পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ sभ ज९थT। জল লইয়া স্নান করেন ধৰ্ম্ম আগম জলে। অখণ্ড তুলসীপত্ৰ দিয়া পদতলে ৷ অভিগঙ্গা চুড়ামণি করেন ভকতি । তুরিতে যে স্নান লেন গোসাঞি যুৱতী ৷ ঢোলে সমুদ্র এল গোসাঞি ক্ষীরনদী। গঙ্গা যমুনা এল বসন্ন বদরী ৷ শোভা ধাত্রীগণ এল হোয়ে এক স্থানে। মান করেন প্ৰভু ভগবানে ৷ DDD DBDDDuBDB LBD DBSL KDS SMgYY DD SB KBD DBDDB B S রামাই’র খাটি লেখা কিছু পাওয়া গেলা-সুতরাং রামাই’র একখানি ধৰ্ম্মপূজার যে পদ্ধতি আছে সে বিষয়ে আর সন্দেহ রহিল না। রামাই’র পুস্তক অন্বেষণ করিবার জন্য সোসাইটির অন্যতম ভ্ৰমণকারী পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রাখালচন্দ্ৰ কাব্যতীর্থকে ঘাটাল অঞ্চলে পাঠাইলাম। তিনি যে সকল তত্ত্ব আনিলেন, তাহারও মধ্যে মধ্যে রামাই পণ্ডিতের নাম পাওয়া গেল, তিনিও মুখে মুখে শুনিয়া লিখিয়াছেন “ও ষোল সহস্ৰ গতি লয়ে শ্ৰীৱমাই পণ্ডিত ধৰ্ম্মপূজা করিবারে যান। সেই পথ দিয়া ঋষি মুনি মাৰ্কণ্ড যান ধূপে ধূনায় ধৰ্ম্মঘর দেখিবারে পান ৷ কাহেন মাৰ্কণ্ড মুনি, শুন হে কপিল মুনি, কিসের শুনি জয় জয় কার। বলে মিথ্যাই আলম চাদা, মিথ্যাই বাজনা বাজে মিথ্যাই ধৰ্ম্ম উজান । ধৰ্ম্মরাজ যজ্ঞ নিন্দা করে মুনি মাৰ্কণ্ড যান। জম্বর বলি বোধ হল ঋষি মুনির গায়। অষ্টকূট চেলি শূল ব্যাধি মুনি মাৰ্কণ্ড স্থান। আদ্যের ধবল দিল মুনির মুখেতে জাতিয়ে রামাই পণ্ডিত বলে মধুর পুঙ্কণি দিবে পৃষ্ঠের জাঙ্গাল। মধু মাংসে এ ঘর করিবে এককার। গতি ভকতের উচ্ছিষ্ট মুনি কুড়ায়ে খাবে। তবে তো মাৰ্কণ্ড মুনি অমর পদ পাবে। ঘাটাল হইতেও সংবাদ আসিল, রামাই পণ্ডিতই ধৰ্ম্মপূজার পদ্ধতি করিয়াছেন। সে অঞ্চলের ধৰ্ম্মপূজার ধ্যানের মন্ত্র এই ;— “স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য না ছিল না ছিল যে পাতাল । উৎপত্তি না ছিল যম কাল ৷ দেবী দেবী গুরু শিষ্য কেহ না ছিল । নীল অনিল ধৰ্ম্ম জন্ম যে লভিল ৷ ধৰ্ম্মকে বাপে না দিলেন জন্ম । মায়ে না দিলেন উদরে ঠাই। শূন্য ভরে জন্মিলেন অনাদ্য গোসাঞি । নিরঞ্জন নৈরাকার বুঝিতে না পারি। আপনি করিলেন প্ৰভু আপনার কায়া। হস্তপদ স্কন্ধ চক্ষু নিরঞ্জনের হইল। নয়ন মিলাইয়া তিনি দৃষ্টি মিলাইল ৷ দেখিলেন নবখণ্ড ব্ৰহ্মা অগ্নিময়। তস্মাৎ দেব নিরঞ্জনায় নাম ৷” ইহ পদ্য না গদ্য ! ছেলা বেলা ঠানদিদির মুখে এইরূপ না পদ্য না গদ্য না। মিল না। অমিল ষষ্ঠ মার্কণ্ডেরের কথা শুনিতাম, একি সেই জাতীয় রচনা ? পরিশেষে কুরাণ গ্রামনিবাসী শ্ৰীযুক্ত ভুবনেশ্বর বিদ্যালঙ্কার মহাশয়ের যত্নে ও পরিশ্রমে রামাই পণ্ডিত কৃত পদ্ধতির একখানি পুথি পাইয়াছি, অশিক্ষিত ডোম বা পোদ পণ্ডিতের নিকট হইতে নকল করিবার জন্য ও পুস্তক লইতে অনেক সাধ্য সাধনা ও যথেষ্ট অৰ্থ ব্যয় করিতে হইয়াছে। অন্যান্ত ধৰ্ম্মায়ণ পুস্তকে যেমন নানা দেবদেবীর বন্দন আছে, রামাই’র পুস্তকে তাহার কিছুই নাই, তাহাতে বন্দনাই নাই। অন্য ধৰ্ম্মায়ণ পুথিগুলি হয় ব্ৰাহ্মণের