পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/২

འ. সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । · [ ›ግ ጓኛቂll | মধ্যেই তাহদের সমুদয় কাৰ্য্যের পরিসমাপ্তি হইয়াছে। তঁহার কালসাগরে এক একটি তরঙ্গ স্বরূপ উধিত হইয়াছিলেন, কিয়ৎক্ষণ মাত্র গৌরবে উন্নত থাকিয়া আবার সেই অনন্ত সাগরে মিশিয়া গিয়াছেন। ইংরেজী সাহিত্যক্ষেত্রে বাগদেবীর উপাসকগণ যেরূপ দীর্ঘকাল আপনাদের প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন, বাঙ্গালা সাহিত্যক্ষেত্রে মনস্বী লেখকগণ সেরূপ দীর্ঘকাল আত্মক্ষমতার নিদর্শন দেখাইতে পারেন নাই। তঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ অল্পকালের মধ্যেই অনন্ত পদে বিলীন হইয়াছেন, কেহ কেহ বা স্বদেশের প্রাকৃতিক শক্তিতে অবসয় হইয়া, জীবনের মহত্তর কাৰ্য্য হইতে অবসর লইয়াছেন । কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে প্ৰতিভাশালী সাহিত্যসেবকদিগের ক্ষমতায় বাঙ্গালা সাহিত্য অভিনব বেশে সজিত ও অভিনব পথে পরিচালিত হইয়াছে। মহারাণীর রাজত্বে ইংরেজী সাহিত্য যেমন কয়েকটি বিশেষ বিষয়ে প্ৰসিদ্ধিলাভ করিয়াছে, বাঙ্গালা সাহিত্যও । সেইরূপ কতিপয় বিষয়ে উন্নতির পরিচয় দিয়াছে। সভ্যতার উন্নতি ও জনসংখ্যার বৃদ্ধির সহিত - লোকের শ্রমানুরাগের বৃদ্ধি হয়। জনসাধারণ অভিনব তত্ত্বসংগ্রহের জন্য বা কোন অভিনব \ বিষয়ে লাভবান হইবার নিমিত্ত একান্ত শ্রমশীল হইয়া উঠে। তাহদের সর্বপ্রকার ঔদাস) অন্তৰ্হিত হয়। তাহারা প্রতিকূল বিষয়ের সহিত ঘোরতর সংগ্রামে জয়শ্ৰীল্যােভর জন্য চেষ্টা করিতে থাকে। সমাজের এক ভাগে কাৰ্য্যতৎপরতার স্রোত প্ৰাৰহিত হইলে, অন্যান্য অংশও ঐ স্রোতে অধ্যবসায়সম্পন্ন হইয়া উঠে। এইরূপ শ্রমানুরাগের শক্তিতে সমগ্ৰ সমাজ আন্দোলিত ও সজীব হইয়া আত্মপ্রকৃতির অনুরূপ কাৰ্য্যে ব"পৃত থাকে। এইরূপ সামাজিক আন্দোলনে সাহিত্যের অবস্থাও পরিবর্তিত হয়। ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লবের সংঘাতে ইংলণ্ড যখন তরঙ্গায়িত হয়, তখন ঐ তরঙ্গাবেগে ; ইংরেজী সাহিত্যও প্ৰধানতঃ প্রচলিত রীতি পরিত্যাগ করিয়া, ভিন্ন প্ৰণালীর অভিমুখে ধাবিত হইতে থাকে। উহাতে সাহিত্যসেবকগণ অতীত বিষয়ের পর্য্যালোচনায় মনোনিবেশ করেন, এবং বৰ্ত্তমান বিষয়ের নিগুঢ় তত্ত্ব সংগ্রহে অভিনিবিষ্ট হয়েন। এইরূপ। অনুসন্ধিৎসা ও অভিনিবেশে ইতিহাস প্রণয়নের পথ প্রশস্ততর হয়। ইয়াতে দার্শনিক মতেরও ক্রমবিকাশ হইতে থাকে । মহারাণীৱ রাজত্বে সমাজের প্রত্যেক ভাগে অপূর্ব উৎসাহ ও সজীবতার সঞ্চার হইয়াছে। ইংলেণ্ডোর-বাণিজ্য, ইংলেণ্ডের শিল্প, ইংলণ্ডের সমৃদ্ধি সমগ্ৰ পৃথিবীকে উৎসাহ ও অভিনিবেশের শিক্ষা দিতেছে। লণ্ডনের প্রান্তবাহিনী টেম্স নদীর তীরে উপস্থিত খোেজ, নদীবক্ষে শত শত বাণিজ্যজােগাজ দর্শনে তোমার বােধ হইবে, নদী যেন পিণ্ডীভূত হইয়া রহিয়াছে। বাণিজ্য দ্রব্যের আমদানি ও রপ্তানির স্থলে যাও, লোকারণ্যের অদ্ভুত দৃঙ্গে তোমাকে স্তম্ভিত হইতে হইবে। মঞ্চেষ্টার বা সেফিল্ড, বাৰ্ম্মিংহাম বা লিবরপুলে পদাৰ্প কল্প, নানাবিধ সুবিস্তৃত যন্ত্রশালার সুকৌশলময় কাৰ্য দেখিয়া, বিস্ময়ে অভিভূত হইৰে। এই সকল স্থানে নেত্রীকৃপ্তিকর সৌন্দর্ঘ্যের সমাবেশ নাই। প্রকৃতির মনে S DD DDD DBDD DDDS DBDDDDD DiB DBDDB BD S BB DDBS