পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• •७०8 ] बांक्रांळांद्र @ङ्ड्ङ् । । os তিরুমালয় গিরি হইতে আবিষ্কৃত খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর একখানি শিলালিপি পাঠে জানা যায় যে, তখন বাঙ্গালায় উত্তর রাঢ় ও দক্ষিণরাঢ় নামে দুইটি স্বতন্ত্র রাজ্য ছিল এবং তখন উত্তররাঢ়ের রাজা ছিলেন মহীপাল ও দক্ষিণ রাঢ়ের রাজা ছিলেন রণশ্বর। ১ বলা বাহুল্য যে কর্ণসুবর্ণ ও গৌড়ই তৎকালের উত্তররাঢ় ও বৰ্দ্ধমানাদি দক্ষিণ রাঢ়। উক্ত শিলালিপিতে বাঙ্গালার মধ্যে পুণ্ডভুক্তি ও বঙ্গালদেশ নামে আরও দুইটি রাজ্যের উল্লেখ আছে । পুণ্ডভুক্তি প্রাচীন পৌণ্ডবৰ্দ্ধন এবং যে “বঙ্গাল” রাজ্যের নাম উক্ত হইয়াছে, তাহা প্রাচীন বঙ্গ নহে, উহা প্ৰাচীন সমতট বা এক্ষণে যাহাকে পূর্ববঙ্গ বা বাঙ্গাল দেশ বলা , । যাহা হউক, গৌড়নগর ও গৌড়রাজ্যের নাম, আমরা খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর ওদিকে আর কোন প্রামাণিক গ্রন্থে দেখিতে পাই না ২ উহার প্রাচীনতম উল্লেখ যতদূর দেখিতে পাই, তাহাতে বাণভট্ট ও বরাহমিহির সর্বপ্রাচীন। গ্রীকভুবেত্তা গুলেমির সময় এই নগর প্রসিদ্ধি লাভ করিলে, তৎকর্তৃক উল্লিখিত হওয়ার খুবই সম্ভাবনা ছিল। হইতে পারে এই নগর অনেক পূৰ্ব্ব হইতেই সংস্থাপিত, কিন্তু বাণভট্ট ও বরাহমিহিরের কিছু পুৰ্ব্ব হইতেই প্ৰসিদ্ধি লাভ ঘাঁটিয়াছিল। এই গৌড় এ পৰ্য্যন্ত পৌণ্ডবৰ্দ্ধন হইতে পৃথক রাজ্য ও পৃথক রাজ্যের রাজধানীরূপে গণ্য ছিল। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যকালে, মহারাজ আদিশূরকে সিংহাসনে আরূঢ় দেখিতে পাওয়া যায়। আদিশূরের সময় লইয়া অনেক তর্ক বিতর্ক আছে, কিন্তু সে বিচারের স্থান। এখানে নহে, প্ৰবন্ধান্তরে তাহ বিবেচ্য। এখানে যাহা আমার বিশ্বাস, তদনুরূপ, “বেদবাণাঙ্গশাকে” অৰ্থাৎ ৭৩২ খৃঃ অব্দে পঞ্চ ব্ৰাহ্মণ-আনয়নের কাল ধরিয়া, আদিশূরের সময়কে মোটামুটি খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্য বলিয়া ধরিলাম। যাহা হউক, এই আদিশূরের সময়েই দেখা যায় যে, গৌড় অতিশয় প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে, এবং পূৰ্ব্বতন কর্ণসুবর্ণ, বৰ্দ্ধমান, সমতট, পৌণ্ডবৰ্দ্ধন আদি সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য ভাঙ্গিয়া চুরিয়া এক রাজ্যে পরিণত হইয়া, সমস্ত রাজ্য বাঙ্গালা বা গৌড়রাজ্য আখ্যায় আখ্যায়িত হইতে আরম্ভ করিয়াছে। ফলতঃ সমস্ত বাঙ্গালার একছত্ৰ নৃপবর্গের মধ্যে মহারাজ আদিশূরকেই আদি ও প্রথম বলিতে হয় এবং তঁহা হইতেই গৌড়ের সমৃদ্ধি ও সমস্ত বাঙ্গালার গৌড়রাজ্য নাম হয়। মহারাজ আদিশূরের পরেও বাঙ্গালা দেশকে অনেক সময় অনেক খণ্ডরাজ্যে বিভক্ত হইতে দেখা যায় বটে, কিন্তু তাহা হইলেও, সমস্ত বাঙ্গালার যে গৌড় আখ্যা, আদিশূরের ১ । বিশ্বকোষ ৫ম ভাগ টিপূপিনীতে। ৬০৯ পৃঃ । ২ । ‘গৌড়ে ব্ৰাহ্মণ" নামক গ্রন্থের ৩৭ পৃষ্ঠায় নোটে লিখিত আছে যে, খৃষ্ট জন্মের ৬০০-৭০০ বৎসর পূর্বে ভোজগৌড় নামক রাজাকর্তৃক গৌড়নগর স্থাপিত হয়। কথাটা শুনিতে অতি কর্ণসুখকর তাহাতে সন্দেহ নাই, যেহেতু স্বদেশের প্রাচীনত্বে কাহার না। আনন্দ উপস্থিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই খে কথাটা অপ্ৰমাণিক । ইতিহাসে বহুতর গৌড় নামক স্থানের সন্ধান পাওয়া যায়, যথা, প্ৰাচীন শ্রাবন্তির নিকটস্থ গৌড়, কৌশাম্বীর নিকটস্থ গৌড়, বেরার রাজ্যের নিকটস্থ গৌড় ইত্যাদি । কিন্তু এ সকলের মধ্যে বাঙ্গালার গৌড়ই ইতিহাসে প্রসিদ্ধিলাভ করে, এবং গৌড় ও গৌড়রাজ্য বলিলে, সাধারণতঃ বাঙ্গালায়ই ब्राऊ१ांनौ ७ बाक्राळांब्रांऊा बूद्देश थारक ।