পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न ब्रां उ भ ?ा कू द्र * । -1 as Sa--- নরোত্তম ঠাকুর মহাশয়ের নাম না জানেন, এমন বৈষ্ণব নাই। রামপুর বোয়ালিয়ার ছয় ক্রোশ দূরে গড়ের হাট পরগণায় খেতরী গ্রাম অবস্থিত। সাৰ্দ্ধ ত্রিশতাধিক বর্ষ পূর্বে এই খেতরী একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের রাজধানী ছিল। সেই সময়েই ঠাকুর, নরোত্তমের প্রাদুর্ভাব। ঠাকুর নরোত্তমের জন্মের তারিখ নির্দিষ্ট নাই, তবে যখন তাহার জন্ম হয়, তখনও শ্ৰীচৈতন্য गशंथडू ধরাধামে প্রকট আছেন, সুতরাং তাহ ১৪৫৩৷৷৫৪ শকাব্দ হইবে। উত্তররাটীয় কায়স্থ বংশীয় জমীদার রাজা কৃষ্ণানন্দ দত্তের নারায়ণী নামী স্ত্রীর গর্ভে নরোত্তম জন্ম গ্ৰহণ করেন। যে নরোত্তমের আবির্ভাবে পূর্ব বঙ্গ ধন্য হইয়া গিয়াছে, মাঘ মাসের পূর্ণিমার স্নিগ্ধ হাস্য-তরঙ্গের সহিত গোধূলি সময়ে তিনি ভূমিষ্ট হন। বাল্যকালেই নরোত্তমের অসাধারণ গুণ ও অদ্ভুত প্ৰতিভা সকলকে বিস্মিত করিয়াছিল। “নরু"র মধুর ব্যবহারে আপামর সকলেই বাধ্য। একদিন গল্পপ্রসঙ্গে নরোত্তম শ্ৰীগৌরাঙ্গের মহিমা ও র্তাহার বিষয়ে নানা কথা শুনিতে পাইলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গের কথা শুনিয়া বালক এতদূর মুগ্ধ হইলেন যে তিনি বক্তা ব্ৰাহ্মণটিকে পুনঃ পুনঃ ঐ বিষয়ে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন ও প্ৰতিদিন তাহার কাছে গৌরচরিত্র শ্রবণ করিতে যাইতেন। যে দিন মহাপ্রভুর সন্ন্যাসের কথা তিনি শুনিলেন, সে দিন এত অধীর হইলেন যে, কৃষ্ণদাস নামক সেই বক্তা ব্ৰাহ্মণ ভয় পাইলেন। কিন্তু যখন শুনিলেন যে সম্প্রতি শ্ৰীগৌরাঙ্গ অপ্রকট হইয়াছেন, তখন রাজকুমারের মুছা হইবার উপক্রম হইল। পরে শুনিলেন যে প্রভুর অন্তৰ্দ্ধানে বহুতর ভক্ত ও প্রধান প্ৰধান পার্শ্বদগণ বৃন্দাবনে গমন করিয়া বাস করিতেছেন, তখন তঁহার বৃন্দাবনের প্রতি দৃঢ় অনুরাগ জন্মিল। এইরূপে নরোত্তম গৌরপ্রেমে মজিলেন । সৰ্ব্বদা গৌরবকথা-প্রসঙ্গে বালক ক্ৰমে খেলা ধুলা ছাড়িলেন, লেখা পড়ায় পৰ্য্যন্ত অমনোযোগ ঘটিল। ইহাতে পিতা মাতা চিন্তিত হইলেন। কিন্তু বালক গৌরবকথা শুনিতে না পাইলে যেন নিস্তেজ হইয়া পড়িত, ইহাই যেন তাহার আত্মার আহার । একদিন প্ৰাতে নরোত্তম পদ্মানদীতে স্নান করিতে গিয়াছেন, স্নান করিয়া তীরে উঠিলেন, আর নৃত্য করিতে লাগিলেন। তখন তাহার জ্ঞানের কোন চিহ্ন ছিল না।

  • দেহ কড়চ-গ্ৰন্থকারের পরিচয় দিবার জন্য বৰ্ত্তমান প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত করা গেল। দেহ কড়চ্চ গ্ৰন্থ পর প্রবন্ধে মুদ্রিত হইল। সাঃ পঃ সং। L