পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৪ ] মহারাণী বিক্টোরিয়ার রাজত্বে বাঙ্গালা সাহিত্য । , 6 আচার ব্যবহার ও মনোগত ভাব জানিতে পারিয়াছে। এইরূপে এক জনপদের সভ্যতার সংঅবে অন্য জনপদে সভ্যতা প্রসারিত হইয়াছে। এক জনপদের সাহিত্য ও বিজ্ঞান অন্য জনপদের সাহিত্য বিজ্ঞান প্ৰভৃতির উপর প্রাধান্ত স্থাপন করিয়াছে। এক জনপদের ংঘর্ষে অন্য জনপদের রাজনীতিও পরিবর্তনোত্মখ হইয়া উঠিয়াছে। লোকে যেমন দার্শনিক তত্বে অধিকতর অভিনিবেশ দেখাইতেছে, সেইরূপ সমাজতত্বে ও রাজনীতিতে সমদর্শী হইতেছে। এক দিকে দার্শনিক ভাবে অপর দিকে সাম্য নীতিতে তাহাদের হৃদয় বিচলিত হইয়াছে। এতদিন তাহারা সমাজের নিয়স্তরে অবস্থিতি করিতেছিল, দরিদ্রভাবে অবসয় হইতেছিল, অজ্ঞানান্ধকারে দিক নির্ণয়ে অসমর্থ ছিল, এখন তাহদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত DBBBBDSSS SDDDB DBBB D DBDS SBDBDBBDB BBDYD DDBD DBDL BDDDS BDBD DBTB আগ্রহযুক্ত হইয়াছে। এ বিষয়ে জৰ্ম্মণী ও ফ্রান্স তাহদের প্রধান পরিচালক হয় । জন্মণীর চিন্তাশীল লোকের হৃদয় হইতে যে ভাবপ্রবাহের উৎপত্তি হয় এবং ফ্রান্সের বিপ্লবপ্ৰয়াসী সমাজ হইতে যে রাজনীতির আবির্ভাব হয়, তাহাতে প্ৰায় সমগ্ৰ ইউরোপ বিচলিত হইয়া উঠে। মনস্তত্ব ও সমাজতত্বের এই দুই প্রবাহ দুই দেশ হইতে ইংলণ্ডে উপনীত হয়। উহার অভিঘাতে ইংলণ্ডের সাহিত্য ক্রমে পরিবৰ্ত্তিত ও নবীকৃত হইয়া উঠে। উহাতে জনসন প্রভৃতির শব্দকাঠিন্য দূরীভূত হয়, ডিফো প্ৰভৃতির উপন্যাসরচনা, প্ৰণালী সংস্কৃত হয় এবং ড্রাইডেন প্রভৃতির কবিতারচনারীতি ভিন্ন দিকে প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। এইরূপে উহা ইংলণ্ডের সাহিত্যক্ষেত্রে বিপ্লব না ঘটাইয়া, সমস্ত বিষয় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন না করিয়া, ধীরে ধীরে ইংরেজী সাহিত্য নবীন ভাবে শ্ৰীসম্পন্ন করিয়াছে। কালক্রমে ফরাসী সাহিত্যের প্রভাব ইংরেজী সাহিত্য হইতে প্ৰায় অন্তহিত হইয়াছে।। জৰ্ম্মণীর সাহিত্যের শক্তিই ? ইংলণ্ডের সাহিত্যক্ষেত্রে পরিস্ফুট হইতেছে। এই দার্শনিক ভাবময় বিপুল সাহিত্য ইংরেজী সাহিত্যসংসারে ফরাসী সাহিত্যকে অপসারিত করিয়া উহার স্থান অধিকার করিয়া লইয়াছে। জৰ্ম্মণ সাহিত্যের ভাব ও রচনা-প্ৰণালী পৰ্য্যন্ত ইংরেজী সাহিত্যে প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে। কোলরিজ এই বিদেশী সাহিত্যের ভাব অনেকাংশে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। শেষে কালাইল এই বিষয়ে স্বকীয় ক্ষমতার পরিচয় দিয়াছেন । মহারাণীর রাজত্বে ইংরেজী সাহিত্যে যাহা সংঘটিত হইয়াছে, বাঙ্গালা সাহিত্যেও তাহাই ঘাঁটিয়াছে। এই সময়ে ইংরেজী সাহিত্যের কৃষ্ঠায় বাঙ্গালা সাহিত্যও গদ্য প্রধান হইয়াছে, ইংরেজী সাহিত্যের ন্যায় বঙ্গীয় সাহিত্যেও উপন্যাসের প্রাধান্য ঘটিয়াছে এবং ইংরেজী সাহিত্যের ন্যায় বাঙ্গালা সাহিত্যেও সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রের উন্নতি দেখা গিয়াছে। অধিকন্তু ইংলণ্ডীয় সাহিত্য যেমন ফরাসী ও জৰ্ম্মণ সাহিত্যের সাহায্য গ্ৰহণ করিয়াছে, বঙ্গীয় সাহিত্যও সেইরূপ ইংরেজী সাহিত্যের সাহায্যে উন্নতিপথে অগ্রসর হইতেছে। উৎকৃষ্ট বিষয়ের অনুকরণে অনেক সময়ে আত্মোৎকর্ষের পথ প্ৰশস্ততার হয়। পৃথিবীর অনেক উন্নতিশীল সাহিত্য অপর সাহিত্যের অনুকরণে পরিপুষ্ট হইয়াছে। এখন ইংরেজী সাহিত্যের