পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। जन ७०s ] मशब्रांगैी विछेब्रिग्रान রাজত্বে বাঙ্গালা সাহিত্য। দুজ্ঞেয় বিজ্ঞান ও পুরাবৃত্তের আলোচনা। একজন শাস্ত্রীয় বিচারে আপনার বহুদৰ্শিতার সবিশেষ পরিচয় দিয়াছেন ; অপর জন্য দুশ্চিকিৎস্য রোগে নিতান্ত জীর্ণ হইয়াও, পুরাতত্বের বর্ণনায় যে ক্ষমতা দেখাইয়াছেন, তাহাতে মিণ্টন বা স্কটের ক্ষমতাকেও অধঃকৃত করিয়াছে । বঙ্গের এই দুইজন শ্রেষ্ঠ লেখকের প্রাধান্তকালে একটি মনস্বী পুরুষ সাহিত্যক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। ইনি বাঙ্গালা গদ্যে সংস্কৃত শব্দের প্রাচুৰ্য্য দেখিয়া, ভিন্নপ্রণালীতে গদ্য লিখিতে প্ৰবৃত্ত হয়েন। ইহার রচনায় সংস্কৃত শব্দমালার সমাবেশ নাই। চিরপ্রচলিত সরল কথার প্রয়োগ ইহার গদ্যের বিশেষত্ব। কাদম্বরীর অনুবাদে যেমন সংস্কৃতানুসারিণী রচনার প্রাধান্য রক্ষিত হইয়াছে; ইহার রচনাতেও সেইরূপ নিত্যব্যবহাৰ্য্য কথার প্রাধান্য রহিয়াছে। ইহার গদ্য রচনা এইরূপ “সুৰ্য্য অস্ত না হইতে হইতে বোট দেওয়ানজীর ঘাটেতে গিয়া লাগিল। বাবুরাম বাবুর শরীরটী কেবল মাংসপিণ্ড-চারিজন মাজিতে কুঁতিয়া ধরাধরি করিয়া উপরে তুলিয়া দিল। বেণীবাবু কুটুম্বকে দেখিয়া “আস্তে আজ্ঞা হউক বস্তে আজ্ঞা হউক।” প্রভৃতি নানাবিধ মিষ্টালাপ করিলেন। বাবুর বাটীর চাকর রাম তৎক্ষণাৎ তামুক সাজিয়া আনিয়া দিল । বাবুরাম বাবু ঘোর হুকারি, দুই এক টান টানিয়া বলিলেন, হুকাটা পিসে পিসে বলছেখুড়া খুড়া বলছেন না কেন ? বুদ্ধিমান লোকের নিকট চাকর থাকিলে সেও বুদ্ধিমান হয়। রাম অমনি হুকায় ছিছক দিয়া-জাল ফিরাইয়া-মিটেকড়া তামাক সেজে-বড় দেখে নল করে হুক আনিয়া দিল । বাবুরাম বাবু হুক সম্মুখে পাইয়া একেবারে যেন ইজারা BDBBDD DBBBBLYiDD DDD DDDDBYSEB DD DBDDJSALD BBB BBB BDDDB S ( আলালের ঘরের দুলাল । ) এইরূপ ভাষা সামান্য বিষয়ের বর্ণনার বিশেষ উপযোগী। এ অংশে বাঙ্গালা গদ্য আলালের ঘরের দুলালকারের রচনায় উপকৃত হইয়াছে। কিন্তু গভীর বিষয়ের বর্ণনায় এইরূপ ভাষা দ্বারা কোন উপকার লাভ হয় না, যেখানে বর্ণনার বৈচিত্ৰ্য রক্ষা করিতে হয়, উদ্দীপন বা ওজোগুণের পরিচয় দিতে হয়, সেখানে আলালের ঘরের দুলালের ভাষার আশ্ৰয় লাইলে অভীষ্ট সিদ্ধ হয় না। ঈদৃশ স্থলে সংস্কৃতানুযায়িনী রচনা পদ্ধতি অবলম্বন করিতে হয়। কিন্তু সবিশেষ কৌশলের সহিত সংস্কৃত শব্দের বিন্যাস না করিলে রচনা প্ৰায়ই প্ৰসাদগুণ বিসর্জন দিয়া থাকে। সীতার বনবাস, শকুন্তলা বা চারুপাঠের রচনায় বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্যের উপকার হইয়াছে। কিন্তু কাদম্বরীর অনুবাদে বাঙ্গালা গদ্য তাদৃশ উৎকর্ষ লাভ করিতে পারে নাই। আলালী ভাষাতেও গদ্যরচনার সমুদয় উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় নাই, যেহেতু ঐ রচনা ভাষার গাম্ভীৰ্য্য রক্ষার অনুকুল হইয়া উঠে নাই। পরবর্তী সময়ে আলালী ভাষার উন্নতি সাধন হয়। একজন প্ৰতিভাশালী সুলেখক সংস্কৃতের আশ্রয়ে এই মহৎ কাৰ্য্য সম্পাদন করেন। তঁহার বঙ্গদর্শনে তদীয় অসামানা প্ৰতিভা পরিস্ফাট হয়। বঙ্গদর্শনের