পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ V, সাহিত্য-পরিষৎ-পত্ৰিক । ( Yaq reyti এদিকে বহুক্ষণ যাবৎ পুত্ৰকে বাড়ী না দেখিয়া অনুসন্ধানে লোক চারিদিকে ছুটিল । এমন কি স্বয়ং রাণী নারায়ণী অস্থির হইয়া পদ্মাবতীর তীরপানে ছুটলেন। নরোত্তম পদ্মাপারেই ছিলেন, লোকজন আগমন করিতে দেখিয়া তাহার চৈতন্য হইল। মাতা পুত্ৰকে কোলে লইয়া শত শত চুম্বন করিতে লাগিলেন। বৈষ্ণব গ্রন্থে এই বিবরণের একটী পূৰ্ব্ব কারণ নির্দিষ্ট আছে। শ্ৰীমহাপ্ৰভু একাদা রামকেলি গ্রামে আগমন করেন। পদ্মার অপরপারে দণ্ডায়মান হইয়া তিনি কৃষ্ণাবেশে “নরোত্তম!” নরোত্তম !” বলিয়া ডাকিয়া ছিলেন, তাহাতেই নরোত্তমের জন্ম ৷ প্ৰভু নরোত্তমের জন্য প্ৰেমধন পদ্মাবতীর নিকট গচ্ছিত রাখেন। নরোত্তম যে দিন পদ্মাবতীতে মান করিয়া নৃত্য করিয়াছিলেন, তাহার পূর্বরাত্রি একটী স্বপ্ন দর্শন করেন, তাহাতে শ্ৰীনিত্যানন্দ যেন তঁহাকে বলেন, “নরোত্তম । কল্য প্ৰত্যুষে তুমি পদ্মাতে স্নান করিতে যাইও, তথায় গৌরাঙ্গের গচ্ছিত প্ৰেম প্ৰাপ্ত হইবে।” নরোত্তম স্বপ্নাদেশ বিশ্বাস করিয়া DD BBBDB DDS DDB DDD DD BBSDBDD BBDDS নরোত্তমের সেই হইতে নুতন ভাব হইল, কখন হাসেন, কখন কান্দেন, কিছুই স্থির নাই। পুত্র উন্মাদ হইয়াছে, এরূপ। কখন কখন পিতা মাতার মনে হইতে লাগিল । কখন কখন নরোত্তম বৃন্দাবনে যাইবার জন্য অত্যন্ত আগ্ৰহ দেখাইতে লাগিলেন। ইহাতে মা বাপের প্রাণ শুকাইয়া গেল । এই সময়ে জায়গীরদার নরোত্তমের গুণ শুনিয়া তাহাকে দেখিতে ইচ্ছা করিলেন। কাজেই কৃষ্ণানন্দ নিষেধ করিতে পারিলেন না। নরোত্তমের মনের সাধ পূরিল, মনে মনে পিতা মাতার চরণে চির বিদায় লইলেন। কিছুদূর যথাপথে চলিয়াই নরোত্তম গতি ফিরাইলেন, বৃন্দাবনের পথে চলিলেন। এ সংবাদ যখন খেতরীতে আসিল, তখন দুঃখের আর সীমা রহিল না। নরোত্তম কি প্রকারে চলিলেন— “আহারের চেষ্টা নাহি সকল দিবসে। । ভক্ষণ করেন দুই তিন উপবাসে ৷ পথের চলনে পায় হইল ব্ৰণ । f বৃক্ষতলে পড়ি রহে হয়ে অচেতন ॥” ( প্ৰেমবিলাস । ) নরোত্তমের বয়স তখন আন্দাজ ১৬ বর্ষের অধিক নহে। রাজার পুত্র, কোন দিন হাটেন नांई, कांgखछे दौपद्म श्रौद्र शांश्tडgछन। পুত্রের পলায়নের সংবাদ শ্রবণে কৃষ্ণানন্দ তাহাকে ধৃত করিবার জন্য চারিদিকে লোক নিযুক্ত করেন। এই লোকের একদল, তঁহাকে যাইয়া ধরিল, কিন্তু আনিতে পারিল না, সেই ১৬ বর্ষীয় বালকের ধৰ্ম্মভাবের নিকট পরাস্ত হইয়া তাহারা ফিরিয়া আসিল ! এইরূপে বহুকষ্টে নরোত্তম বৃন্দাবনে যথাসময়ে পৌছিলেন। তখন রূপ সনাতন নাই, শ্ৰীজীব আছেন ; তঁহার নিকট গিয়া অপরূপ বালকটী ছিন্নমূল তরুর ন্যায় পড়িয়া গেলেন।