পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गन >७०8 ] রামাই পণ্ডিতের ধৰ্ম্মমঙ্গল । ७० ধ্যানের মন্ত্ৰ | “বর্ণ যুগপতি সৰ্ব্ব গুণধাম। শুন শুন সৰ্ব্বজন যুগের বিধান ৷ যে দিনেতে ভৃঙ্গীভার আছিল মণ্ডলে। অদ্য বাসুকী নাগের জন্ম সেই কালে ৷ ” ষোড় করিয়া নাগে জিজ্ঞাসে বারতা। এক মুণ্ডে ছিল তার সহস্ৰেক মাথা ৷ নিৰ্ম্মাইলেন প্ৰেম হংসের বাতাসে। আসন করিয়া প্ৰভু মনের হরিষে৷ জলোতে ডুবিল হংস আহার কারণে। কিছু না পাইয়া উঠে প্ৰভু সন্নিধানে। গরল মুখের বিন্দু থাকে মস্তকের দেশে। নাগের নিশ্বাস কৈল ভাটায় জোয়ার । রাত্রিকদিন সঞ্চিলেন অনার দায়িতার। তাহার উপরে রুধির প্রকাশ । দ্বিজ মুরতি কৈলা আড়ম্ব কৈলাস ৷ যোগেতে মঙ্গল সৃজিলেন ভঙ্গীভার। অনন্ত কোটাদিগের কে করে বিচার ॥ কে করিতে পারে। প্ৰভু আদ্যের জ্ঞেয়ান। ঘটে আসি পূজা লাও স্বরূপনারাণ৷ হীন নয় জন্ম মোর জাতির নাহি স্থিতি ।। লহ লহ জল পুষ্প যুগের যুগপতি ৷ গাছের বাকল নহি পত্ৰে নাহি ছায়া । আগে আগে নিরঞ্জন নিৰ্ম্মাইলেন কায় ৷ র্তাহার ভকতে প্ৰভু করিলেন তার। বিষ্ণুর কারণে ভ্ৰমেণ নৈরাকার। আগেতে ছিলেন প্ৰভু ললিত অবতার । তিনিরূপ হইলেন ভ্ৰমিলেন সংসার ৷ তবেতো ভ্ৰমণ কৈল পশ্চিম মুরতি। দক্ষিণে ভ্ৰমণ কৈল পূর্বে আইলেন স্থিতি ৷ অঙ্গে হাত বুলাইতে স্বাজিলেন পাৰ্ব্বতী। দেখিতে সুন্দর রূপ মনোহর জ্যোতি ৷ টলিল ধৰ্ম্মের বিন্দু দেবী নিল করে। ধৰ্ম্ম সমরিয়া মাতা পূরিল উদরে ॥ তিল প্ৰমাণ হৈয়া গড়িল বসুমতী । দিনে দিনে পাৰ্ব্বতীর বাড়িল উদর ৷ চলিতে শকতি নাহি যুড়ে দুই কর। কে জন্মিল ৰলিয়া বলেন যজ্ঞেশ্বর ॥ ব্ৰহ্মতালু দিয়া হৈল ব্ৰহ্মের জনম। ব্ৰহ্মজালে বিষ্ণুর দহিছে তখন ৷ ক্ষীণকটি কুপিল কুমণ্ডল লৈয়া। হাতে বিষ্ণুর জন্ম হৈল কৰ্ণমূল দিয়া৷ মনেতে বিচারি ত্ৰিদশেখর। জীবত্ৰি শীতল কৈল ভূমিষ্ঠ মহেশ্বর৷ তিনবার জনমিল এইতো উদরে। আপার মহিমা লীলা কে বুঝিতে পারে। ধৰ্ম্মের মঙ্গল গীত পণ্ডিত রমাই গান। একল রামাই দ্বিজ শয়ে লব ধান ৷” ইহার দুই এক জায়গায় হেঁয়ালির মত বোধ হয়। প্রাচীন ভাষা অতি দুর্বোধ, এই নিমিত্তই বোধ হয়। ঐ রূপ। ঠাকুরের মানের মন্ত্রটা এই-- মানের মন্ত্র “ওঁ আরতি ভারতি গঙ্গা যমুনা চ সরস্বতী। সরযাৎ গণ্ডকী পুণ্যা শ্বেতগঙ্গা কৌশিকী ৷ ভোগবতী চ পাতালে স্বৰ্গে মন্দাকিনী তথা । সদা স্বয় মনোভূত্বা ভৃঙ্গায়ৈ ৷