পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । rejt ܪܠ তাহার আদিম সুত্র ঐ দিনেই ভারতরাজ্যে পতিত হয়। আরোেগ্যরূপ অমূল্যািরত্বের আকর স্বরূপ যে আয়ুঃ প্ৰদ শুভকরী শাস্ত্র আবহমানকাল স্বদেশীয় ও ভিন্নদেশীয় অসংখ্য লোকের রোগজীর্ণ বিবৰ্ণ মুখমণ্ডলকে স্বাস্থ্যগুণে প্ৰসন্ন ও প্ৰফুল্ল করিয়া তুলিয়াছে এবং কোটি কোটি জনের উৎপাদ্যমান শোক সন্তাপ ও পতনোমুখ বৈধব্যবিপদের একান্ত প্ৰতিবিধান করিয়া আসিয়াছে ও অদ্যাপি যে অমৃতময় শাস্ত্রকে ঔষধ বিশেষের শক্তিযোগে কখন কখন প্রভাববতী ইউরোপীয় চিকিৎসাকেও অতিক্রম করিতে দেখা যায়, তাহারও মূল ঐ দিনেই ভারতক্ষেত্রে সংরোপিত হয় । যে শৌৰ্য্য, বীৰ্য্য ও পরাক্রমপ্রভাবে ভারতবর্ষীয় আদিম নিবাসী যাবতীয় জাতি বিজিত হইয়া গহন ও গিরিগুহায় আশ্রয় লইয়াছে এবং সেদিনেও যে শৌৰ্য্যাগ্নির একটি স্ফলিঙ্গ শূরশেখর শিখজাতির হৃদয়চুলী হইতে উত্থিত হইয়া অত্যন্ধুত অনলক্রীড়া প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছে, ঐ দিনেই তাহা এই আৰ্য্যভূমিতে অবতারিত হয়। মহাবলপরাক্রান্ত বীৰ্য্যবন্ত পূৰ্ব্বপুরুষেরা এক হস্তে হলযন্ত্র ও অপর হস্তে রণশস্ত্র গ্রহণপূর্বক পুত্ৰ কলাত্ৰ দৌহিত্রাদির অগ্ৰণী হইয়া উৎসাহিত ও আশঙ্কিত মনে, স্নেহপালিত গোধন সঙ্গে, ভারতবর্ষে প্ৰবেশ করিতেছেন, ইহা স্মরণ ও চিন্তন করা কি অপরিসীম আনন্দেরই বিষয় । ইচ্ছা হয়, তঁহাদের আগমনপদবীতে আম্রশাখাসমন্বিত সলিলপূৰ্ণ কলসাবলী সংস্থাপন করিয়া রাখি এবং সমুচিত মঙ্গলাচরণ সমাধানপূর্বক তঁহাদিগকে প্রীতি প্ৰফুল্ল হৃদয়ে প্রত্যুদগমন করিয়া আনি ও সেই পূজ্যপাদ পিতৃপুরুষদিগের পদাম্বুজ রজঃ গ্ৰহণ করিয়া কলেবর পবিত্র করিতে থাকি ৷” ( ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়, প্ৰথমভাগ। ) এই রচনার অর্থপরিগ্রহে কোন কষ্ট হয় না। ইহা যেরূপ সুপরিস্ফুর্ট, সেইরূপ হৃদয়াকর্ষক । বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্যে যখন এইরূপ রচনার আবির্ভাব ঘটিল, তখন ঐ সাহিত্য ক্রমোন্নতিপথে দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতে লাগিল । যাহাদর অসীম ক্ষমতায় এই উন্নতির সূত্ৰপাত হইয়াছিল, তাহারা উত্তরকালে সাহিত্যের পরিচর্য্যায়। উদাসীন থাকেন নাই । যে প্রতিমার দেহ নয়নের অতৃপ্তিকর মৃত্তিকান্তাপমাত্র ছিল, তাঁহাদের কৌশলে উহা সৌন্দৰ্য্যসম্পন্ন হইয়াছে। তঁহাৱা দেবপ্রতিমা সুগঠিত করিয়াছেন এবং যথাযথ বর্ণে উহার শ্ৰীবৃদ্ধি করিয়া দিয়াছেন। এখন সংযতচিত্ত সাধকগণ এই প্ৰতি মারি সমক্ষে ভক্তিভরে অবনতমস্তক হইতেছেন এবং ইহার অনন্ত সৌন্দৰ্য্যে বিশুদ্ধ হইয়া, সৌন্দৰ্য্যসাধক সেই মহাপুরুষদ্বয়ের প্রভাবময়ী প্ৰতিভার পূজা করিতেছেন। বেতালপঞ্চবিংশতির রচনা শকুন্তলা ও সীতার বনবাসে চরমোৎকর্ষ প্ৰাপ্ত হইয়াছে। উপাসক সম্প্রদায়ের রচনা সকল স্থলেই অপূৰ্ব্ব ওজস্বিতা ও গাম্ভীৰ্য্যের পরিচয় দিয়াছে। ফলতঃ একজনের রচনা যেরূপ কোমল, অপর জনের রচনা সেইরূপ ওজস্বী । উভয়েই মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার সাহিত্যক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন এবং উভয়েই বিবিধগ্রন্থ প্রচার করিয়া, শিক্ষার পথ প্ৰশস্ততর করিয়াছেন। উভয়েই বিশেষ বিশেষ গুণে চিরাবরণীয়। একজনের বিশেষত্ব তোহার গ্রন্থের রচনা এবং হিন্দুর ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অভিজ্ঞতা-অপর জনের বিশেষত্ব তদীয় গ্রন্থে ভাবের গভীরতা এবং