পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩০৪) মহারাণী বিক্টোরিয়ার রাজত্বে বাঙ্গালা সাহিত্য। SA “প্ৰচায়ের” আবির্ভাব হয়। প্ৰথমে যিনি বঙ্গদর্শনের পরিচালক ছিলেন, তিনি প্রচারের প্রধান লেখক হয়েন এবং যিনি বঙ্গদর্শন-সম্পাদকের প্রধান সহকারী ছিলেন, তিনি নবজীবনের সম্পাদন ভার গ্রহণ করেন। সুতরাং “প্রচার” ও “নবজীবন” বঙ্গদর্শনে প্ৰতিবিম্বিত প্ৰতিতারই বিকাশ স্থল। প্রচার ও নবজীবনে যে প্ৰতিভার বিকাশ হয়, তাহ প্ৰধানতঃ হিন্দুকে ধৰ্ম্মরাজ্যের শৃঙ্খলা দেখাইতে নিয়োজিত থাকে। এখন এই উভয় সাময়িক পত্রেরই DBDDD BBBBBD S DDD DBD BBD BB DBDBD DD DBBBDDBDS sD BBD হইয়াছে, তাহা চিরদিন বঙ্গীয় সাহিত্যের গৌরব ঘোষণা করিবে । দেখা গেল যে, বিক্টোরিয়ার রাজত্বে বঙ্গদর্শন প্রচারের পর বিবিধ সাময়িক পত্র দ্বারা বাঙ্গালা সাহিত্যের পরিপুষ্ট হয়। এই সময়ে সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস প্রভৃতি নানা বিষয়ের আলোচনা হইতে থাকে। নানা বিষয়ে বিবিধ সাদগ্ৰন্থ প্ৰকাশিত হয়। র্যাহারা পাশ্চাত্য সাহিত্যের সহিত সুপরিচিত হইয়া মাতৃভাষার সেবায় মনোনিবেশ করেন, তাহারা এই সময়ে আপনাদের বিচারপটুতা, ভাবগাম্ভীৰ্য্য ও রচনা ক্ষমতা দেখাইয়া সহৃদয় সমাজকে চমকিত করিয়া তুলেন। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রাদুর্ভাবে হিন্দুসমাজ যেমন কৰ্ম্মপ্রবণ হয়, বঙ্গদর্শনের আবির্ভাবে সমগ্ৰ বঙ্গীয় সাহিত্যও সেইরূপ কাৰ্য্যকারিণী শক্তিতে জীবন্ত ভাব ধারণ করে। এই সময়কে বাঙ্গালা সাহিত্যের গৌরবের প্রধান সময় বলিয়া নির্দেশ করা উচিত। বর্তমান যুগে সাময়িক পত্রের ন্যায় সংবাদপত্রও উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে। সোমপ্ৰকাশ হইতে এই উন্নতির সূত্রপাত হয়। সোমপ্ৰকাশসম্পাদক বাঙ্গালা রচনায় সবিশেষ ক্ষমতাশালী ছিলেন। তঁহার গ্রীস ও রোমের ইতিহাস ইংরেজীর অনুবাদ হইলেও উহা দ্বারা বাঙ্গালা সাহিত্যের একটী অভাব দূর হইয়াছে। বিদ্যাকল্পদ্রুমে এক সময়ে ইতিহাস প্ৰভৃতি প্ৰকাশিত হইলেও ভাষাগত লালিত্যের অভাবপ্রযুক্ত উহা পাঠকবর্গের তাদৃশ প্রীতিকর হয় নাই। যাহা হউক, উপযুক্ত বিষয়ের সংগ্ৰহে, রচনার প্রাঞ্জল ভাবে এবং সংবাদ-পত্ৰোচিত উৎকৃষ্ট রীতিতে সোমপ্রকাশ পূৰ্ব্বতন সংবাদপত্ৰসমূহের উপর প্রাধান্য স্থাপন করিয়াছিল। উত্তর কালে এ বিষয়ে এডুকেশন গেজেট, ঢাকা প্ৰকাশ, সাধারণী প্ৰভৃতির প্রতিষ্ঠা লাভ হয়। এখন ভিন্ন ভিন্ন সংবাদ-পত্ৰ সুনিয়মে আপনাদের উদ্দেশ্যানুরূপ কাৰ্য্য সাধন করিতেছে। সংবাদপত্র সমাজের বাগযন্ত্র স্বরূপ। যেখানে প্রজাশক্তির উপর রাজ্যের মঙ্গলামঙ্গল সৰ্ব্বাংশে নির্ভর করে, সেইখানে এই বাগযন্ত্রের ক্রিয়া অধিকতর। কাৰ্য্যকারিণী হয়। এইজন্য ইংলণ্ড প্রভৃতির ন্যায় জনপদে সংবাদপত্রের শক্তি অধিক। ভারতবর্ষের অবস্থা স্বতন্ত্র। এখানে রাজা বিদেশীয়, প্ৰজাশক্তি সঙ্কুচিত । রাজকীয় যাবতীয় কাৰ্য্য সৰ্ব্বাংশে রাজশক্তিতে পরিচালিত, সুতরাং স্বদেশীয় সংবাদপত্ৰ বিদেশীয় রাজার সমক্ষে সৰ্ব্বাংশে আপনার শক্তি প্ৰকাশে সমর্থ হয় না। এরূপ অবস্থাতেও বাঙ্গালা সংবাদপত্র যে, সঙ্কীর্ণতা ও নিজীবিভােব পরিত্যাগ করিয়া, ক্ৰমশঃ শক্তিশালী DDBD DDDBS BDB BDDB DBBD DB BBDB BD DBD S DBDBDuBDBD [ 9 1