পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্থ ভাগ).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ه/I ] লয়ের সমীপে প্রেরিত হউক । মাননীয় বনেদ্যাপাধ্যায় মহাশয় আরও বলিলেন যে এরূপ আবেদনপত্র প্রেরণ করাতে বিশ্ব-বিদ্যালয়ের প্রতি কোন রূপ অসম্মান প্ৰদৰ্শিত হইতেছে । না। কারণ আমাদের এইমাত্র অনুরোধ যে, আবেদনপত্ৰলিখিত প্ৰস্তাবগুলি বিশ্ব-বিদ্যালয় বিবেচনা করুন। কেহ কেহ বলিতে পারেন যে, আমাদের প্রস্তাবসমূহ গৃহীত হইলে প্ৰকৃত শিক্ষার অবনতি হইবে। প্রকৃত শিক্ষা কি ? শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য দুইটী-(১) প্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞান লাভ। (২) শিক্ষার্থীর বুদ্ধির বিকাশ ও উন্নতি। আমরা দেখিতে পাই বিশ্ব-বিদ্যালয় প্রথম উদ্দেশ্যটীর প্রতি লক্ষ্য রাখেন। কিন্তু দ্বিতীয়টার প্রতি দৃষ্টি তেমন রাখেন না । বিশ্ব-বিদ্যালয় পরীক্ষার্থী দিগকে যতগুলি বিষয় শিখিতে বলেন, তাহার সকল গুলি তাহারা সম্যক বুঝিতে পারে না। পরীক্ষায় অৰ্দ্ধেকের অধিক পরীক্ষার্থ “ফেল” হয় কেন ? প্রচলিত শিক্ষাপ্রণালী সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে ( যাহারা খুব ভালও নহে, খুব মন্দও নহে ), ভাল মনে হয় না । আমাদের প্রস্তাব গুলি গৃহীত হইলে, সাধারণ শিক্ষাথীর উপকার হইবার সম্ভাবনা। প্ৰবেশিক ও এফ এ পরীক্ষা কঠিন করিলে পাঠাখীর শিক্ষার অৰ্দ্ধ পথে গতি রোধ করা হয় । বক্তা মহাশয় একে একে প্রস্তাবগুলির উপযোগিতা বিস্তৃতভাবে বুঝাইয়া দিলেন। শ্রীযুক্ত যাদবকিশোর গোস্বামী মহাশয় উক্ত প্ৰস্তাবের সমর্থনা করিলেন । শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রচন্দ্র শাস্ত্রী মহাশয় বলিলেন যে আবেদন পত্রের মূল উদ্দেশ্যের সহিত', তাহার সহানুভূতি আছে। কিন্তু আবেদনোক্ত প্ৰস্তাৰ সমূহ গৃহীত হইলে যে সে উদ্দেশ্য ? সিদ্ধ হইবে, সে আশা তিনি করেন না। কয়েক খানি গ্ৰন্থ বাদ দিলেই অবশিষ্ট গ্রন্থগুলি । যে সুচারুরূপে পঠিত হইবে, তাহার প্রমাণ কি ? বক্তা একে একে প্ৰস্তাব গুলির সমালোচনা করিয়া বলিলেন যে তিনি কোন প্ৰস্তাব করিতেছেন না। আবেদন-পত্ৰ দ্বারা যে কোন উপকার সাধিত হইবে না, তাহাই দেখান র্তাহার উদ্দেশ্য। সভাপতি মহাশয় বলিলেন যে পরীক্ষার্থীদিগের পাঠ্য পীড়নের যাহাতে কতকটা লাঘব হয়, আবেদন পত্রের ইহাই উদ্দেশ্য। শিক্ষাপ্রণালীর একবারে ঐকান্তিক ।

  • ংস্কার হইবে এরূপ আশা করা যায় না। যদি বিশেষ কমিটী করিয়া অন্ততঃ এক বৎসর ধরিয়া এ বিষয়ে আলোচনা করা যায়, তবে যদি শিক্ষা-সংস্কারের কোন বিশেষ ( Positive ) উপায় বাহির হইতে পারে। যদি শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য হয় বুদ্ধির পরিমার্জন, তবে কিছু কিছু বিজ্ঞানশিক্ষা মন্দ নহে, সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস্যাদিরও শিক্ষা হওয়া উচিত। মনুষত্বকে কেন্দ্ৰ স্থলে রাখিয়া বিজ্ঞানাদি সকল বিষয় শিক্ষা দেওয়া উচিত ।

শ্ৰীযুক্ত বাণীনাথ নন্দী মহাশয় প্ৰস্তাব করিলেন যে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় প্রাকৃতিক ভূগোল উঠাইয়া দেওয়া না হয়। শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্ৰচন্দ্ৰ শাস্ত্রী মহাশয় উক্ত প্ৰস্তাবের সমর্থনা করিলেন। শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল বসু মহাশয় প্রাকৃতিক ভূগোল শিক্ষার উপযোগিতা দেখাইয়া উক্ত প্ৰস্তাবের অনুমোদন করিলেন।