পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ Sir mewn i অনুকরণে বাঙ্গালা সাহিত্য ও পরিপুষ্টিলাভের চেষ্টা করিতেছে। ইংরেজী সাহিত্যের সমক্ষে ঘাঙ্গালা সাহিত্য ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণ শিশুর সদৃশ। বিক্টোরিয়ার রাজত্বে এই ক্ষুদ্র প্রাণ শিশু মহাপ্ৰাণ হইবার জন্য পরিপুষ্টির বিষয়সংগ্রহে যেরূপ শক্তি দেখাইয়াছে, তাহা জগতের উন্নতির ইতিহাসের একটি প্ৰধান বর্ণনীয় বিষয়। গদ্য প্ৰধান বাঙ্গালা সাহিত্যে দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস প্ৰভৃতি বিষয় সম্বন্ধীয় যে সকল প্ৰবন্ধ বা গ্ৰন্থাদি প্রচারিত হইতেছে, এবং যে সকল উপন্যাস ভাষার পরিপুষ্টি সাধন করিতেছে, তৎসমুদায় বাঙ্গালীর শক্তিমত্তার আগৌরবকর নিদর্শন নহে। সাহিত্যের প্রথম অবস্থায় কবিতার প্রাধান্য থাকে ৷ প্ৰাচীনকাল হইতে বঙ্গীয় সাহিত্যে যে কবিতাস্রোত প্রবাহিত হইয়াছে, আজ পৰ্য্যন্ত তাহার নিবৃত্তি হয় নাই। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই স্রোত অনেক স্থলে প্ৰসন্ন ভাবের পরিবর্তে আবিলতায় পরিপূর্ণ হইয়াছে। সারল্যে ও স্বাভাবিক ভাবে আধুনিক কবিতা প্রাচীন কবিতার উপর প্রাধান্য স্থাপন করিতে পারে নাই। সাধারণতঃ এইরূপ কথিত হইয়া থাকে যে, আদিম অবস্থার কবিতা যেরূপ সরল, কোমল ও স্বাভাবিক ভাবোদ্দীপক হয়, আধুনিক অবস্থার কবিতা সেরূপ গুণসম্পন্ন হয় না। এই সিদ্ধান্তের মূলে কিয়দংশ সত্য আছে। এ সম্বন্ধে সাহিত্য-পরিষদ পত্রিকায় একবার যাহা লিখিত হইয়াছিল, প্ৰবন্ধের বিষয় বিশদ করিবার জন্য এই স্থলে তাহার কিয়দংশ উদ্ধত হইতেছে—“সমাজের আদিম অবস্থায় মানুষ প্রায়ই কল্পনাপ্রিয় হইয়া থাকে । বেগবতী তরঙ্গিণী, সমুন্নত পৰ্ব্বত, সুচ্ছায় বৃক্ষ, অনন্ত নীল আকাশ প্রভৃতি প্ৰাকৃতিক বিষয় যেমন এক দিকে তঁাহার কল্পনার লীলাস্থল হয়, মহত্তর বা নিকৃষ্টত্তর মানবচরিত্রও সেইরূপ তাহার রসময়ী কবিতার বিষয়ীভূত হইয়া থাকে। এই অবস্থার কবিতা প্ৰায়ই উদ্দীপনা, উদ্ভাবনা প্ৰভৃতি গুণে উৎকর্ষ লাভ করে । সভ্যতা বৃদ্ধির সঙ্গে বিজ্ঞান, গণিত প্রভৃতি উন্নতি লাভ করে বটে, কিন্তু সভ্যতা বুদ্ধিতে অনেক সময়ে কবিতার সৌন্দৰ্য্য বুদ্ধি হয় না। বাল্মীকি বা হোমরা যাহা দেখেন নাই, কল্পনা বলে যাহা ভাবিতে পারেন নাই, বৈজ্ঞানিক বা গণিতজ্ঞের ক্ষমতায় তাহা লোকের হৃদয়ঙ্গম হইতেছে। কিন্তু বাল্মীকি বা হোমির কাব্যজগতে যেরূপ ক্ষমতার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন, আজ পৰ্য্যন্ত কেহই সেরূপ দেখাইতে পারেন নাই । আদিম অবস্থা মানুষকে অধিকতর সরল এবং তাহার ভাষাকে অধিকতর কবিত্বময় করে । কোমলমতি বালক যখন নীতি শিক্ষার জন্য হিতোপদেশে পথিক ও ব্যান্ত্রের কথা পাঠ করে, তখন ব্যান্ত্রের সেই ভয়ঙ্কর ভাব, সেই বলবতী জীবহিংসা প্ৰবৃত্তি, তাহার স্মৃতিপটে নিরস্তর জাগরকে থাকে। ব্যান্ত্রের কথায় তাহার কল্পনা নিরন্তর উদ্দীপিত হইতে থাকে। তাহার বাসগ্রামে ব্যাস্ত্ৰ না থাকিলেও এবং সে উহার ভীষণ মূৰ্ত্তির সহিত পরিচিত না হইলেও, সৰ্ব্বদাই তাহার মনে হয়, ব্যাস্ত্ৰ যেন মুখ ব্যাদান করিয়া তাহকে আক্রমণ করিতে আলিতেছে। শিশু যেমন কল্পনাতরঙ্গে আন্দোলিত হয়, BDYSBDBDD DBBBDB DBDDD DDB DBDBDD BBB DBDBDDDSBD S uBuuHHDD u S