হইলেও উহা মাধুৰ্য্যে বা লালত্যে বিসর্জন দেয় নাই। ইহার এমন সুকৌশলে শব্দবিন্যাস করিয়াছেন, এমন সুনিয়মে প্ৰত্যেক বাক্যের অর্থ পরিস্ফাট করিয়া দিয়াছেন, এমন সুশৃঙ্খলার সহিত রচনার ক্রমোৎকৰ্য